পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ ইউরোপে শক্তিভস্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা— যুদ্ধের পরে ইউরোপীয় রাষ্ট্ৰতন্ত্রে গণমতের প্রভাব অনেক কমিয় গিয়াকে । কৰ্ম্মনৈপুণ্য হশূখলা ও সংহতির জন্য গণপ্রভাবকে পৰ্ব্ব করিয়া সুদক্ষ ও কৰ্ম্মকুশল একদল লোকের উপর শাসনের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ছাড়িয়া দিবাব প্রবৃত্তি এখন ইউরোপে প্রবল হইয়া উঠিতেছে । জার্মানী ও কশিয়াতে জননীয়কগণ বিন বtধীয় যেরূপ ক্ষমতা ব্যবহার করিয়া আসিয়াছেন তাহতেই বুঝা যায় যে শক্তির নিকট মানুষ কত সহজেই মন্তক অবনত কলে । জাৰ্ম্মানী ও কশিয়ার রাষ্ট্রীয নেতারা আপনাদের ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার কবিলেও গণ প্রধাস্বাকে উtহাব! স্বীকার করিয়া আসিয়াছেন এবং জনসাধারণের প্রতিভূস্বরূপই উহার ক্ষমতার ব্যবহাব কবিয আসিয়াছেন । কিন্তু ইতালী ও স্পেনে যে নববিপ্লব দেখা দিয়াছে তাঙ্গার মুলে রহিয়াছে গণপ্রাধান্যকে অস্বীকার করিয়৷ শক্তিধরের শাসনপ্রাধান্ত স্থাপনের প্রয়াস। এ হিসাবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ইংলণ্ডের অলিভার ক্রমূওয়েলের আন্দোলনের তুলনা চলিতে পারে। গণমূলক দুৰ্ব্বল শাসনতন্থের পরিবর্ষে শক্তিধর পুরুষের যথেচ্ছ শাসনে দেশের ব্যয়-সঙ্কোচ ঘটাইয় এবং খুব কঠোব নিয়মনিষ্ঠার প্রবর্তন করিয৷ সৰ্ব্বত্র স্বশুস্থল ও সংহতি আনয়ন করিয়া দেশের মঙ্গলসাধন করাই এই নব আন্দোলনের উদেষ্ঠ । একজন শক্তিধর পুরুষ যতদিন পধান্ত নেতৃত্ব করিবার সুযোগ পান ততদিন পৰ্য্যন্ত এরূপ শাসনে সুফলই ফলিয়া থাকে। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের শক্তির উপর একান্ত নির্ভর করিয়া থাকিতে হয় বলিয়াই সে ব্যক্তিবিশেধটির অন্তদ্ধানের সঙ্গে-সঙ্গেই আবার নীনারাপ গোলযোগেব সূত্রপাত ঘটে। দেশ যখন পুঞ্জীভূত অব জনায ভক্লিয় উঠে, দুৰ্ব্বলতা যখন নন। অত্যাচারের কারণ হইয৷ উঠে, তখন কিন্তু দুই-একজন শক্তিধরেব শাসন অনেক সময়ে মঙ্গলের কাবণ হইয় থাকে । রাষ্ট্রীয় দুর্দশা হইতে মুক্ত করিয়৷ ই ঠালীকে নবজীবনে সঞ্জীবিত কবিবার জন্ত মুসোলিনি ফ্যাসিস্তি বিপ্লবের সূচনা কবেন। মুসোলিনিব পরিচালনায় শাক্ত ধৰ্ম্মে দীক্ষিত নবীন ইতালী রোমক সাম্রাজ্যের পূর্ববগেীরণে আপনাকে অধিষ্ঠিত কবিবার প্রযাস পাইতেছে। অ্যlলবেনীয়াতে গ্রীসের প্ররোচনাতেই ইতালীর দূতেব গুপ্তঘাতকের ইস্তে মৃত্যু সংঘটিত হইয়াছে মনে করিয়৷ এই হত্যাকাণ্ডেব দায়িত্ব গ্রীসের উপর আরোপ করিয়া মুসেলিনি গ্ৰীক সৰ্বকবিকে যেরূপ হীনতা স্বীকার করিতে বাধা করিয়াছেন তাহ স্ববাই গ্রীসের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করিয়াছে । র্যাপেলে সন্ধিসৰ্ত্তে আড্রিয়াটিক উপসাগরের কর্তৃত্ব লইয়৷ ইতালী সরকার ও যুগোসুভিয়ার মধ্যে যে রফা-নিম্পত্তি হয় তাহাতে ফিউমসংক্রাস্ত কতকগুলি সৰ্বের শেষ মীমাংস হয় নাই । শেষ নিপত্তি না হওয়া পৰ্য্যন্ত ফিউমে