পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য। ] هم میستم প্রাচীন ভারত একদিন যখন বিধাতার কাছে বর চেয়েছিলেন তখন বলেছিলেন—“স নো বুদ্ধা শুভয়া সংযুনত্ত,-“ধ একঃ অবর্ণঃ”—যিনি এক, যিনি বর্ণভেদের অতীত, তিনি আমাদের শুভবুদ্ধি দ্বারা সংযুক্ত করুন। তখন ভারত ঐক্য চেয়েছিলেন কিন্তু পোলিটিকাল বা সামাজিক কলে-গড়া ঐক্যের বিড়ম্বন চাননি। "বুদ্ধ্যা শুভয়া” শুভবুদ্ধির দ্বারাই মিলতে চেয়েছিলেন, অন্ধ বশ্যতার লম্বা শিকলের দ্বারা নয়, বিচারহীন বিধানের কঠিন কানমলার দ্বারা নয়। ংসারে আকস্মিকের সঙ্গে মানুষকে সৰ্ব্বদাই নতুন করে বোঝা-পড়া করতেই হয়। আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির সেই কাজটাই খুব বড় কাজ। আমরা বিশ্ব স্থষ্টিতে দেখতে পাই, আকস্মিক—বিজ্ঞানে যাকে variation বলে—তাচমকা এসে পড়ে। প্রথমটা সে থাকে এক ঘরে', কিন্তু বিশ্বনিয়ম বিশ্বছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে তাকে সবার করে নেন, অথচ সে এক নূতন বৈচিত্র্যের প্রবর্তন করে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে, মামুযেব সমাজে, আকস্মিক প্রায়ই অনাস্তৃত এসে পড়ে । তার সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করলে এই নূতন আগন্তুকটি চারদিকের সঙ্গে স্বসঙ্গত হয়, অর্থাৎ আমাদের বুদ্ধিকে, রুচিকে, চবিত্ৰকে, আমাদের কাণ্ডজ্ঞানকে পীড়িত অবমানিত ন৷ করে সতর্ক বুদ্ধি দ্বারাতেই সেটা সাধন করতে হয়। মনে করা যাক একদা এক ফকীর বিশেষ প্রয়োজনে রাস্তার মাঝখানে খুটি পুতে তার ছাগলটাকে বেঁধে হাট করতে গিয়েছিলেন। হাটের কাজ সারা হল, ছাগলটারও একটা চরম সদগতি হয়ে গেল । উচিত ছিল এই আকস্মিক খুটিটাকে সৰ্ব্বকালীনের খাতিরে রাস্তার মাঝখান থেকে উদ্ধার করা । কিন্তু উদ্ধার করবে কে ? অবুদ্ধি করে না, কেননা, তার কাজ হচ্চে যা আছে তাকেই চোখ বুজে স্বীকার করা –বুদ্ধিই করে, যা নূতন এসেচে তার সম্বন্ধে সে বিচারপূর্বক নৃতন ব্যবস্থা করতে পারে। যে দেশে, যা আছে তাকেই স্বীকার করা, যা ছিল তাকেই পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা সনাতন পদ্ধতি, সে দেশে খুটিটা শত শত বৎসর ধরে রাস্তার মাঝখানেই রয়ে গেল । অবশেষে একদিন খামক কোথা থেকে একজন ভক্তি সমস্য{ >Q○ AASAASAASAASAASAASAAMAeMAMeM MAAA SAAAAAS MMMAMAeeS গদগদ মাহুষ এসে তার গায়ে একটু সি দূর লেপে তার উপর একটা মন্দির তুলে’ বসল। তার পর থেকে বছর বছর পঞ্জিকাতে ঘোষণা দেখা গেল—শুক্লপক্ষের কাৰ্ত্তিক-সপ্তমীতে যে ব্যক্তি খুটশ্বরীকে এক সের ছাগদুগ্ধ ও তিন তোলা রজত দিয়ে পূজা দেয় তার সেই পুজা ত্রিকোটি কুলযুদ্ধরেং । এমনি করে অবুদ্ধির রাজত্বে আকস্মিক খুটি সমস্তই সনাতন হয়ে ওঠে, লোক-চলাচলের রাস্তায় চলার চেয়ে বাধা পড়ে থাকাটা সহজ হয়ে ওঠে। যার নিষ্ঠাবান তারা বলেন, আমরা বিধাতার বিশেয স্থষ্টি, অন্য কোনো জাতের সঙ্গে আমাদের মেলে না, অতএব রাস্তা বন্ধ হলেও আমাদের চলে কিন্তু খুটি না থাকূলে আমাদের ধৰ্ম্ম থাকে না । যারা খুটীশ্বরীকে মানেও না, এমন কি, যার বিদেশী ভাবুক, তাবাও বলে, একেই ত বলে অfধ্যাত্মিকতা ; নিজের জীবনযাত্রার সমস্ত স্বঘোগসুবিধাই এর মাটি করতে রাজি, কিন্তু মাটি থেকে একটা খুটি এক ইঞ্চি পরিমাণও ওপড়াতে চায় না।” সেই সঙ্গে এও বলে, “আমাদের বিশেষত্ব অন্য রকমের, অতএব আমবা এদের অনুকরণ করতে চাইনে, কিন্তু এরা যেন হাজার খুঁটিতে ধৰ্ম্মের বেড়াজালে এই রকম বাধা হযে অত্যন্ত শান্ত সমাহিত হয়ে পড়ে থাকে। কারণ, এটি দূর থেকে দেখতে বড় সুন্দর।” সৌন্দর্য্য নিয়ে তর্ক করতে চাইনে। সেট। রুচির কথা। যেমন ধৰ্ম্মেব নিজের অধিকারে ধৰ্ম্ম বড়, তেমনি সুন্দরের নিজের অধিকারে কুন্দর বড়। আমার মত অৰ্ব্বাচীনের বুদ্ধির অধিকারের দিক্‌ থেকে প্রশ্ন করবে, এমনতর খটি-কণ্টকিত পথ দিয়ে কখনো স্বাতন্ত্র্যসিদ্ধির রথ কি এগোতে পারে ? বুদ্ধির অভিমানে বুক বেঁধে নব্যতন্ত্রী প্রশ্ন করে বটে, কিন্তু রাত্রে তার ঘুম হয় না। যে-হেতু, গৃহিণীরা স্বস্ত্যয়নের আয়োজন করে বলেন, “ছেলে-পুলে নিয়ে ঘর, কি জানি কোন খুটি কোন দিন বা দৃষ্টি দেয় । তোমরা চুপ করে থাক না । কলিকালে খুটি নাড়া দেবার মত ডানপিটে ছেলের ত অভাব নেই ।” শুনে আমাদের মত নিছক আধুনিকদেরও বুক ধুকধুক করতে থাকে, কেননা রক্তের ভিতর থেকে “আই,