পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wgebe Gr বষ্টভাতের সাত দিন পরে প্রমীলাকে লইয়া যাইবার ক্ষপ্ত শঙ্কর আবার আমাদের বাড়িতে আসিল । দাদা শঙ্করকে লাইব্রেরী-ঘরে বসাইয়া মাকে খবর দিতে গেল । তখন বেলা আটটা, আমি মায়ের কাছে বসিয়া তাহার রান্নার জষ্ঠ কুইন কুট:তছিলাম, -প্রমীলা তাহার পূজার সাজ গোছাইতেছিল। মা বলিলেন, “নীর, ও-সব এখন থাকগে, তুই আগে চ তৈরি করে নিয়ে যা, আর ধরে কি কি খাবার আছে দ্যাথ—কুটুমের ছেলে বাড়িতে এসেছে। বউমা, তোমার দাদার সঙ্গে দেখা করবে, আমার সঙ্গে এস।” ম। প্রমীলাকে লইয়। বাহিরের দিকে গেলেন, আমি কেটলিতে চায়ের জল চড়াইয়৷ জলখাবার গুছাইতে লাগিলাম । মা ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন,—“ছেলেটি বড় ভাল, শুনেছি খুব বিদ্বান, আবার এদিকে খুব নম্র, চোখ তুলে কথা কয় ন। আর কি স্বন্দর চেহার, যেন একটি রাজপুকুর । বৌমা তার কাছে আছে, তুই যা জলখাবার নিয়ে যা ।” মা ও দাদা শঙ্করের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । কিন্তু আমার কাছে এসব কথা কেন ? আমি তাদের মতলব বুঝি বুঝতে পারিনে, আমি এতই মূখ। ইতিমধ্যে দাদা আসিয়া বলিল, - “কি রে চা হ’ল ? কত দেরি ?” আমি ঈষৎ কোপকটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া বলিলাম,—“দাদা, তোমার যে মস্ত তাগিদ দেখছি, শাল-সম্বন্ধী ত অনেকেরই আছে । জল গরম হয়েছে, এবার গুছিয়ে নিলেই হয়। তুমি এ জল নিয়ে যাও না ? না না, তোমায় নিতে হবে না, তুমি তাদের বাড়ির নতুন জামাই। ঝি বাজার থেকে এখনও এল না-- আচ্ছ, আমিই নিয়ে যাচ্ছি।” দাদা চাষের সরঞ্জামগুলো আনিয়া আমার সম্মুখে বসিল, আমি দুই পেয়ালা চা তৈয়ারি করিলাম এবং একখানা ট্রেতে চা, নিম্কি, সন্দেশ সাজাইয়া লইয়া দাদার পিছনে পিছনে লাইব্রেরী-ঘরে আসিলাম । আলিয়া দেখি, প্রমীলা জড়সড় হইয়া এক পাশে বলিয়া আছে, আর শঙ্কর একটা আলমারীর সামনে দাড়াইয়া বই দেখিতেছে। দাদার পিছনে আমাকে আসিতে দেখিয়া শঙ্কর বলিল,—“এই যে আপনি চা নিয়ে এসেছেন—নমস্কার, কিন্তু আমি ত এসেই স্বকুমারকে বলেছি SనOBO যে, আমি চ খেয়ে এসেছি, এখন কিছু খাব না। আপ এত কষ্ট করে এসব কেন আনলেন?” আমি একটু হাসিয়া বলিলাম,—“ত নয় আর একবা খেলেন। কুটুম-বাড়ি এলে মিষ্টমুখ করতে হয়।” এ বলিয়| চা ও জলখাবার টেবিলের উপর রাখিলাম। দান বলিল,—“শুভস্ত শীঘ্রমূ—এস হে শঙ্কর, এবার আরম্ভ কং যাক ৷” এই বলিয়৷ একথান নিমকি মুখে দিল। শঙ্কর থাইতে আরম্ভ করিল, এবং খাইতে খাইতে বলিল,-“কি আপনি যে দাড়িয়ে রইলেন, আপনি বন্ধন ।” আমি একথান চেয়ারে বসিয়া বলিলাম,—“শঙ্কর বাবু, আপনার ফিজিক্যা স্থাপিটাইটের (শারীরিক ক্ষুধার ) চেয়ে ইনটেলেকচুয়া ম্যাপিটাইটই (মানসিক ক্ষুধাই ) খুব বেশী দেখছি। আপ:ি ওসব কি বই দেখছিলেন ? আপনার কোন সবজে ( বিষয় ) পড়তে ভাল লাগে ?” শঙ্কর চাম্বে চুমুক দিতে দিতে বলিল—“নীরুদেবী, আপি জানবেন আমি একজন ভোরেশ্বাস রাডার ( পেটুক পাঠক । অর্থাৎ গোপাল যেমন যা পায় ভাই খায়, আমিও সেই রূ ষা পাই তাই পড়ি ।” দাদা বলিল,-“তুমি মন্ত ভুল করলে, শঙ্কর। দ্বিতী ভাগের মানে জান না ? গোপাল যা পায় তাই খায়, এ মানে সে একজন ভোরেস্তাস্ ইটার (পেটুক ) নয়, ড হ’লে সে স্নবোধ বালক হতে পারত না।” আমি বলিলাম, -“শঙ্কর বাবু, আপনি ঠকেছেন, আপ{ গোপালের মতন স্থবোধ বালক হতে পারলেন না। কি আজকালকার দিনে এ রকম স্ববোধ বালককে লোকে বেকু বলে। আপনার তা হয়ে কাজ নেই। আপনি :ি zelfstwE-” শঙ্কর বলিল,--“আপনাকে ধন্যবাদ, এ যাত্রা জাপা স্বকুমারের হাত থেকে আমাকে বাচালেন। আমি বলছিলা कि, चाभि यथन ८ष-वझे नाहे ठाझे श्रफ़ि, उरव श्डेिब्रिहे चांभा সবজেক্ট (পাঠ্য বিষয়), সেই সব বই-ই বেশী পড়ি মধ্যে মধ্যে দু-একখানা ভাল নভেল পেলে, তাও পড়িওনলি দি বেষ্ট বুক্স অৰ দি বেই অখাস (কেবল শ্রে লেখকদিগের শ্রেষ্ঠ বই) "