পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qise দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষা-সম্বন্ধে আমার মনের মধ্যে যে মজট সক্রিয় ছিল, মোটের উপর সেটি হচ্চে এই যে, শিক্ষা হবে প্রতিদিনের জীবনযাত্রার নিকট অঙ্গ, চলবে তার সঙ্গে এক তালে এক স্বরে, সেটা ক্লাসনামধারী খাঁচার জিনিষ হবে না। আর যে-বিশ্বপ্রকৃতি প্রতিনিক্ষত প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ ভাবে আমাদের দেহে মনে শিক্ষাবিস্তার করে সেও এর সঙ্গে হবে মিলিত। প্রকৃতির এই শিক্ষালয়ের একটা অঙ্গ পৰ্যবেক্ষণ আর একটা পরীক্ষা, এবং সকলের চেয়ে বড় তার কাজ প্রাণের মধ্যে আনন্দসঞ্চার। এই গেল বাহ প্রকৃতি । আর আছে দেশের অন্তঃপ্রকৃতি, তারও বিশেষ রস আছে, রং আছে, ধ্বনি আছে । ভারতবর্ষের চিরকালের যে চিত্ত, সেটার আশ্রয় সংস্কৃত ভাষায় । এই ভাষার তীর্থপথ দিয়ে আমরা দেশের চিন্ময় প্রকৃতির স্পর্শ পাব, তাকে অস্তরে গ্রহণ করব, শিক্ষার এই লক্ষ মনে আমার দৃঢ় ছিল। ইংরেজি ভাষার ভিতর দিয়ে মানা জ্ঞাতব্য বিষয় আমরা জানতে পারি, সেগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু সংস্কৃত ভাষার একটা আনন্দ আছে, সে রঞ্জিত করে আমাদের মনের আকাশকে, তার মধ্যে আছে একটি গভীর বাণী, বিশ্বপ্রকৃতির মতই সে আমাদের শাস্তি দেয় এবং চিন্তাকে মধ্যাদা দিয়ে থাকে। ষে-শিক্ষাতত্ত্বকে আমি শ্রদ্ধা করি তার ভূমিকা হ’ল এইখানে। এতে যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন ছিল, কেন-ন, এর পথ অনভ্যস্ত, এবং চরম ফল অপরীক্ষিত । এই শিক্ষাকে শেষ পর্যন্ত চালনা করবার শক্তি আমার ছিল না, কিন্তু এর পরে নিষ্ঠা আমার অবিচলিত। এর সমর্থন ছিল না দেশের কোথাও। তার একটা প্রমাণ বলি। একদিকে অরণ্যবাসে দেশের উন্মুক্ত বিশ্বপ্রকৃতি আর একদিকে গুরুগৃহবাসে দেশের শুদ্ধতম উচ্চতম সংস্কৃতি—এই উভয়ের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে তপোবনে একদা ষে-নিয়মে শিক্ষা চলত আমি কোনো এক বক্তৃতায় তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ব্যাখ্যা করেছিলেম। বলেছিলেম আধুনিককালে শিক্ষার উপাদান অনেক বাড়াতে হবে সন্দেছ নেই কিন্তু তার রূপটি তার রসটি ४डब्रि दरब्र ॐग्य अंक्लडिब्र गझ्षां८णं, ७ष९ सिनि निक शांन করবেন তার অন্তরজ আধ্যাঙ্কিক সংসর্গে। শুনে সেদিন গুলাল লোপাখা মাশন বলেছিলেন এ বৰাট ৰফি ন স বাস- 1; SOBO जरनाळिङ, कबि ७ब्र चञांबछकडी बडü कञ्चना क्रब्रटरून আধুনিক কালে ততটা স্বীকার করা যায় না। আমি প্রত্যুত্তরে তাকে বলেছিলেম, বিশ্বপ্রকৃতি ক্লাসে ডেস্কের সামনে বসে মাষ্টারি করেন না, কিন্তু জলেস্থলে আকাশে তার ক্লাস খুকে আমাদের মনকে তিনি যে প্রবল শক্তিতে গড়ে তোলেন কোনো মাষ্টার কি তা পারে ? আরবের মানুষকে কি আরবের মরুভূমিই গড়ে তোলে নি—সেই মানুষই বিচিত্র ফলশশুশালিনী নীলনদী তীরবর্তী-ভূমিতে যদি জন্ম নিত, তা হ’লে কি তার প্রকৃতি অন্ত রকম হত না ? যে প্রকৃতি সজীব বিচিত্র, আর বে শহর নিজীব পাথরে বাধানে, চিত্তগঠন সম্বন্ধে তাদের প্রভাবের প্রবল প্রভেদ নিঃসংশয় । এ-কথা নিশ্চিত জানি, যদি আমি বাল্যকাল থেকে অধিকাংশ সময়ই শহরে আবদ্ধ থাকতেম তবে তার প্রভাবট প্রচুর পরিমাণেই প্রকাশ পেত আমার চিন্তায় আমার রচনায়। বিদ্যায় বুদ্ধিতে সেটা বিশেষভাবে অনুভব করা যেত কি ন জানিনে কিন্তু ধাত হ’ত অন্ত প্রকারের। বিশ্বের অযাচিত দান থেকে যে-পরিমাণে নিয়ত বঞ্চিত হতেম সেই পরিমাণে বিশ্বকে প্রতিদানের সম্পদে আমার স্বভাবে দারিদ্র্য থেকে যেত । এই রকম আস্তরিক জিনিষটার বাজারদর নেই ব’লেই এর অভাব সম্বন্ধে ঘে-মানুষ স্বচ্ছন্দে নিশ্চেতন থাকে সে-রকম বেদনাহীন হতভাগ্য যে কৃপাপাত্র ত অন্তর্যামী জানেন। সংসারযাত্রায় সে যেমনি কৃতকৃতা হোক মানবজন্মের পূর্ণতায় সে চিরদিন থেকে যায় অকৃতাৰ্থ। সেইদিনই আমি প্রথম মনে করলেম শুধু মুখের কথায় ফল হবে না ; কেননা, এ-সব কথা এখনকার কালের অভ্যাসবিরুদ্ধ। এই চিন্তাটা কেবলই মনের মধ্যে আন্দোলিত হতে লাগল ষে এই আদর্শকে যতটা পারি কৰ্ম্মক্ষেত্রে রচনা করে তুলতে হবে। তপোবনের বা অল্পকরণ যাকে বলা যেতে পারে তা অগ্রাহ, কেন-না, এখনকার দিনে তা অসঙ্গত, তা মিথ্যে। তার ভিতরকার সত্যটিকে আধুনিক জীবনযাত্রার আাধারে প্রতিষ্ঠিত করা চাই । তার কিছুকাল পূৰ্ব্বে শান্তিনিকেতন আশ্ৰম পিতৃদেব জনসাধারণকে উংসর্গ করে দিয়েছিলেন । বিশেষ নিয়ম পালন করে অতিথিরা যাতে জুই-তিন দিন আধ্যাক্সিক শাভিয় সাধন कब्रट्ज नोटबन ५dरे हिल छैॉब्र नकन्न। ५ बछ $नांननामनिम्न