স্বায়ত্ত্ব-শাসনের প্রতিষ্ঠা হয় এবং সিঞোর 2የሥራ% Feར་ SMBeeeBMhTTSBBSMS000MTY দোপোলি শাসনকৰ্ত্ত নির্বাচিত হন । ইউরোপের অর্থনৈতিক দুরবস্থা বাড়িয়া উঠাতে ফিউ প্রদেশের দুর্দশ এতদূর বাড়িয়া উঠিয়াছে যে ফিউম সরকার বেকার সমস্তার সমাধান না করিতে পারায় মন্ত্ৰীসভা পদত্যাগ করিয়াছেন । দোপোলি ইতালীসরকারকে জানাইয়াছেন যে শীঘ্রই ফিটম সম্বন্ধ একটা মীমাংসা না হইলে শাসনতন্ত্রের অভাবে অরাজকত দেখা দিবে। বৈরাজ্য ও মৎস্তস্তারের হস্ত হইতে ফিউমকে রক্ষা করিবার অজুহাতে মুসোলিনিমন্ত্রীসভা ইতালীয় সেনাপতি জেনারেল জিয়ীৰ্ব্বদাইনকে ফিউমের এর সামরিক শাসনকৰ্ত্ত নিয়োগ করিয়া পঠাইয়াছেন। ইতালীর এই হঠাৎ অধিকারে যুগেসুভিয়া-সরকার অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছেন। যুগোসুভিয় কোনও দিন আপনাব দাবী পংি ত্যাগ করেন নাই । এবং তাহাব এই দাবীর সুত্রে উভয় রাজ্যের মধ্যে কথাবাওঁ চলিতেছিল । কাজে-কাজেই যুগোস্লাভিয়ার সহিত কোনপ্রকার নিম্পত্তি হইবার পূর্বেই ইতালীর ফিউম অধিকার যুগোসুভিয় কখনই পছন্দ কটিতে পারেন। ইহা বুঝিতে পারিয়া হঠাৎ আক্রমণেব হীত হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্ত ইতালী ফিউমপ্রাস্তে সৈন্তা-সমাবেশ আরম্ভ কfয় দিয়ছেন। স্বার্থে স্বার্থে যেরূপ সংঘাত বধিয়া উঠিতেছে তাহাতে মনে হয় এইরূপ একটি ক্ষুদ্র উপলক্ষ্যকে অবলম্বন করিয়া আবার শীঘ্রই শাস্তিহীন ইউরোপে সমরানল জুলিয়া উঠিবে। বিশ্বযুদ্ধের অবসানে ইউরোপে পোল, স্লোভাক প্রভৃতি জাতিকে আবার মাথা তুলিয়া দাড়াইতে দেখয় স্পেনেও জাগরণের সাড় পড়িয়া গিয়াছে। আপনার পুর্বগৌরবের কথা স্মরণ করিয়া বৰ্ত্তমান দুৰ্গতি হইতে মুক্তিলাভ করিতে স্পেনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়াছে। বিংশ শতাব্দীর আরম্ভ হইতেই স্পেন দুরবস্থার চরম সীমায় উপনীত হইযtছে । আপনার বিশাল সাম্রাজ্য একে একে হীরাইয়া পেনেব অবশিষ্ট ছিল মরক্কো প্রদেশ । ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে মুরজাতিও বিদ্রোহী হইয়। মরক্কোর মেলিল অঞ্চলে স্বাধীন রাজত্ব স্থাপন করে। এই তের বৎসর স্পেন বিদ্রোহ দমনের বৃথা প্রয়াস পাইয়৷ অtসিয়াছে । অভিযানের পর অভিযান অকৃতকাৰ্য্য হইয়া ফিরিয়া অtসিযছে এবং তlহার ফলে পনেরো বার মন্ত্রীসভার পরিবর্তন হইয়াছে। কিন্তু অকৰ্ম্মণ্য মন্ত্ৰীসভার পরিবর্তে দুৰ্ব্বল মন্ত্ৰীসভারই হস্তে শাসনভার পড়াতে ফল একই হইয়াছে। বৎসরের পর বৎসর নুতন বন্দোবস্তের চেষ্টা হইয়াছে, নুতন লোকের উপর শৃঙ্খলার ভার পড়িয়ছে, কিন্তু একইরকমের বিশৃঙ্খল, একইরকমের বেবন্দোবস্তু সমস্ত আয়োজন ব্যর্থ করিয়া দিয়াছে । বৰ্ত্তমানকালোপযোগী সাজসরঞ্জামহীন বৈজ্ঞানিক যুদ্ধপদ্ধতিতে-অশিক্ষিত বর্বর মুর জাতির নিকট বার বীর পরাস্ত হইয়াও ইজ্জতের ভয়ে স্পেন মরক্কে। প্রদেশ পরিত্যাগ করিতে পারে নাই। ১৯২১ খৃষ্টাব্দে স্পেনের চরম দুৰ্গতি হয়। এইবার মেলিল অভিযানকে সফল করিবার জন্ত বিপুল উদ্যোগ