পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ye 8 প্রবা AMSMMSAASAASAASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS MM S AAAA SSAAAASSSS S SS A S A S A S A S A S J S SAAAS AAAAA AAASS লইয়৷ সৰ্ব্বপ্রথমে লঙ্কার যে গুছে যাইয়া উপনীত হইয়াছিল, তাঁহাতে ধাতব শিল্পের এবং মণি মাণিক্য ও স্ফটিক সমাবেশের বিশেষ বিচিত্ৰত লক্ষিত হইয়াছিল। ‘রাবণ শোকদীন বিবশী সীতাকে বলপূর্বক লইয়া হৰ্ম্ম্যমালাসমম্বিত অস্তঃপুরের দুন্দুভি-শব্দে মুখরিত কনক-নিৰ্ম্মিত সোপান-পথে আরোহণ করিল। সেই কনক-সোপান হস্তীদন্তু সুবর্ণ রজত ও স্ফটিকে নিশ্মি ত মনোহর স্তম্ভমলার উপর স্থাপিত । সেই স্তন্থগুলিব গাত্রও অীবীর বজমণি ও বৈদুৰ্য্যমণিতে খচিত । সেই গৃহের গজদন্ত ও রজতে নিশ্মি ১ গবাক্ষগুলি স্বর্ণজালে লিমণ্ডিত ছিল ।” লঙ্কার বর্ণনার প্রযি সৰ্ব্বত্রই স্বর্ণ ও রৌপ্য-শিল্পের এইরূপ উচ্চ নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় । তথন সাধারণেব ব্যবহাগ্য অনেক জিনিস এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলি লৌহনিৰ্ম্মিত ছিল । শঙ্কটের উল্লেখ বামায়ণে ( বলকাও ৩১ সৰ্গ ) । সাহায্যে প্রস্থত হঠত । ধাতুনিৰ্ম্মিত যে-সকল দ্রব্যের নাম রামায৭ে দেখিতে পাওযা যায তাহার কতকগুলি নিম্নে প্রদান কর। গেল । ধাতুনিৰ্ম্মিত পশুমূৰ্ত্তি (অ ১৫ ), কনকনিৰ্ম্মিত মষ্টি (ম ১৪), কাঞ্চননিৰ্ম্মিত মণি-খচিত সিংহাসন (অ ৩), স্বর্ণ ও রৌপ্য বেদিক (অ ১০), স্ববর্ণের ভদ্রাসন (অ ২৬), স্বর্ণমঞ্জরীপূর্ণ স্ফটিক-ধবল চামর (ল ১১), (অ ২৬ ), স্বর্ণময় বথ ( বা ৫৩), হস্তী ও স্বশ্বেব লৌহ বৰ্ম্ম (ল ৭৪), স্বর্ণরঙ্গ (ল ১১৮), কাঞ্চন কবচ (আl ৬৪), স্বর্ণমুষ্টি খড়গ (অ| ৪৩), স্বর্ণ কিরাট (স্থ ১০), স্বণ ও রজত মুদ্র (অ ৩•), স্বর্ণ কমণ্ডলু (স্ক ১), স্বর্ণ কলসী (স্থ ১১), স্বর্ণ পত্র (স্ক ১) স্বর্ণ প্রদীপ (স্ত ১১ ), স্বর্ণগড় (গ ৯.) স্বর্ণময় হস্ত প্রক্ষালন-পাত্র ( ক্স ৯১ ), বঞ্জতনিৰ্ম্মিত ভোজন-পত্ৰ (ব| ৫৩), কা"ম্য দোঙ্গন-পাত্র (বা ৭২), স্বর্ণসম ( ), হুঙ্গার ( { ১৪ ), রৌপ্য পঞ্জব (ল ৬৫ ), ইত্যাদি । স্বর্ণ ও রৌপ্যনিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদির উল্লেখ ব্যতীত রামাযণে অস্ত হীন ধাতু-দ্রব্যের উল্লেপ বেশী দেখিতে পাওযা যায না । ই হব প্রধান কাবণ এই যে রামীযণ রাজপরিবারেবষ্ট ইতিহাস । অযোধ্যl. লঙ্ক ও কিষ্কিন্ধ্যার