পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ8სr \حمید‘‘میمA-یہ۔ মেটেনি। এ ক্ষেত্রে নাড়ির টানের চেয়ে দড়ির টানটাই প্রবল হওয়াতে বন্ধন জোর করে ছিড়ে ফেলতে হয়েছিল । অথচ এখানে দুই পক্ষই সহোদর ভাই । একদিন ইটালিতে অষ্টিয়ান ছিল রাষ্ট্রের মুড়োয়, আর ইটালিয়ান ছিল ল্যাজায়। অথচ ল্যাজায় মুড়োয় প্রাণের যোগ ছিল না । এই প্রাণহীন বন্ধন ভেদকেই দুঃসহকপে প্রকাশ করেছিল। ইটালি তার থেকে মুক্তিলাভ করে সমস্তার সমাধান করেচে। তা হলে দেখা যাচ্চে ভেদের দুঃখ থেকে ভেদের অকল্যাণ থেকে মুক্তিই হচ্চে মুক্তি। এমন কি, আমাদের দেশের ধৰ্ম্মসাধনার মূল কথাটা হচ্চে ঐ,—ততে বলে— ভেদবুদ্ধিতেই অসত্য, সেই ভেদবুদ্ধি ঘুচিয়ে দিলেই সত্যের মধ্যে আমাদের পরিত্রাণ । কিন্তু পূর্বেই বলেচি বিধাতার পরীক্ষাশালায় সব পরীক্ষার্থীর একই প্রশ্ন নয়। ভেদ এক রকম নয়। এক পায়ে খড়ম আরেক পায়ে বুট, সে এক রকমের ভেদ ; এক পা বড় আরেক পা ছোট, সে আরেক রকমের ভেদ ; পায়ের হাড় ভেঙে গিয়ে পায়ের এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের বিচ্ছেদ, সে অন্ত রকমের ভেদ ; এই সব রকম ভেদই স্বাধীন-শক্তি-যোগে চলাফেরা করায় বাধা দেয় । কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ভেদের প্রতিকার ভিন্ন রকমের। খড়ম-পায়ের কাছ থেকে তার প্রশ্নের উত্তর চুরি করে নিয়ে ভাঙা-পা নিজের বলে' চালাতে গেলে তার বিপদ আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঐ যে পূর্বেই বলেচি একদা ইংরেজ-জাতের মধ্যে ভেদের যে ছিন্নতা ছিল সেটাকে একটা রাষ্ট্রনৈতিক শেলাইয়ের কল দিয়ে তারা পাকা করে জুড়েচে । কিন্তু যেখানে কাপড়টা তৈরিই হয়নি, স্থতোগুলো কতক আলাদা হয়ে কতক জটা পাকিয়ে পড়ে’ আছে, সেখানে রাষ্ট্রনৈতিক শেলাইয়ের কলের কথা ভাবাই চলে না, সেখানে আরো গোড়ায় যেতে হয়, সেখানে সমাজনৈতিক তাতে চড়িয়ে বহু স্বতোকে এক অখণ্ড কাপড়ে পরিণত করা চাই । তাতে বিলম্ব হবে, কিন্তু শেলাইয়ের কলে কিছুতেই বিলম্ব সারা যায় না। শিবঠাকুরের তিনটি বধূ সম্বন্ধে ছড়ায় বলচে :– സംസ്സസ്.സ.സ സ്. ബ് প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩• . [ २७° छांग, २ध्न थं७ - حمهریه مجی» معمایی میمه এক কন্যে রাখেন বাড়েন, এক কন্তে খান, এক কন্তে না পেয়ে বাপের বাড়ী যান। তিন কন্তেরই আহারের সমান প্রয়োজন ছিল,—কিন্তু দ্বিতীয় কন্তেটি যে সহজ উপায়ে আহার করেছিলেন, "বিশেষ কারণে তৃতীয় কন্তের সেটা আয়ত্তাধীন ছিল না ; অতএব উদর এবং আহার-সমস্তার পূরণ তিনি অপেক্ষাকৃত বিলম্বিত উপায়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন,— বাপের বাড়ি ছুটেছিলেন। প্রথম কন্যের ক্ষুধানিবৃত্তি ‘সম্বন্ধে পুরাবৃত্তের বিবরণটি অস্পষ্ট । আমার বিশ্বাস, তিনি আয়োজন মাত্র করেছিলেন, আর মধ্যমাটি তার ফলভোগ করে পরিতৃপ্ত হয়েচেন। ইতিহাসে এরকম দৃষ্টান্ত বিরল নয়। " - o আমাদের এই জন্মভূমিটি শিবঠাকুরের মধ্যম প্রেয়সী নন, সে-কথা ধরে নেওয়া যেতে পারে। বহু শতাব্দী ধরে বারবার তার পরিচয় পাওয়া গেল। কাজেই লক্ষ্যসিদ্ধি সম্বন্ধে মধ্যমার পথটি তার পথ হতেই পারে না। হয় তিনি রাধেন নি অথচ ভোজের দাবী করেচেন, শেষে শিব-ঠাকুরের ধমক খেয়ে সনাতন বাপের বাড়ির দিকে চলতে চলতে বেলা বইয়ে দিয়েচেন—নয়ত রোধেছেন, বেড়েচেন, কিন্তু খাবার বেলায় দেখেচেন আরেকজন পাত শূন্ত করে দিয়েচে । অতএব তার পক্ষে সমস্ত হচ্চে, যে কারণে এমনটা ঘটে, আর যে কারণে তিনি কথায় কথায় শিব-ঠাকুরকে চটিয়ে তোলেন, সেটা সৰ্ব্বাগ্রে দূর করে দেওয়া;—আবদার করে বললেই হবে না যে, মেজ-বউ যেমন করে খাচ্চে আমিও ঠিক তেমনি করে খাব ৷ আমরা সৰ্ব্বদাই বলে থাকি বিদেশী আমাদের রাজা, । এই দুঃখ ঘুচলেই আমাদের সব দুঃখ ঘুচ বে। বিদেশী রাজা আমি পছন্দ করিনে। পেট-জোড়া পিলেও আমার পছন্দসই নয়। কিন্তু অনেকদিন থেকে দেখচি পিলেটি আমার সম্মতির অপেক্ষা না করে আপনি এসে পেট জুড়ে বসেচে। বহুধত্বে অস্তরের প্রকোষ্ঠে তাকে পালন করলেও বিপদ, আবার রাগের মাথায় ঘুষি মেরে তাকে ফাটিয়ে দিলেও সাংঘাতিক হয়ে ওঠে। যারা অভিজ্ঞ তারা বলেন, তোমাদের আশে পাশে চারদিকেই