পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫২ ھمی.ھم برھم. বেশী ভয় ও শ্রদ্ধা করে, এমনি করে তারা দেবপূজার অপমান করতে কুষ্ঠিত হয় না। . সংসারের যে ক্ষেত্রটা বুদ্ধির ক্ষেত্র সেখানে বুদ্ধির যোগেই মামুষের সঙ্গে মামুষের সত্য মিলন সম্ভবপর। সেখানে অবুদ্ধির উৎপাত বিষম বাধা । সে যেন মানুষের বাসার মধ্যে ভূতুড়ে কাণ্ড। কেন, কি বৃত্তান্ত, বলে’ ভূতের কোনো জবাবদিহী নেই। ভূত বাসা তৈরি করে না, বাসা-ভাড়া দেয় না, বাসা ছেড়েও যায় না । এত বড় জোর তার কিসের ? না, সে বাস্তব নয়, অথচ আমার ভীরু মন তাকে বাস্তব বলে" মেনে নিয়েচে । প্রকৃত বাস্তব যে, সে বাস্তবের নিয়মে সংযত, যদি বা সে বাড়ি-ভাড়া নাও কবুল করে, অন্তত সরকারী ট্যাক্সে দিয়ে থাকে। অবাস্তবকে বাস্তব বলে মানলে তাকে জ্ঞানের কোনো নিয়মে পাওয়া যায় না । সেইজন্যে কেবল বুক দুরঘুর করে, গা ছমছম করে, আর বিনা বিচারে মেনেই চলি । যদি কেউ প্রশ্ন করে “কেন", জবাব দিতে পারিনে, কেবল পিঠের দিকে বুড়োআঙুলটা দেখিয়ে দিয়ে বলি “ঐ যে !” তার পরেও যদি বলে “কই ধে ?” তাকে নাস্তিক বলে তাড়া করে’ যাই । মনে ভাবি, গোয়ারটা বিপদ ঘটালে বুঝি,— ভূতকে অবিশ্বাস করলে যদি সে ঘাড় মটুকে দেয়! তবুও যুদি প্রশ্ন ওঠে "কেন ? তা হলে উত্তরে বলি, “আর যেখানেই কেন খাটাও, এখানে কেন খাটাতে এস না বাপু, মানে মানে বিদায় হও । মরবার পরে তোমাকে পোড়াবে কে সে ভাবনাটা ভেবে রেখে দিয়ে।” চিত্তরাজ্যে যেখানে বুদ্ধিকে মানি সেখানে আমার স্বরাজ ; সেখানে আমি নিজেকে মানি, অথচ সেই মানার মধ্যে সৰ্ব্বদেশের ও চিরকালের মানবচিত্তকে মানা আছে । অবুদ্ধি কে যেখানে মানি সেখানে এমন একটা স্বাক্টছাড়া শাসনকে মানি যা না আমার না সৰ্ব্বমানবের । সুতরাং সে একটা কারাগার, সেখানে কেবল আমার মতে হাত-পা-বাধা এক-কারায় অবরুদ্ধ অকাল-জরাগ্রস্তদের সঙ্গেই আমার মিল আছে, বাইরের কোটি কোটি স্বাধীন লোকদের সঙ্গে কোনও মিল নেই। বৃহঁতের সঙ্গে এই ভেদ থাকাটাই হচ্চে বন্ধন। কেননা পূর্বেই প্রবাসী-অগ্রহায়ণ, ১৩৪* { २७* छां★, २ग्न थ७ MeeAeMAMAMSAMMAeMAeMAeSAeS বলেচি ভেদটাই সকলদিক থেকে আমাদের মূল বিপদ ও চরম অমঙ্গল। অবুদ্ধি হচ্চে ভেদবুদ্ধি, কেননা চিত্তরাজ্যে সে আমাদের সকল মানবের থেকে পৃথক করে’ দেয়, আমরা একটা অস্তুতের খাচায় বসে কয়েকট। শেখানো বুলি আবৃত্তি করে দিন কটাই। . . . . জীবনযাত্রায় পদে পদেই অবুদ্ধিকে , মানা যাদের চিরকালের অভ্যাস, চিত্রগুপ্তের কোনো একটা হিসাবের ভুলে হঠাৎ তারা স্বরাজের স্বর্গে গেলেও তাদের ঢেকিলীলার শান্তি হবে না, সুতরাং পর-পদপীড়নের তালে محجمعی حمیہ তালে তারা মাথা কুটে মরবে, কেবল মাঝে মাঝে পদ যুগলের পুরিবর্তন হবে এইমাত্র প্রভেদ । যন্ত্রচালিত বড় বড় কারখানায় মানুষকে পীড়িত করে’ যন্ত্রবৎ করে বলে আমরা আজকাল সৰ্ব্বদাই তাকে কটুক্তি করে থাকি । এই উপায়ে পশ্চিমের সভ্যতাকে গাল পাড় চি জেনে মনে বিশেষ সাত্বনা পাই । কারখানায় মামুষের এমন পঙ্গুতা কেন ঘটে ; যে-হেতু সেখানে তার বুদ্ধিকে ইচ্ছাকে কৰ্ম্মকে একটা বিশেষ সঙ্কীর্ণ ছাচে ঢালা হয়, তার পূর্ণ বিকাশ হতে পারে না। কিন্তু লোহা দিয়ে গড় কলের কারখানাই একমাত্র কারখানা নয়। • বিচারহীন বিধান লোহার চেয়ে শক্ত, কলের চেয়ে সঙ্কীর্ণ। যে বিপুল ব্যবস্থাতন্ত্র , অতি নিষ্ঠুর শাসনের বিভীষিকা সৰ্ব্বদ উদ্যত রেখে বহুযুগ ধরে বহুকোটি নরনারীকে যুক্তিহীন ও যুক্তিবিরুদ্ধ আচারের পুনরাবৃত্তি করতে নিয়ত প্রবৃত্ত রেখেচে সেই দেশ-জোড়া মানুষপেষা জাত-কল কি কল-হিসাবে কারে চেয়ে থাটো। বুদ্ধির স্বাধীনতাকে অশ্রদ্ধা করে এতবড় স্বসম্পূর্ণ সুবিস্তীর্ণ চিত্তশূন্ত বজ্ৰকঠোর বিধিনিষেধের কারখানা মানুষের রাজ্যে আর কোনোদিন আর কোথাও উদ্ভাবিত হয়েচে বলে আমি ত জানিনে। চট-কুল থেকে যে পাটের বস্তা তৈরি হয়ে বেরোয়, জড়ভাবে বোঝা গ্রহণ কবৃবার জন্যেই তার ব্যবহার । মানুষ-পেষা কল থেকে ছাট-কাটা যে-সব অতি ভালোমানুষ পদার্থের উৎপত্তি হয় তারাও কেবল বাহিরের বোঝা বইতেই আছে। একটা বোঝা খালাস হতেই আরেকটা বোঝা তাদের অধিকার করে বসে। 哆