বিভব বর্ণনায়ই রামায়ণ পু : দরিদ্র-জীবনের কথা ইহাতে নাই। যুদ্ধাস্ত্রগুলি বোধ হয় সকলি ঠেীত-নিৰ্ম্মিত ছিল । রামায়ণী যুগে এক ধাতুর সহিত অন্য ধাতুর মিশ্রণ দ্বার। যৌগিক ধাতু প্রস্তুত করিবার বীতি প্রচলিত ছিল কি না তাই স্পষ্ট অবগত হওয়া যায় না। আমব উপরে যে-সকল ধাতু-নিৰ্ম্মিত দ্রব্যের উল্লেখ BBBB BBBB BBBBB BBBB BBBSS BSBBB BBB যৌগিক ধাতু। বালকাণ্ডের ৭২ সর্গে আছে—পুত্রদিব বিবাহ অন্থে গৃহে যাইয় রাজ দশরথ চাবিজন ব্রাহ্মণকে বৎস ও কাংস্ত দোহনভাণ্ড সহ গাভী দান করিয়াছিলেন । হুতরাং এই যৌগিকধাতুটির কথা আমরা রামায়ণে পাই । - কোন বৈদিক সাহিত্যে কাংস্তের উল্লেখ নাই । বুদ্ধদেবেব সমসাময়িক স্বশ্ৰুতের নামে যে আয়ুৰ্ব্বেদের প্রাচীন গ্রন্থ প্রচলিত আছে, সেই সুপ্রাচীন “সুশ্রীতে” কাংস্তের উল্লেখ আছে । ( সুশ্রুত, স্বত্রস্থান, ৪৬ অঃ ৩৬৩ শ্লোক । ) প্রাচীন ভারতে তাম ও টিন (ত্রপু) পরিচিত ছিল । স্মৃতিশাস্ত্রে এই দুটি ধাতুর পরস্পর যোগে যে কাংস্ত উৎপন্ন হয় তাহ প্রাপ্ত হওয়া যায়। যথা—ত্রপুস্তাম্রয়েtঃ সংযোগে ধত্বস্রস্ত কাংস্তস্তোৎপত্তি ।” পিত্তল আর-একটি যৌগিক ধাতু। তাহ দস্তা ও তামার মিশ্রণে প্রস্তুত হয় । আবণ্য কাণ্ডের ২৯ সর্গে রূপক ভাবে পিত্তলেব উল্লেখ আছে ৷ যথ{-শকট এতম৷ " শকট বথ প্রভূতি যান গুলি লৌহ কীলকেব সী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩০ { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AAAAAA AAAA SAS A S A S A S A S A S A S A S A S A YS S AAAAA SAAAAS SAAAAAS AAAAAA تیره می = ه_ * SS S SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS • • • • • • • • দেখিতে পাওয়া যায়। নিশাচর থর ক্রুদ্ধ হইয়া রামকে যে প্রত্যুত্তর দিয়াছিল, তাহার এক অংশে আছে —তুম্বাগ্নির উত্তাপে স্বর্ণ-প্রতিরূপ পিত্তলের যেমন মালিস্য লক্ষিত হয়, সেইরূপ আত্মশ্লাঘায় কেবল তোর লঘুতাই দৃষ্ট হইতেছে।” স্ববর্ণপ্রতিরূপ অর্থে তান্ত্রিক যুগে অাধুনিক পিত্তলকে বুঝাইত । রামায়ণে পারদের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু ততার কোন ব্যবহারের পরিচয় পাওয়া যায় না। পরীর সংযোগে আধুনিক কালে সিম্পূব প্রস্থ স্ত হয় ; রামায়ণে সিন্দরের উল্লেখ নাই। তখন মচিলার সিন্ধুর ব্যবহার করিত না ; আধুনিক যাত্রাগানের ত্রীকৃষ্ণের মত গও পার্শ্বে বক্তবর্ণ মনঃশিলার তিলক ব্যবহার করিত। সীতা