পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$è • ية هي خميري জব্‌ল্যাণ্ডের লোকেরাও নেশন, আর আমরাও নেশন, এ কথা কেবল তর্কে সাব্যস্ত করে সাৰনাট কি,—ফলের বেলায় দেখি আমরা ঝুলে পড়েচি আর তারা মাটির উপর খাড়া দাড়িয়ে আছে। রাধিক চালুনীতে করে’ জল এনে.কলঙ্ক ভঞ্জন করেছিলেন । যে হতভাগিনী নারী রাধিক নয় তারও চালুনীটা আছে, কিন্তু তার কলঙ্কভঞ্জন হয় না, উণ্টোই হয় । " মুলে যে প্রভেদ থাকাতে ফলের এই প্রভেদ, সেই কথাটাই ভাববার কথা। স্বইজবুল্যাণ্ডে ভেদ যতগুলোই থাক, ভেদবুদ্ধি ত নেই। সেখানে পরস্পরের মধ্যে রক্তবিমিশ্রণে কোনো বাধ৷ নেই ধর্শ্বে বা আচারে বা সংস্কারে । এখানে সে বাধা এত প্রচণ্ড যে, অসবর্ণ বিবাহের আইনগত বিঘ্ন দূর করবার প্রস্তাব হবামাত্র হিন্দুসমাজপতি উদ্বেগে ঘৰ্ম্মাক্তকলেবর হয়ে হরতাল করবার ভয় দেখিয়েছিলেন । সকলে র চেয়ে গভীর আত্মীয়তার ধারা নাড়ীতে বয়, মুখের কথায় বয় না। যারা নিজেদের এক মহাজাত বলে কল্পনা করেন, তাদের মধ্যে সেই নাড়ীর মিলনের পথ ধৰ্ম্মের শাসনে চিরদিনের জন্যে যদি অবরুদ্ধ থাকে, তা হলে তাদের মিলন কখনই প্রাণের মিলন হবে না, সুতরাং সকলে এক হয়ে প্রাণ দেওয়া তাদের পক্ষে সহজ হতে পারবে না । তাদের প্রাণ যে এক প্রাণ নয়। আমার কোনো বন্ধু ভারতের প্রত্যস্ত-বিভাগে ছিলেন। সেখানে পাঠান দস্থার মাঝে মাঝে হিন্দু লোকালয়ে চড়াও হয়ে স্ত্রী হরণ করে থাকে । একবার এই রকম ঘটনায় আমার বন্ধু কোনো স্থানীয় হিন্দুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সমাজের উপর এমন অত্যাচার তোমরা সহ কর কেন ? সে নিতান্ত উপেক্ষার সঙ্গে বললে, “উয়ে৷ ত বেনিয়াকী লড়কী ” “বেনিয়াকী লড়কী” হিন্দু, আর যে ব্যক্তি তার হরণব্যাপারে উদাসীন সেও হিন্দু, উভয়ের মধ্যে শাস্ত্রগত যোগ থাকতে পারে কিন্তু প্রাণগত যোগ নেই। সেইজন্তে একের আঘাত অন্তের মৰ্ম্মে গিয়ে বাজে না । জাতীয় ঐক্যের আদিম অর্থ হচ্চে জন্মগত ঐক্য, তার চরম অর্থও তাই । যেটা অবাস্তব, কোনোমতেই তার উপরে কোনো বড়, সিদ্ধির পত্তন করা যায় না । মানুষ যখন দায়ে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, xరిరితి [ २७श खांभ, २# ५७ یحییر مئیے. পড়ে, তখন আপনাকে আপনি র্যাকি দিয়ে আপনার কাছ থেকে কাজ উদ্ধার করবার চেষ্টা করে থাকে। বিভ্রান্ত হয়ে মনে করে, নিজেকে বাম-হাতে ফাকি দিয়ে ডান-হাতে লাভ করা যেতেও পারে। আমাদের রাষ্ট্রীয় ঐক্যসাধনার মুলে একটা মস্ত জাতীয় অবাস্তবতা আছে সে-কথা আমরা ভিতরে ভিতরে সবাই জানি— সেইজন্যে সেদিক্‌টাকে আমরা অগোচরে রেখে তার উপরে স্বাজাত্যের যে জয়স্তম্ভ গড়ে তুলতে চাই তার মালমসলাটাকেই খুব প্রচুর করে গোচর করতে ইচ্ছা করি। র্কাচ ভিৎকে মালমসলার বাহুল্য দিয়ে উপস্থিতমত চাপা দিলেই সে ত পাকা হয়ে ওঠে না । বরঞ্চ একদিন সেই বাহুল্যেরই গুরুভারে ভিতের দুর্বলতা ভীষণরূপে সপ্রমাণ হয়ে পড়ে । খেলাফতের ঠেকোদেওয়া সন্ধিবন্ধনের পর আজকের দিনে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ তার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত । মূলে ভুল থাকুলে কোনো উপায়েই স্থলে সংশোধন হতে পারে না। এসব কথা শুনলে অধৈৰ্য্য হয়ে কেউ কেউ বলে’ ওঠেন, “আমাদের চারদিকে যে বিদেশী তৃতীয় পক্ষ শত্রুরূপে আছে সেই আমাদের মধ্যে ভেদ ঘটাচ্চে, অতএব দোষ আমাদের নয়, দোষ তারই । ইতিপূৰ্ব্বে আমরা হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি নিৰ্ব্বিরোধেই ছিলুম কিন্তু ইত্যাদি ইত্যাদি।” শাস্ত্রে বলে, কলি শনি ব্যাধি মানুষের ছিদ্র খোজে। পাপের ছিদ্র পেলেই তারা ভিতরে প্রবেশ করে’ সৰ্ব্বনাশের পাল আরম্ভ করে দেয়। বিপদট বাইরের, আর পাপটা আমার, এই কারণে বিপদের প্রতি ক্রোধ ও পাপের প্রতি মমতা করাই হচ্চে সকল বিপদের সেরা । জাহাজের খোলের মধ্যে ফাটল ছিল, যতদিন ঝড় তুফান ছিল না ততদিন সে জাহাজ খেয়া দিয়েচে । মাঝে মাঝে লোনা জল সেচ তেও হয়েছিল, কিন্তু সে দুঃখটা মনে রাখবার মত নয়। যেদিন তুফান উঠল, সেদিন খোলের ফাটল বেড়ে বেড়ে জাহাজ-ডুবি আসন্ন হয়েচে। কাপ্তেন যদি বলে—যত দোষ ঐ তুফানের, অতএব সকলে । মিলে ঐ তুফানটাকে উচ্চৈঃস্বরে গাল পাড়ি, আর আমার ফাটলটি যেমন ছিল তেমনই থাক্‌ ; তা হলে ঐ কাপ্তেনের