পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ স্বলতা কহিলেন, “তা বেশ ত, শোধ কেন নেব না ?” বীণা কহিল, “কোথায় গেলেন বীরপুরুষ ?” স্কুলত কহিলেন, “কোথায় আবার, ব্রিজের আড্ডায় ।” বীণা কহিল, “ভালো কথা মনে পড়েছে, তোমার হয়ে এবিষয়ের সব ব্যবস্থাত আমার ক’রে দেবার কথা । রাজি আছ আমার পরামর্শ মতো চলতে ?” স্কুলত কহিলেন, “তোকে বাপু কথা দিতে ভয় করে । কি করতে হবে শুনি ? রমাপ্রসাদের সঙ্গে প্রেম ক’রে jealous ক'রে তুলতে হবে ?” বীণা কহিল, “পাগল, ওধরণের কাজ তোমাকে দিয়ে হবে না, তা আমি জানি।” ঐঞ্জিল হাসিতে হাসিতে কহিল, রমাপ্রসাদ । বেচারা !” বীণা কহিল, “ঠাট্ট নয়, সত্যিই বলছি। ভদ্রলোক ভয়ানক ব্রিজ ভালোবাসেন ?” “সেইরকম ত মনে হয় ।” “ত। এর ত খুব সহজ উপায় রয়েছে। নিজে খেলাটা শিখে নাও না ? তারপর তোমাদের দুজনেরই ভালো লাগে এমনতর বন্ধুবান্ধব দুএকজনকে ডেকো । কৰ্ত্তাও বাড়ী থাকৃবেন, তোমারও সময় কাঢ়বে ভালে।”

  • তা আবার

স্থলত তালিয়া উঠিলেন । কছিলেন, -কথাটা ভালো বলেছিস্ । তুষ্ট জানিল খেলতে ? দিবি শিখিয়ে ?” বীণা কছিল, “দেব না শুধু, ভদ্রলোক পাকাপাকি রকম ঘরমুখে না হওয়া পৰ্য্যস্ত তোমাদের সঙ্গে রোজ এসে খেলব ।” ইহার পর স্বলতা অজম্বের প্রসঙ্গ তুলিবেন ভাবিতেছেন, এমন সময় মিস্ত্রি লইয়া রমাপ্রসাদ ফিরিয়া আসিল, তাহদের পিছনে মন্ত একটা মই কাধে করিয়া কুলি আসিল । সেদিনকার মত গল্প জমিবার কোনও সম্ভাবনা আর রহিল না। সাড়ে-সাতটায় স্বভত্র আসিল। আজ সে একাকী ৰীণায় সম্মুখীন হইতে ভরসা পায় নাই, বিমানকে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছে। সমস্তদিন দুই বন্ধুতে শহরের नर्विब ठब्रङद्र कब्रिञ्च cर्थांख कब्रिड्रांटरू किरू चब८ञ्चब्र প্রবাসী ; Sన98O ठिकाना भिन्न नाई। पूब श्हे८ङ दौपाटक ८कथिब्राहे স্থভষ্ম বুঝিতে পারিল, তাহার কমনীয় মনটির উপর দিয়া কি নিদারুণ ঝড় বহিয়া ধাইতেছে, ভয়ে অগ্রসর হইয়া গিয়া অন্তদিনের মত কুশল জিজ্ঞাসাও করিল না। কয়েকটি নূতন মেম্বার দুটাই আনিয়াছিল, তাহাদের লইয়াই ব্যস্ত রহিল। অভিনয়ের অক্ষম আয়োজন চলিতে লাগিল, এক রমাপ্রসাদ ভিন্ন অপর কাহারও কিছুমাত্র উৎসাহ প্রকাশ পাইল না । কিছুক্ষণ অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করিয়া বীণা উঠিয়া পড়িল । স্বভদ্রের পাশ ঘেপিয়া গাড়ীবারান্দার ছাতে যাইতে যাইতে মুম্বুকণ্ঠে তাহাকে বলিয়া গেল, “এক শুকুন।” স্বভদ্র বাহির হইয়া আসিলে কহিল, “কিছু খবর পেলেন ?”

  • ন ।” “খবর পাবার আর আশা আছে কিছু ?” "যথাসাধ্য ড চেষ্টা ক’রে দেখেছি ।” কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় বাঁশ একটু হাসিয়া বলিল, “বেশ !”

আরও কিছুক্ষণ চুপ করিয়া কাটিলে বীণার সাত্বনাথ কিছু একটা বলিবে ভাবিতেছে এমন সময় রমাপ্রসাদ ছুটিয়া -আসিয়া স্বভদ্রকে সংবাদ দিল, “বিমানবাৰু কি চমৎকার রাজার পাটু করছেন দেখবেন আস্থন । উনি এত ভালো করতে পারেন, আমরা কেউ জানতাম না ত!” স্বভদ্র জানিত, কিন্তু বিমানের কিছুমাত্র স্বনাম নাই বলিয়া পাছে তাহার সঙ্গে অভিনয়ে নামিতে মেয়েদের আপত্তি হয়, এই ভয়ে প্রথম হইতেই তাহাকে বাদ দিয়া রাথিয়াছিল। অপণা খসিয়া পড়ার সংবাদ ক্লাবে জাসিয়াই পাইয়াছিল, ভাবিল, “এত সাবধান হয়েও যখন কিছু লাভ হ’ল না তখন ওকে আর বাধা দেব না।” বীণা ছুটি হাতকে কপালে ঠেকাইয়া কহিল, “আমি বাড়ী যাচ্ছি, ঐন্দ্রিলাকে দয়া ক’রে থ’লে দেবেন।” তাহাকে বাধা দেয়, বন্ধ চেষ্টাতেও এতটা কঠিন