পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

öエ আয় বঙ্গের চেয়ে ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বেশী। বঙ্গের লোকসংখ্যা মাঞ্জাজের চেয়ে ৩০ লক্ষেরও বেশী। অথচ মাস্ত্রাজের আবকারী আয় বঙ্গের চেয়ে তিন কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বেশী। বাংলা দেশে মান্দ্রাজ ও বোম্বাইয়ের মত বেশী মাতাল বা নেশাখোর লোক নাই বলিয়াই কি তাহার অতি ন্যায্য পাট রপ্তানি গুষ্কের টাকাটাও তাহার নিকট হইতে কাড়িয়া লইতে হইবে ? ভূ-করের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা জমির খাজনার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভাল কি মন্দ তাহার বিচার এখন করিব না। রমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি অর্থনীতিজ্ঞ এবং শাসনকার্য্যে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ইহা ভাল মনে করিতেন এবং সব প্রদেশেই ইহার প্রবর্তন চাহিয়াছিলেন । আমরা তর্কের খাতিরে ধরিয়া লইতেছি, যে, ইহা মন্দ । কিন্তু এই বন্দোবস্ত ত বাংলা দেশের লোকে করে নাই, ভারত-গবন্মেটি করিয়াছিলেন। ইস্থার পরিবর্তনও ভারত-গবন্মেণ্টই করিতে পারেন। যে-সব প্রদেশের লোকেরা ইহা মন্দ বলেন, এবং বঙ্গে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আছে বলিয়া সেই ওজুহাতে বাংলার প্রাদেশিক রাজশ্বের অল্পতা ন্যায্য মনে করেন, ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় র্তাহীদের প্রতিনিধিরা কেন এই ব্যবস্থা উন্টাইয়া দিবার প্রস্তাব করেন না ? চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না-থাকিলে খাজনার যত টাকা বাংলা সরকারের হাতে যাইত, সে টাকাটা ত বঙ্গের পাচ কোটি লোকের মধ্যে বণ্টিত হয় না, সেটা পান জমিদারেরা। র্তাহাদের সংখ্যা কত ? ১৯৩২-৩৩ সালের জমির রাজস্ববিষয়ক রিপোর্টের প্রথম পরিশিষ্টে দেখিতেছি, সমগ্র বঙ্গে মহলের সংখ্যা ১,৪১,৫৯৪ ৷ এক একজন জমিদারের একাধিক মহুল আছে। স্বতরাং জমিদারদের মোট সংখ্যা কয়েক হাজার। প্রধানতঃ তাহারা ও তাহদের পোস্তুদিগের স্ববিধ হইয়াছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে । কিন্তু যদি ধরা যায়, প্রত্যেকের একটি করিয়া মহল আছে, তাহা হইলেও পাচ কোটি লোকের মধ্যে লাখখানেক লোকের হাতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের লাভটা যায়। তাহাও তাহারা বা তাহাদের পূৰ্ব্বপুরুষের অধিকাংশ স্থলে টাকা দিয়া কিনিয়াছেন। এই আল্পসংখ্যক লোকের স্বৰিখা হইয়৷ থাকিলে বাকী ৪ কোটি ৯৫ লক্ষের উপর লোককে প্রাদেশিক রাজস্বের কৃত্রিম জল্পতার দুঃখ ভোগ করিতে বলা