পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ৫ । হিমাএল, ভাণ্ডার, সাকেন, পালট, তামেচা, সাও । , “তেওয়র” = দক্ষিণ কর্ণের প্রায় তিন অঙ্গুলী উৰ্দ্ধ হইতে আরম্ভ করিয়া বাম কৰ্ণমূলের নিম্ন কাটিয়া বাহির হইয়া যায়। 響 “ভুজ” = বাম বাহুর মধ্যভাগ ; বাম স্কন্ধ ও কচুইএর মাঝামাঝি। “উণ্ট। মোঢ়" = বাম স্কন্ধ মোঢ় হই&ে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণ স্তনের বোটার দুই অঙ্গুলী নিম্ন বরাবর দক্ষিণ বক্ষপাশ্ব কাটিয়া বাহির হইয়া যায়। “মন” = বাম বক্ষপণশ্ব হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণ গলদেশের মূল কাটিয়া বাহির হইয়া যায়। “হিমাএল”—দক্ষিণ গলদেশের মূল হইতে আরম্ভ করিয়া বাম কোমর পাশ্ব কাটিয়া বাহির হইয়া যায় । “আসর” = দক্ষিণ হাটুর অৰ্দ্ধহস্ত উৰ্দ্ধ হইতে আরম্ভ করিয়া ভিতরের দিকে ঈষৎ নিম্নমুখে বক্রভাবে উরুদেশ কাটিয়া ফেলা হয় । বর্ণন –১ ৷ “তেওয়র” আর্টুকাইবার সময় হাতের কজি দক্ষিণ স্কন্ধ হইতে প্রায় অষ্টাদশ অঙ্গুলী সম্মুখে থাকিবে এবং লাঠির অগ্রবিন্দু বাম স্কন্ধ মোঢ় হইতে প্রায় অষ্ট অঙ্গুলী বাম দিক্‌ বরাবর উদ্ধে থাকিবে । ৩য় । “ভূজ” আট্‌কাইবার সময় হাতের মুঠার বুদ্ধাঙ্গুলী বাম স্কন্ধ হইতে প্রায় চারি অঙ্গুলী বামে ও প্রায় অৰ্দ্ধ হস্ত সম্মুখে থাকিবে, লাঠির অগ্রবিন্দু নিম্নমুখ হইয়া ঈষৎ বামের দিকে হেলিয়া থাকিবে । ৪র্থ । “উন্ট মোঢ়া” আট্‌কাইবার সময় হাতের মুঠার বৃদ্ধাঙ্গুলী বাম ভ্রর অৰ্দ্ধহস্ত সম্মুখ বরাবর থাকিবে এবং লাঠির অগ্রবিন্দু বাম কুক্ষি হইতে প্রায় দেড় হস্ত বাম দিক্‌ বরাবর সম্মুখে থাকিবে । “মন” আট্‌কাইবার কালে হাতের মুঠ বাম বক্ষপাশ্বের বামে ও লাঠির অগ্রবিন্দু দক্ষিণ হাটু বরাবর গেলে প্রতিপক্ষের আঘাতকে বামে ও নিম্নে আঘাত করিয়া দূর করিয়া দিতে হইবে । ৫ম । ‘হিমএল” আট্‌কাইবার কালে হাতের মুঠার বৃদ্ধাঙ্গুলী দক্ষিণ স্বন্ধ মোঢ়ের প্রায় অষ্টাদশ অঙ্গুলী টুমুখে এবং লাঠির অগ্রবিন্দু বাম স্বন্ধ মোঢ় হইতে লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা >>外 কিঞ্চিদধিক অৰ্দ্ধহস্ত বাম ও সম্মুখ ভাগ বরাবর উদ্ধে থাকিবে । “আসর” আট্‌কাইবার কালে হাতের মুঠা কোমর হইতে ঈষৎ নিম্ন দিক বরাবর প্রায় অষ্টাদশ আঙ্গুলী সম্মুখে ও অৰ্দ্ধ হস্ত দক্ষিণে থাকিবে, লাঠির অগ্রবিন্দু নিম্নমুখ হইয়া ঈষং দক্ষিণে হেলিয়া থাকিবে। নয়ের চতুর্থ বাড়িতে তামেচা ও সাণ্ডের আঘাতের প্রতিকার আঘাত করিয়াই করিতে হইবে । দশের বাড়ি । ১ । তামেচ, মোঢ়া, করক, পালট, চির, বাহের, হুল, ভাণ্ডার, কোমর, সাণ্ড । ২ । তামেচ, চাপনি, উন্ট মোঢ়া, ধুনিয়া পালট, সাকেন, করক, তেওয়র, কোমর, ভাণ্ডার, হিমাএল ৷ ৩। শির, হুল, পালট, উন্ট মোঢ়া, চির, তেওয়র, মোঢ়া, চাকি, দক্ষিণ আনি, সাণ্ড । ৪ । ধুনিয়া পালট, জঙ্ঘ, চাপনি, আসর, কোমর, মেঢ়, আন্তর, বাহেরা, তেওয়র, সাও । “চাপনি”—দক্ষিণ হাটুকে দক্ষিণ দিক হইতে একটু বক্রভাবে নিম্নমুখে কাটিয়া ফেলা হয় । “ধুনিয়া পালট" = দক্ষিণ পদের বাহিরের দিকের গিরীর ঠিক মধ্যভাগ হইতে চারি অঙ্গুলী নিম্ন পৰ্য্যন্ত । ইহার মধ্যে আঘাত করিয়া উৰ্দ্ধদিক বরাবর সন্ধিস্থল বিচ্ছিন্ন করিয়া দেওয়া হয় । “চাকি” = বাম কর্ণের প্রায় তিন অঙ্গুলী উৰ্দ্ধ হইতে আরম্ভ করিয়৷ দক্ষিণ কর্ণমূলের দুই অঙ্গুলী নিম্ন কাটিয়৷ বাহির হইয়া যায় । “দক্ষিণ আনি’ দক্ষিণ স্তনের বোটাকে কেন্দ্র ধরিয়া চারি অঙ্গুলী ব্যাসের বৃত্তের মধ্যে অসির অগ্রবিন্দু বিদ্ধ করিয়া দেওয়া হয় । “দক্ষিণ আনি” প্রয়োগকালে হাতের পিঠ নিজ বাম দিকে, অস্কুলীগুলি দক্ষিণ দিকে, কনুইটি নিম্নের দিকে এবং অসির ধারের পিঠ উপরের দিকে থাকে। “জভঘা” – দক্ষিণ হাটু ও গুলফের ঠিক মধ্যদেশ বরাবর প্রতিপক্ষের দক্ষিণ দিক্ হইতে কাটিয়া ফেলা হয়। বর্ণনা —২য় । “চাপ্‌নি” আট্‌কাইবার কালে হাতের