পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 ন্যস্ত করিয়াছেন। ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে পোল্যাও স্বাধীনত লাভ করিয়া ১৮০০ লাইব্রেরী স্থাপিত করিয়াছে এবং নুতন লাইব্রেরী-আইন বিধিবদ্ধ হইলে পোল্যাণ্ডে লাইব্রেরীর সংখ্যা দাড়াইবে ১৫,০০০ । সোভিয়েট রাশিয়া পাঁচ বৎসরের মধ্যে রাশিয়াকে নিরক্ষত হইতে মুক্ত করিতে রুতসঙ্কল্প হইয় যে বিরাট আয়োজন করিয়াছে তাহা বস্তুতঃই বিস্ময়কর। লাইব্রেরীর ব্যবস্থাও তদুপযোগী করা হইতেছে। সে বিশাল দেশে এমন পল্লী নাই যেখানে কুটার লইেব্রেরী বা People's Houseশ্রতিষ্ঠিত হয় নাই। সেখানে লাইব্রেরীর সংখ্যা ৪৬,৭৫৯ এবং চলন্ত লাইব্রেরীর সংখ্যা ৫০,০০০ । ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে ফিনল্যাণ্ড স্বাধীনতা লাভ করিয়া জ্ঞানবিস্তারকল্পে বদ্ধপরিকর হয়। বিদেশী ভাষা রাজভাষা হওয়াম ফিনিস ভাষা বিলুপ্ত হইতে বসিয়াছিল, স্বাধীনতার অনুকূল বায়ুতে ফিনিস্ ভাষা নবগৌরবে গরীয়ান হইয় উঠতেছে। ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে লাইব্রেরী-আইনের বলে সেই তুষারাবৃত জনবিরল দেশে এক সহস্রাধিক পল্লী লাইব্রেরী গড়িয়া উঠিয়াছে। সেখানে আটত্রিশটি নগর এবং আঠারটি বরোতে শতকর। আশীটি সাধারণ পাঠাগার স্থাপিত হইয়াছে। সুইডেনে ৮৫• • লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তন্মধ্যে ১২৯৯টি ছেলেদের লাইব্রেরী। এই সব লাইব্রেরীতে গবৰ্ণমেন্ট ও মিউনিসিপ্যাল সাহায্যের পরিমাণ ১৯২০ খৃষ্টাব্দে লাইব্রেরী-আইন বিধিবদ্ধ হওয়ার পর হইতে ডেনমার্কের লাইব্রেরীর দ্রুত উন্নতি হইতেছে। কোপেনহেগেন শহরের রাষ্ট্রীয় লাইব্রেরী এবং বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী ছাড়া শহরের লাইব্রেরীর সংখ্যা আশীটি এবং পল্লী লাইব্রেরী আটশত। সরকারী ও নাগরিক সভার সাহায্যের পরিমাণ বার্ষিক উনিশ লক্ষ টাকা। ছেলেদের লাইব্রেরীর শ্রীবৃদ্ধিকল্পে রাষ্ট্রীয় লাইব্রেরীর পরিচালক সৰ্ব্বদা সচেষ্ট আছেন। বেলজিয়ামের লাইব্রেরী-সংখ্যা ১২০০ । হল্যাণ্ডে প্রাচীন সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠান Nut-এর মধ্য দিয়া লাইব্রেরী-আন্দোলন ক্রমশঃ সাফল্য লাভ করিতেছে। জাৰ্ম্মানী, ইটালী, ইংলুও প্রভৃতি বড় বড় রাজ্যে তো লাইব্রেরীর বিরাট আয়োজন থাকিবেই। তাহার কথা ছাড়িয়া দিয়া এশিয়াখণ্ডে প্যালেষ্টাইন, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, শুামরাজা, চীন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানে লাইব্রেরীর দ্রুত বিস্তার ও উন্নতি দেখা যাইতেছে। হাওয়াই اما ه ه ه و 4 ۹ و bد ় প্রবাসী ; SOBO দ্বীপের লাইব্রেরীর সাফল্যে মুগ্ধ হইয়া যাইতে হয়। প্রশাস্ত মহাসাগরে এই দ্বীপপুঞ্জ আটটি বড় খণ্ডে ও অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত। অধিবাসীও বিভিন্ন জাতীয়-চীন জাপানী, পর্তুগীজ, ফিলিপিন, স্পানিস, জার্মান, রাশিমান, ইংরেজ ও আমেরিকান প্রভৃতি নানা জাতি লইয়া এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসী। এত স্বাভাবিক অসুবিধা সত্ত্বেও এখানে লাইব্রেরীর কার্য্য অতি সুচারুরূপে পরিচালিত হইয়া থাকে। এখানে চারিটি উচ্চ শ্রেণীর লাইব্রেরী আছে ও ২৪৬টি পুস্তকবিলির কেন্দ্র আছে। গ্রন্থাধ্যক্ষের দ্বীপের সর্বত্র পরিভ্রমণ করিয়া পাঠকদের অভাব অভিযোগ শুনিয়া তাহাদের উপযোগী শিক্ষণীয় পুস্তক বিলির ব্যবস্থা করিয়া থাকেন। এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীর সংখ্যা ২৫০,• • • ; তাহাদের মধ্যে সাত লক্ষ পুস্তক প্রতি বর্ষে বিলি করা হইয়া, থাকে। গবৰ্ণমেণ্টের বার্ষিক সাহায্য তিন লক্ষ টাকা এই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে কেবলমাত্র পনর জন লোকবাস করে! তাহাদের জন্য নিয়মিত ভাবে পুস্তকাদি প্রেরিত হয়। এতক্ষণ বিদেশের কথাই শুনাইতেছিলাম। এখন ভারতবর্ষের কথা বলি। দেশীয় রাজ্য মধ্যে বড়োদা রাজ্যের ব্যবস্থা ব্রিটিশ ভারতের আদর্শস্থানীয় ও অনুকরণীয়। ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে পঞ্জাব গবৰ্ণমেণ্ট লাইব্রেরীর বিস্তারকল্পে খুব সচেষ্ট আছেন। র্তাহারা ১৬০০ স্কুল লাইব্রেরীকে পল্লী-লাইব্রেরীতে পরিণত করিয়াছেন এবং লাইব্রেরীর দ্বার সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাথিয়াছেন। জেলা বোর্ড সহযোগে গবর্ণমেণ্ট এই সব লাইব্রেরীর ব্যয়ভার বহন করিতেছেন। সাধারণের উপযোগী পুস্তক ; সাময়িক পত্রাদির প্রচুর ব্যবস্থা করা হইতেছে। উপযুক্ত গ্রন্থাধ্যক্ষ নিযুক্ত করিয়া সাধারণকে লাইব্রেরীতে আকর্ষণ ও তাহদের পাঠশূহ বৰ্দ্ধনের চেষ্টা চলিতেছে। যুক্তপ্রদেশে কয়েকটি জেলা লইয়া চলন্ত লাইব্রেরী প্রেরণের ব্যবস্থা হইয়াছে। মান্দ্রাজের গবর্ণমেণ্ট লাইব্রেরীতে অৰ্দ্ধেক সাহায্য দান প্রবর্তিত করিয়াছেন। লাইব্রেরী যত টাকা ব্যয় করিবে গবৰ্ণমেণ্ট তাহার অৰ্দ্ধেক ব্যয়ের সাহায্য করিয়া থাকেন। আর আমাদের বাংলা গবৰ্ণমেণ্ট লাইব্রেরীসংক্রান্ত বিষয়ে কিরূপ উদাসীন । বাংলা গবর্ণমেণ্ট কলিকাতার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—