পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ుగా | \$í “মুসলমানী"নাম” উপরি উক্ত প্রবন্ধে লেখক বলিয়াছেন, যে, কোন ইংরেজ মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে তাহার নাম বেমালুম বদলাইয়া যাইবেই এমন কোন নিয়ম দেখা যায় না । অধিকন্তু তিনি অনুমান করেন যে মুসলমান মাত্রেরই নাম আরবী হইতে হইলে এরূপ কোন ইস্লামিক ধৰ্ম্মবিধি নাই । ইহ। সম্পূর্ণ প্রমায়ক। প্রতোক মুসলমান বালক বালিকাব আরবী ভাষাতে নাম দেওয়া এবং কোন হিন্দু বা অপর কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী মুসলমান-ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলে তাহাব পূর্ব নামের পরিবৰ্ত্তে মুসলমানী নাম দেওয়া ইস্লামিক ধৰ্ম্মসন্মত । মিষ্টীর মর্মাডিউক পিস্কৃথল ( Mr. Marmaduke Pickthall) & foot; fs for Alviža ( Mr. D. G Upson ) মুসলমান-ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবাব সময় ইঙ্গাদেব নামও নিশ্চয়ই পরিবর্তিত করিয়া মুসলমানী নাম রাখা হইয়ছিল । তবে যদি কেহ তাহাদিগকে উহাদেব পূৰ্ব্বনামেই অভিহিত কবেন, তাহী কইলে সে অালীদ। কথ। । লেখক বলেন যে ভারতীয় মুসলমানদেব ভারতীয় ভাষা অনুযায়ী নাম বাথায় কোন বাধা নাই । কিছু ঠাঙ্গাব একথা দে যুক্তিসঙ্গ ঠ নয, ত{ষ্ট বলাই বাঞ্ছলা । রহিমদাদ খাঁ। - সম্পাদকীয় মন্তব্য । মি: মামডিউক পিকথল ও মিঃ ডি জি অীপ সনকে “কেহ” “তাঙ্গাদেব পুৰ্ব্বনামেই অভিহিত কবেন" না : উtহ1র নিজেই নিজেদেব সংবাদপত্র দিতে ঐ ঐ ইংরেজী নামে অভিছিল কবিয়া থাকেন। পত্রলেপক মহাশয যদি উক্ত দুই ব্যক্তিব আরবী নামের উল্লেপ কোথাও পাঠয থাকেন, ত{ঙ্গ৷ হইলে অনুগ্রহ কবিয়া প্রমাণ সঙ্গ চাহ আমাদের নিকট পঠাইবেন । বাংলা দেশে মুসলমানদের যাদু সেপ . হার সেপ , কালু প্রভৃতি নাম দৃষ্ট হয়। এগুলি সম্পূর্ণ অববী নাম নহে । “ভারতীয় মুসলমানদের ভারতীয় ভাষা অনুযায়ী নাম রাখার কোন বাধা নাই”, ঠিক্‌ একথা আমি লিখি নাই। পত্ৰলেখক আমার মস্তব্যের, “যদি না থাকে, তাহ চুইলে, ” এই কথাগুলি ও অtহার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী দুটি বাক্য বাদ দিয়াছেন। o জtভীয় ঐক্য ও মিলনের ধার বজায় রাখিবtর জন্য প্রত্যেক মুসলমানের নাম আল্লাহ হজরত মোহাম্মদ ও অন্তান্ত আউলিয়া দরবেশ পীরপয়গম্বর শাহসুফি প্রভৃতি সাধুপুরুষদের পবিত্র নামের সহিত যোগ রাখিয়া আরবী ভাষায় রাখিতে হয়। এরূপ নামকরণ পুণ্যজনক বলিয় মুসলমানদের বিশ্বাস। তাই স্ত্রীপুরুষ-নিৰ্ব্বিশেষে পৃথিবীর সবস্থানের মুসলমানদের ও যে-সকল খৃষ্টান হিন্দু প্রভৃতি ধৰ্ম্মাবলম্বী ইসলাম গ্রহণ করেন, তাহীদের পূর্বনাম বদলাইয়া আরবী ভাষায় রাখিতে হয়। এতদ্ব্যতীত হিন্দুদের নামে মুসলমানদের নামকরণ না করা বিষয়ে আরএকটা গুরুতর বাধা রহিয়াছে। হিন্দুগণ প্রতিমাপুজক ; সুতরাং তাহীদের নামগুলিও প্রায় সবই পৌরাণিক গ্রন্থাদি হইতে গৃহীত ও \"" দেবদেবীর নামানুসারে হইয় থাকে। এমতাবস্থায় একমাত্র আল্লাহর উপাসক মুসলমানের নাম হিন্দুর বছদেবত্বজ্ঞাপক নামানুসারে একেবারেই হইতে পারে না । মুসলমানী মতে ইহ সম্পূর্ণ নিন্দনীয় ও ধৰ্ম্মবিগর্হিত কাজ। প্রকৃত জাতীয় শিক্ষার অভাবে সময় সময় ইহার ব।