পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এস্রাবণ বিৰিৰ প্রেসঙ্গ-পরলোকগত জগদানশী রায় (ին-Ց পশ্যশিল্প-কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ী বলিয়া স্থবিদিত, কিন্তু তিনি যে বঙ্গের অন্ততম প্রধান হিতকৰ্ম্মী, তাহ অনেকে জানেন না। নিজের কাজ সম্বন্ধে জ্ঞান, নিয়মিত শ্রমশীলতা এবং চরিত্রবত্তার বলে তিনি সামান্য অবস্থা হইতে রুতিত্ব ও সমৃদ্ধির শিখরে উপনীত হইয়াছেন । পাচটি লেডী টাটা বৃত্তি বোম্বাইয়ের লেডী টাটার দ্যন্ত সম্পত্তির আয় হইতে পাচ জন ভারতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষককে মাসিক দেড়শত টাকায় গবেষণ-বৃত্তি দেওয়া হুইয়াছে । ঠহার। মানুষের দুঃখনিবারণকল্পে নানাবিধ গবেষণা করিবেন । গবেষণ। প্রধানত: ঔষধাদি বিষয়ক । যে পাচ জন বৃত্তি পাইয়াছেন, তাহাদের নাম—নীরদচন্দ্র দত্ত, এম্-এসসি ; স্তধেন্দুকুমার গাঙ্গলী, এম্‌বি ; নরেন্দ্রনাথ ঘটক, এম্-এসসি ; মাটেনশুণ্ট। বেঙ্কট রাধাকৃষ্ণ রাও, এমৃ-বি. বি-এস্ ; এবং হরদয়াল শ্ৰীবাস্তব, এম্-এস। পাচ জনের মধ্যে তিনজন বাঙালী । তাহু হইলে দেখা যাইতেছে. সব বাঙালী যুবকের বৈজ্ঞানিক গবেষণা করিবার শক্তি লুপ্ত হয় নাই । পরলোকগীত জগদানন্দ রায় শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত জগদানন্দ রায় মহাশয়ের আকস্মিক পরলোকগমনে অতীতের সহিত ঐ প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম বন্ধনস্থত্র ছিন্ন হইল । তিনি উহা প্রতিষ্ঠিত হইবার অল্পকাল পর হইতেই উহাতে শিক্ষা দিয় আসিতেছিলেন, এবং কিছুদিন পূর্বে অবসর গ্রহণ করিবার পরও একটি শ্রেণীতে শিক্ষা দিতেন । গণিত ও বিজ্ঞান শিখাইতে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তাহার শিক্ষানৈপুণ্য এবং ছাত্রহিতৈষণার গুণে তিনি ছাত্রদের । শ্রদ্ধা ও প্রীতি অর্জন করিয়াছিলেন । র্যাহারা তাহার নিকট বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করিয়াছেন, তাহারা ছাড়া অনেক বেশীসংখ্যক বাঙালী বালক-বালিকাকে তাহার ছাত্র বলিতে পারা যায়। নানা বৈজ্ঞানিক বিষয়ে তিনি সহজ ও সরস ভাষায় । অনেক বাংলা বহি লিখিয়া গিয়াছেন। তাহা পড়িয়া ঐ সকল বালক-বালিকার এবং তাছাদের বয়োজ্যেষ্ঠদেরও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে জ্ঞান জন্মিয়াছে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তও তিনি এইরূপ পুস্তক রচনায় ব্যাপৃত ছিলেন। তিনি কাৰ্যক্ষম ছিলেন, বয়সও বোধ করি ষাটের বড় বেশী হয় নাই। সেই জন্য আমরা আশা করিয়াছিলাম, তিনি আরও অনেক সহজ ক্তগদাননী রায় বৈজ্ঞানিক বহি লিখিয়া যাইতে পারিবেন। বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সাহিত্যের উন্নতি ও বিস্তুতি সাধনার্থ একটি কাৰ্য্যপদ্ধতি প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটি কমিটি নিযুক্ত করিয়াছেন । জগদানন্দ বাবু তাছার সভ্য ছিলেন । শিশুর নানা প্রাক্ষতিক বিষয়ে ক্রমাগত • কেন,” “কেন,” প্রশ্ন করে । তাহার উত্তরে তাহার মনঃকল্পিত বাজে কথা শুনিতে পায়, কিংবা থমক খায়। আমরা জগদানন্দ বাবুকে এইরূপ অনেক প্রশ্ন যথাসম্ভব সংগ্ৰহ করিয়া তাহার বৈজ্ঞানিক উত্তরপূর্ণ একখানি বাংলা বহি লিখিতে অনুরোধ করিয়াছিলাম। তিনি এই কাজ করিবার জন্ত প্রস্তুত হুইতেছিলেন।