অন্ধভা, হৃদয়হীনতা ও অন্যায়পরায়ণতার শোচনীয় দৃষ্টান্ড। _. বিবিধ প্রসঙ্গ-জন্তান্ত প্রদেশের জ্ববিধ ج 6 صاصها অন্যান্য প্রদেশের সুবিধা যদি মানিয়া লওয়া যায়, যে প্রত্যেক বাঙালী সরকারী চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে স্থখ ভোগ করিতেছে, তাহা হইলেও অন্ত প্রদেশের লোকেরা কেন ভুলিয়া যান, যে, তাহারা সরকারী অন্তরূপ অনেক বন্দোবস্তে ও ব্যয়ে সুবিধা ভোগ করিতেছেন যাহা বাঙালীরা করে না ? জলসেচনের দ্বারা অস্তান্ত প্রদেশের কৃষিসম্পদ খুব বাড়িয়াছে, বঙ্গে সেরূপ কিছু নাই । লাভজনক বা উর্বরতাবিধায়ক ( productive") জলসেচনের খাল বঙ্গে নাই, অচ্চত্র কিরূপ আছে ও তজ্জন্ত কিরূপ ব্যয় হইয়াছে দেখুন। প্রদেশ পাল ও শাথাদির দৈর্ঘ্য কত একর জমি জল পায় ব্যয়িত মূলধন • २७8s8 भाईल ՀՎ58Հ նtrv Sఇ,ఆt 4 సెళిని বোম্বাই , ৫১৪১ . ఫిలిగి ఇచి ૩૩,88,૧૬,૧૯૬ আগ্ৰা-অযোধ্যা ১৪ • ১৭ . ♥ማxoፃ » ፃዩ∶ ఇర్మి• •,ఇt, see পঞ্জাব > છ૧ . ১২৩৪১৩১৮ צ8י,יפי, שר, אכי বাংলা শুস্ক , শূন্ত હ ૧,૬૭,68s এক একত্ব তিন বিঘার কিছু অধিক । ষ্ট্যাটিষ্টিক্যাল এবষ্টাক্টের অন্য একটা তালিকায় বঙ্গে ক্যান্তালের জলপ্রাপ্ত জমির পরিমাণ দেওয়া আছে, বটে ; কিন্তু তাহা সামান্ত । এই যে, কোটি কোটি টাকা অন্যান্য প্রদেশে খরচ করিয়া তাহাঁদের ধন বৃদ্ধি করা হইয়াছে, যাহা বাংলায় করা হয় নাই, ইহার জন্য ত বাঙালীরা কখনও বলে নাই, যে, অন্যান্য প্রদেশে সংগৃহীত রাজস্ব কাড়িয়া লইয়া তথাকার প্রাদেশিক অংশ খুব কম রাখা হউক । - ইহাই একমাত্র দৃষ্টান্ত নহে। বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর স্বতার কাপড়ের মিলে যে কোটি কোটি টাকা লাভ হয়, তাহ একমাত্র বা প্রধানতঃ তথাকার লোকদের বাহাদুরীতে নহে। বিলাতী ও জাপানী স্থতা ও কাপড়ের উপর বাণিজ্যশুদ্ধ না বসাইলে বোম্বাইয়ের ব্যবসা কোথায় থাকিত ? অস্তান্য প্রদেশের, প্রধানতঃ বঙ্গের, লোকেরা বেশী দাম দিয়া বোম্বাইয়ের কাপড় কেনে বলিয় তাহারা ধনী। গবন্মেণ্ট যদি বঙ্গের কয়েক হাজার জমিদারের সুবিধা করিয়া দিয়া থাকেন, সেরূপ এবং তার চেয়ে বেশী স্ববিধা বোম্বাইয়ের কলঙয়ালাদেরও করা হইয়াছে । টাটা কোম্পানীর লৌহ-ইস্পাতের কারখানা রক্ষার জন্ত বিদেশী লোহ-ইস্পাতের জিনিষের উপর বাণিজ্যগুস্ক আছে । তাহার জন্য ভারতবর্ষের—প্রধানতঃ বঙ্গের - লোকদিগকে বেশী দাম দিয়া লোহ-ইস্পাতের জিনিষ কিনিতে হয় । লাভটা পায় প্রধানতঃ বোম্বাইমের লোকের, কারণ জমশেদপুরের কারখানায় তাহাদেরই মূলধন বেশী থাটে। সেজন্ত ত বাঙালীর বলে না, যে, বোম্বাই-গবন্মেটিকে কৃত্রিম উপায়ে গরীব । कङ्गा इऍड्रेक । - . . . . .