তিক্রমও লক্ষিত হয় ; যথা—সৌদামিনী বেগম, গগন ঠাকুর, মনোহৰ ধা, চরেন্দ্ৰ ভুইঞ্চ, নগেন ইতাদি মুসলমানের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। মুসলমানী নামের সঙ্গে থুষ্টানী নামেব কতকটা ঐক্য দেখিতে পাওয়৷ যায়, কারণ, উভয়ের ধৰ্ম্মতত্ত্বে কিছু মিল আছে ৷ যথা—David=দাউদ, Eve-stol, Joseph . . of, Isaac =#|oto, Jacob = $stfą, Adam= sina, Moses = jēļ, Jeshu =Řni, Abraham== agtfal, Solomon = CHİEFINIR, Sara= Hİši, Michael = মোকাইল, Sofia = সোফিয়l, Mary = মবিযম, ইত্যাদি । অীবী ভাষা ব্যতীত অস্য ভাষায় মুসলমানের নামকরণ করা নিন্দনীর হইলেও এদিক্ দিয় তাহ কতকটা সমর্থন করা যাইতে পাবে । সম্পাদক মহাশয় বলিয়াছেন “কোন অস্থ্য-ধৰ্ম্মাবলম্বী ভারতবাসী মুসলমান হইলে তাহার নাম বেমালুম্ন বদলিখা যায় । কিন্তু মৰ্ম্মাডিউক পিকৃথল, জর্জ আপনি প্রভৃতি ইউরোপীয়গণ মুসলমান হওয়ার পরও ক্টাচাদের নাম বদৃলtয় মাই ।” [ লেখক যে কথাগুলি আমার বলিয়৷ উদ্ধত করিয়াছেন, তাহ আমার নহে ।- প্রবাসাব সম্পাদক । ] এ ধাবণ। ঠিক নহে , উক্ত মহোদয়দ্বয়েব সম্পূর্ণ নাম মোহম্মদ মাস্ট্রাডিউক পিকৃথল ও দাউদ জর্জ আপনি । এরূপ লর্ড হেডলি অলকারক, প্রফেসব হবেন মোস্তফা লিয়ন, কপ্তেন মুরুদিন ষ্টিফেনসন, ইত্যাদি । একটু লক্ষ্য কবিলে এরূপ নাম হিন্দু হইতে মুসলমানধৰ্ম্মগ্রহণকারী লোকদের মধ্যেও দেখিতে পাওয়া যাইবে । যথা–দীন মোহাম্মদ গঙ্গুলি, বোকমুদ্দীন ঠাকুব, গাজী মাহমুদ ধৰ্ম্মপাল, ইত্যাদি । অবখ আমরা ব্যক্তিগতভাবে এরূপ খিচুড়ি নামেরও পক্ষপাতী নই। হিন্দু পুষ্টান প্রভূতির স্বাtয় মুসলমানের নাম রাখার অীরও অসুবিধা আছে । জনৈক হিন্দু ভদ্রলোক হরেন্দ্র নামক একজন মুসলমান সম্বন্ধে সে হিন্দু কি মুসলমান জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন । হিরণকুমার বন্দোপাধ্যায় নামক জনৈক খৃষ্টান প্রফেসর ছিলেন , উtহব নাম দেখিয়া অনেক ছাত্রই তাহাকে হিন্দু বলিয়া ভ্ৰম কবিতেন। আসন সাহেব যে মুসলমান তাহা অমর। অনেকদিন পৰ্য্যস্থ জানিতে পারি নাই । সুতরাং বিশ্বজোড়া মোস্লেমের বিশ্বজনীনতা ও বৈশিষ্ট্য বক্ষার অনুরোধে আরবী ভাষায় মুসলমানদেল নামকরণের যে অবিভকতা ও সার্থকতা আছে সেবিষয়ে সন্দেহের অবসর মাত্র নাই । মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বিক্রমপুরী সম্পাদকীয় মন্তব্য । বিক্রমপুরী মহাশয়ের দীর্ঘ পত্রের কেবল প্রাসঙ্গিক অংশটি ছাপিলাম। মুসলমানের নিজেদের নাম যেরূপই রাখুন তাহতে আমাদের কোনপ্রকার বিধি বা নিষেধ নির্দেশ করিবার অধিকার নাই। আমরা কেবল ইংরেজ-জাতীয় মুসলমান এবং ভারতীয় মুসলমানদের নামের একটি বিষয়ে পার্থক্য দেখিয়া কিছু আলোচনা ও অনুমান করিতেছিলাম ।