পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘স্পেশালাইজেশান । এখন জ্ঞানের এক একটা বিভাগের সামান্যতম টুকরা অংশকেও এমন জটিল এবং কষ্টায়ত্ত করা হুইয়াছে যে, স্পেশালাইজেশান ছাড়া মানুষের গতি নাই।’ অনাথ উত্তেজিত হইয়া কহিল, "আর তাহাতে জ্ঞানের যতই পরাকাষ্ঠ দেখান হোক, মাহুষের কি তাঁহাতে শান্তি আছে ? মানুষ চায় একটা পুর। মানুষ হইতে, অথচ একটি মানুষের পরিমিত আয়ুষ্কালে এ-যুগের চোখে কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হইতে গেলে সেই একই বিষয়ে তাহাকে এত খাটিতে হইবে যে, অপর সকল ক্ষেত্রে সে একেবারে শিশুর মতন। ধর, আমাদের কলেজের শৈলেশ লাহাকে, সে ইতিহাসে অনাস লইয়াছে। ইতিহাসের বষ্টয়েতে তাহার আগাগোড়া একেবারে মোড়া। সেদিন মহাত্মা গান্ধীর প্রায়োপবেশনের জন্য আমাদের ক্লাসের ছেলেরা নানা প্রকার আলোচনা করিতেছিল, শৈলেশ বইয়ের পাত হইতে দৃষ্টি তুলিয়া এমন অভিভূতের মত আমাদের দিকে চাহিল, তাহার কাছে ভারতবর্ষের মানে কেবল মার্শম্যান সাহেবের হিষ্ট্র অব ইণ্ডিয়ার মধ্যেই আবদ্ধ ! এমন স্পেশালাইজেশানকে আমরা অবজ্ঞা করি ? লীল কহিল, কথাট একদিক হষ্টতে ঠিক এবং এ-যুগের এই অতি-স্পেশালাইজেশান-প্রবণতাকে আর বাড়িতে না দেওয়াই উচিত। কিন্তু এ-কথাটা তোমরা অস্বীকার কর কি করিয়া যে, কেবল সর্থের নৈপুণ্যে, কেবল য়্যামেচার হইয়৷ থাকিবার কোমল দায়িত্বহীনতায় জগতে কোন স্থায়ী সম্পদ দেওয়া যায় না । রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বৎসরের প্রাত্যহিক সাধন তাহার লেখাকে অমরত্ব দিয়াছে । অতবড় প্রতিভাবান পুরুষকেও এক হিসালে স্পেশালাইজেশান মানিতে হুইয়াছে।’ অনাথ বিপন্ন হইয়। নরেনের দিকে চাহিল, ভাবখান এই যে, নরেন-দা ইচ্ছা করিলেই অমন নিশ্চেষ্ট হুইয়া না থাকিয় চোথা-চোখ বাণে লীলার কথাকে খণ্ড গগু করিয়া দিতে পারেন । কিন্তু নরেনের লেশমাত্র উৎসাহ দেখা গেল না, সোফার খুললেন নিল শ্যন আবিষ্ট হুইয়া পড়িম্বা রহিয়াছে। সারাক্ষণ যুদ্ধ করিয়া প্রান্ত হইয় পড়িলে মুখ-চোখের স্বেরূপ उiष श्व, न:ब्रट्नब भूथब्र cळ्शब्र थानकफै। cगले ब्रकन । નાના সেই দিকে কিছু কাল চাহিয়া লীলার সমস্ত মন সৎসা সখিত इहेब्रा औरौल । স্বপ্তোখিতের মত এক সময় চাহিয়া নরেন কছিল, ‘আজ ত আর সাতার শেখান হইল না। চল অনাথ, ফিজিন্মের বহির মধ্যেই ডুবমারা যাক। লীলা চলিয়া যাইতে যাইতে ফিরিয়া কহিল, ‘না না, আঞ্জ পড়াশোনা থাক । আজ আপনার শরীর ভাল নাই । দাদ, তুমি যেন তোমার স্বভাবমত র্তাহাকে অনর্থক ব্যস্ত করিম তুলিও না। তাহার বিশ্রামের দরকার।’ নরেন বাধ্য ছেলের মত আবার চক্ষু নিমীলিত করিল। 를 용 বুটির অশ্রান্ত শব্দের সহিত পায়ের উপর কয়েকটি অঙ্গুলির অসীম প্রিয়ম্পর্শ, সেইটুকু স্পর্শ সমস্ত জগতকে ছাপাইয়া, সারা মনকে আচ্ছন্ন করিম কোথাও যেন আর আপনাকে ধরাইতে পারিতেছে না। অবশেষে এই মোহময় স্পৰ্শ অনুভূতির মাঝে নিদ্রাহীন রাত্রির মাদকতা আরও প্রগাঢ় হইয়| উঠিতে লাগিল। বহু দিন পরে প্রবল বৃষ্টিপাতে ভূমিতল হক্টতে উত্থিত ঘন সুগন্ধ সেই স্পশের স্মৃতিকে আকুল করিয়া মনের মাঝে ঘনাঈমু আনিতে লাগিল । নরেনের ইনফ্লুয়েঞ্চ হুইয়াছে খবর পাইয়৷ উৰ্ম্মিল দেখিতে আসিয়াছেন। দেখা-শোনা শেষ হক্টলে নরেনের মা লীলাকে কহিলেন, ‘এইখানে একটুখানি বোস না মা। আমার সংসারের কাজের নান ঝঞ্চাটে সকল সময় বসিতে পাষ্ট না, নরেন একল থাকিয় শরীরটাকে আরও মাটি করিতেছে।" লীলা আনত মুখে নরেনের মাথার কাছে একটা চৌকিতে বসিল, কোলের কাছে একটি পাচ ছয় বছরের ফুটফুটে মেয়ে। মেয়েটির চেহারা দেখিতে ভারী মিষ্ট। অনেকটা লীলার সহিত মুখের জাদল আসে। নরেন সেই ছোট খুকীটির দিকে চাহিয়৷ ছিল, কছিল, ‘এটি আপনার কে হয় ? লীলা। এটি আমার দিদির মেয়ে । দিদি মারা যাওয়ার পর হইতেই আমাদের কাছে আছে। নরেন তাহাকে আপনার শষ্যার একাংশে ডাকিয়া আনিয়