পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፀፀ জৰশেষে আনন্দের উৎসাহ সে আর সম্বরণ করতে পারলে না। সে বললে, “আমাকে আপনার কাজে নিন। খুব ঋণী হলেম কিন্তু কিছুতে তখন রাজি হলেম না। অবস্থা তাদের ভাল নয় জানভেম। বি-এ পাস করে এবং পরে আইনের পরীক্ষা দিয়ে লে সংসার চালাতে পারবে, তার অভিভাবকদের এই ইচ্ছা ছিল সন্দেহ নেই। তথনকার মত আমি তাকে ঠেকিয়ে রেখে দিলেম। এমন সময়ে ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল। আমার নৈবেদোর কবিতাগুলি প্রকাশ হচ্ছিল তার কিছুকাল পূৰ্ব্বে। এই কবিতাগুলি তার অত্যন্ত প্রিয় ছিল। তার সম্পাদিত Turntieth C, nhury *if## về #5:#efR cR-z!-Rzĩì তিনি ব্যক্ত করেছিলেন, সেকালে সে-রকম উদার প্রশংসা আমি আর কোথাও পাইনি। বস্তুত এর অনেক কাল পরে এই সকল কবিতার কিছু অংশ এবং খেয়া ও গীতাঞ্জলি থেকে এই জাতীয় কবিতার ইংরেজি অনুবাদের যোগে যেসন্মান পেয়েছিলেম, তিনি আমাকে সেই রকম অকুষ্ঠিত সম্মান দিয়েছিলেন সেই সময়েই। এই পরিচয় উপলক্ষেই তিনি জানতে পেরেছিলেন আমার সঙ্কল্প, এবং খবর পেয়েছিলেন যে শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয়-স্থাপনের প্রস্তাবে আমি পিতার সন্মতি পেয়েছি। তিনি আমাকে বললেন, এই সঙ্কল্পকে কার্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে বিলম্ব করবার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি তার কয়েকটি অনুগত শিন্য ও ছাত্র নিয়ে আশ্রমের কাজে প্রবেশ করলেন। তখনই আমার তরফে ছাত্র ছিল রথীন্দ্রনাথ, ও তার কনিষ্ঠ শমীন্দ্রনাথ, আর অল্প কয়েক জনকে তিনি যোগ করে দিলেন। সংখ্যা অল্প না হলে বিদ্যালয়ের সম্পূর্ণতা অসম্ভব হত। তার কারণ, প্রাচীন আদর্শ অনুসারে আমার এই ছিল মত, ষে, শিক্ষাদানব্যাপারে গুরু ও শিল্পের সম্বন্ধ হওয়া উচিত আধ্যাম্বিক। অর্থাৎ শিক্ষা নেওয়াটা গুরুর আপন সাধনারই প্রধান অঙ্গ। বিদ্যার সম্পদ যে পেয়েছে उीब्र निरञ्चबूढ़े निश्चीर्ष नांब्रिड cगई गच्न नान कब्र । আমাদের সমাজে এই মহৎ দ্বান্ধিৰ আধুনিক কাল পর্যন্ত স্বীকৃত হয়েছে। এখন তার লোপ হচ্চে ক্রমশই । उथम ८ष-कब्रt छोज निरग्न दिशांजरम्लग्न चाब्रछ इल ઉઃસ્વાદો છેઃ S්‍රොය তাদের কাছ থেকে বেতন বা আহার্ষ্য ব্যয় নেওয়া ক’ত না, তাদের জীবনধাত্রার প্রায় সমস্ত দায় নিজের স্বল্প সম্বল থেকেই স্বীকার করেছি। অধ্যাপনার অধিকাংশ ভার ঘনি উপাধ্যায় ও ঐযুক্ত বেরাচাঙ্গ—তার এখনকার উপাধি অণিমানন্দবহন না করতেন তা হলে কাজ চালানো একেবারে অসাধ্য হত। তখনকার আয়োজন ছিল দরিত্রের মত, জাহারব্যবহার ছিল দরিদ্রের আদর্শে। তখন উপাধ্যায় আমাকে ষে গুরুদেব উপাধি দিয়েছিলেন আজ পর্যন্ত আশ্রমবাসীদের কাছে আমাকে সেই উপাধি বহন করতে হচ্চে –আশ্রমের আরম্ভ থেকে বহুকাল পৰ্য্যন্ত তার আর্থিক ভার আমার পক্ষে যেমন দুৰ্ব্ব হয়েছে, এই উপাধিটিও তেমনি। অর্থঙ্কচ্ছ, এবং এই উপাধি কোনোটাকেই আরামে বহন করতে পারি নে কিন্তু দুটো বোঝাই যে-ভাগ্য আমার স্বন্ধে চাপিয়েছেন তার হাতের দানম্বরূপ এই দুঃগ এবং লাঞ্ছনা থেকে শেষ পৰ্য্যন্তই নিষ্কৃতি পাবার আশা রাখিনে । - শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের স্বচনার মূল কথাটা বিস্তারিত করে জানালুম। এই সঙ্গে উপাধ্যায়ের কাছে আমার অপরিশোধনীয় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি। তারপরে সেক্ট কবি বালক সতীশের কথাটাও শেষ করে দিই। বি-এ পরীক্ষা তার আসন্ন হয়ে এল। অধ্যাপকের। তার কাছে আশা করেছিল খুব বড় রকমেরই রুতিৰ। ঠিক সেই সময়েই সে পরীক্ষা দিল না। তার ভয় হ’ল সে পাস করবে। পাস করলেই তার উপরে সংসারের যে সমস্ত দাবি চেপে বসবে তার পীড়ন ও প্রলোভন থেকে মুক্তি পাওয়া পাছে তার পক্ষে অসাধা হয় এইজন্তেই সে পিছিয়ে গেল শেষ মুহূর্বে। সংসারের দিক থেকে জীবনে সে একটা মন্ত ট্র্যাজিডির পত্তন করলে। আমি তার আর্থিক অভাব কিছু পরিমাণে পূরণ করবার যতই চেষ্টা করেছি কিছুতেই তাকে রাজি করতে পারিনি। মাঝে মাঝে গোপনে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছি টাকা। কিন্তু সে সামাঙ্ক। তখন আমার বিক্রি করবার ৰোগ্য যা-কিছু ছিল প্রায় সব শেষ হয়ে গেছে, আন্তঃপুরের সম্বল এবং বাইরের সম্বল। কয়েকটা জায় জনক বইয়ের বিক্রয়ম্বৰ কয়েক বৎসরের মোঙ্গে দিয়েছি পরের হাতে। হিসাবের ছুৰোধ জটিলতায় সে মেয়াদ অতিক্রম করতে অতি দীর্ঘকাল লেগেছে। সমুদ্রতীরবাসের লোভে পুরীতে একটা