হনুমনকে BBBBB S S B S 0S0SKB BB BBBBBS BB BSBB গওপর্থে তিলক করিয়া দিয়াছিলেন এই কথাটি রামকে স্মরণ করাইয দিও । মন:শিলাও একটি রক্তবর্ণ গিরিজ-ধাতু বিশেষ । পাবদ হইতে সিন্দূরেব উৎপত্তি সুশীতেব যুগে হইয়াছিল। বঁচেব BBBB BBB BBB SBBBSBBBBS BBBSS 0S0 LSLSSSDSSS কিন্তু রামায়ণে নাই । রামায়ণে দর্পণেব উল্লেখ আছে . কিন্তু তাহ ধাতু-নিৰ্ম্মিত কি স্ফটিক-নিৰ্ম্মিত—ভtহব তাtভাস কোন স্থানেই নাই । ( বঙ্গীয় সমাজে বিবাহদি ক্রিযয এখনও বব-কস্তাব নবকুন্দরের প্রদত্ত ধাতু-নিৰ্ম্মিত দর্পণ ব্যবহ'ব করিযী থাকে । পুর্ববঙ্গালীর কুমারী কম্বারা মাঘ মাসে মাঘমণ্ডল পূজিতে যাইয় চিত্রিত দর্পণ পূজা কবে ও মন্ত্র ভূপে— আমি পুজিতেছি গুড়ির অীযন । আমার জন্ত্যে যেন হয় অভ্রের অয়ন ৷৷ প্রাচীন দর্পণের কথা চিন্তা করিতে পাঠক এই দুটি কথাও একটু ভাবিবেন । ) কাচ ও স্ফটিক এক নহে । স্ফটিক আকরিক সঙ্গীমূল্য প্রস্তর : বালি ও ক্ষাবে প্রস্তুত যৌগিক পদার্থ কাচ । কাচকে দর্পণে পরিণত করিতে পারদের প্রযোজন। পাবদেব উল্লেখ বামায়ণে থাকিলেও পারদেব যৌগিক বা রসায়নিক বিধ সুশ্ৰুতেব পূৰ্ব্বে পরিচিত হয নাই । ( ৮l. পি. সি. বয উiহ'ব 'হিন্দু বসায়নেব ইতিহাসে’ লিখিযাছেল-পাবদ স্ব শ্রম্ভের সময় ভারতীয় সমাজে পরিচিত হইয়াছিল । সুশ্ৰুত ১ম শতাব্দীর অযুৰ্ব্বেদ গ্রন্থ। হশত কাশীরাজ দিবোদাসেব সময় অবিভূ ত হইয়ছিলেন বলিয় তাহার রচিত “সুশ্ৰুত” গ্রন্থে প্রকাশ। কাশীবাজ দিবোদাস ছিলেন বুদ্ধদেবেব সমসামধিক। লবে সুশ্রুতের যে প্রতিসংস্কার হইয়াছিল এবং BBBB BBB B BB BBBBBBB DD BBS BBS BBB পীলে । ) কোন ধাতুকে রূপান্তরিত করিয়া কাংস ও পিত্তলে পরিণত করা ব্যতীত উদ্ধ ধাতুতে অর্থাৎ স্বর্ণে বা বৌপ্যে পরিণত করিবার কোন চিস্তা বা কল্পনা বৈদিক সাহিত্যে নাই। পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকেরা বলেন, প্রাচীন মিসরায়েরই নাকি নীচ ধাতুকে উচ্চধাতুতে পরিণত করিবার জন্ত সৰ্ব্বপ্রথম চেষ্টা করিয়াছিল । তাহদের এই বিদ্যার নাম ছিল ‘কিমিয় বিদ্যা । ( মিসরীয়ের কিমিয় বিদ্যার সাধনে বহু শক্তি ব্যয় করিয়াছিল। শোনা যায, তাহারা কিমিয়া-প্রভাবে নীচ ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করিতে পারিত। এই বিদ্যা ক্রমে “এলকেমি” নামে পরিচিত হয়। এখন “এলকেমিই কেমিষ্ট্র নামে পরিচিত। ) রামায়ণে নীচ ধাতুকে উচ্চ ধাতুতে পরিণত করিবার কোন উল্লেখ নাই। "