পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sely জায়াকে ডাকিয়া ৰলিলেন, “ধুকি ফিরেছে রে ?” আয়া বলিল, “হ্যা, বাগানে রয়েছেন ।” জ্ঞানদা বলিলেন, “ডেকে ক্ষে তাকে ৷” যামিনী আসিয়া ঘরে ঢুকিল । তখনও গায়ে কোট, গলায় গরম শালের স্কাফ" জড়ান। জিজ্ঞাসা করিল, *কেন ভকিছ মা ?” জ্ঞানদা ভাহাকে নিজের কাছে টানিয়া বসাইয়। পিঠে e SనOBO হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিলেন, "আজ স্বরেশ্বর তোমাকে বিয়ে করবার প্রস্তাব তুলেছে, তুমি কি বল ? আমাদের ত খুবই মত্ত আছে।” যামিনী খাট ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল। তাহার পর দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া ঘর ছাড়িয়া পলায়ন করিল। ক্রমশঃ ఆ= দেশের অর্থ যায় কোথায় ? ঐসুরেন্দ্রকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই দেশের লোককে ব্যবসা করিবার পরামর্শ দিতে শুনি, যখনই বাঙালীদের ব্যবসাবুদ্ধিহীনতা ও কাৰ্য্যকুশলতার অভাষ শুনিতে পাই, যখনই শিক্ষিত যুবকদিগকে ফেরীওয়ালার কাজ করিতে প্রবুদ্ধ করিবার চেষ্টা দেখি, তখনই ঐ সকল পরামর্শদাতাদের অভিজ্ঞতা ও छूबघूडिब्र অভাবের জঙ্ক দুঃখ হয় । অন্ধ অঙ্গকে পথ দেখাইতে চায় ! পূৰ্ব্বে যে বাঙালী জাতি ভারতে ও ভারতের বাহিরে ব্যবসা-বাণিজ্য করিত তাহার প্রমাণের অভাব নাই । প্রাথমিক ইংরেজ ও তৎপূর্বত্তী ঐতিহাসিক মুসলমানের चाभ८ल दांश्लॉग्न ८ष *दTांकि९' दl भश्ॉछनौ «था क्लिज्ञ সেরূপ স্বল্পব্যয়ে এখন কোনও জাতির ব্যাঙ্ক কি কাজ চালাইতে পারেন । বাণিজ্যের প্রসার ভিতর ও বাহিরে বিস্তৃত না হইলে মহাজনী কারবারের আবভকত হয় না ; ভারতে আগমনের পূৰ্ব্বে ইংরেজের সেরূপ ব্যবসাবিস্তৃতি ছিল কি ? যখন তাহারা ভারতে আসে তখন তাহার সোন, রূপ ও বহুমূল্য প্রস্তরানি লইয়া আসিত এবং তাহার বদলে এ-দেশের নানাবিধ উৎপন্ন-দ্ৰব্য লইয়া স্বদেশে বিক্রয় কল্পিত। তাহাদের সে সময়ে লেন-দেন কারবার ছিল না, থাকিবার কোনও সঙ্গত ও জাবশুক कांब* क्विल नी । ংলায় শেঠ, বসাক, স্ববর্ণবণিক ও ক্ষেত্ৰী মহাজনগণ ইংরেজকে লেন-দেন কারবার শিক্ষা দেন ; এই মহাজনী কাৰ্য্য শিক্ষা করিয়া, যখন পরে ইংরেজ এ-দেশের একচ্ছত্ৰ রাজ্য হইল তখন মহাজন ছাড়িয়া তাহার দেশের প্রজার নিকট টাকা ঋণ করিতে এবং সাধারণ প্রজার টাকা গচ্ছিত রাখিবার কারবার আরম্ভ করিল । ফলে এ-দেশের মহাজনদিগের কারবারে হাত পড়ায় দেশী মহাজনদের টাকার সরবরাহ হ্রাস পাইতে লাগিল । দেশে চোর-ডাকাতের উপদ্রব হওয়ায় এবং তদুপরি তাহাদেৱ সহিত অনেক জমিদার সংশ্লিষ্ট থাকায় দেশের উচ্চতর শ্রেণীর উপর সাধারণ লোকের বিশ্বাস হ্রাস পাইতে লাগিল এবং দুৰ্দ্ধাস্ত ইজারাদারদের উৎপীড়নে লোক গৃহের টাকা হয় মাটির মধ্যে পুতিয়া রাখিতে স্বরু কলি, না-হয়, মহাজনদের নিকট গচ্ছিত রাখিল । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র - স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়িগণের নিকট টাকা গচ্ছিত রাখা সে-সময়ে খুব ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। চল্লিশপঞ্চাশ বৎসর পূর্বেও এ-প্রথা শহর ও মফঃস্বলে যথেষ্ট ব্যাপ্ত ছিল, কিন্তু দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমশঃ এ-দেশের । লোকের হাত হইতে বিদেশীর হাতে চলিয়৷ ঘাইতে থাকায় মহাজনদের টাকা আর সেরূপ খাটিত না । এ-ণিকে গবর্ণমেণ্ট যুদ্ধকাধ্য এবং দেশে রেল, পোষ্ট পিস, ,