পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ]

  • Aسی۶۹میت میبا" تیمیه میرح می

بامیه "می به বুদ্ধিতে একেবারে পাকা হয়ে গেছে। বিধির বিধানে এমন দুই দল ভারতবর্ষে পাশাপাশি দাড়িয়ে প্রধান স্থান অধিকার করে নিয়েচে ;– আত্মীয়ভার দিক থেকে মুসলমান হিন্দুকে চায় না, তাকে কাফের বলে ঠেকিয়ে রাখে, আত্মীয়তার দিক থেকে হিপূও মুসলমানকে চায় না, তাকে স্লেচ্ছ বলে’ ঠেকিয়ে রাখে । একটা জায়গায় দুই পক্ষ ক্ষণে ক্ষণে মেলবার চেষ্টা করে সে হচ্চে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে । শিবঠাকুরের ছড়াটা যদি আজ সম্পূর্ণ পাওয়া যেত তা হলে দেখা যেত ঐ যে প্রথম কন্যাটি রাধেন বাড়েন অথচ খেতে পান না, আর সেই যে তৃতীয় কন্যাটি না খেয়ে বাপের বাড়ি যান, এদের উভয়ের মধ্যে একটা সন্ধি ছিল, সে হচ্চে ঐ মধ্যম কন্যাটির বিরুদ্ধে। কিন্তু যেদিন মধ্যম কই৷ বাপের বাড়ি চলে যেত সেদিন অবশিষ্ট দুই সতীন, এই দুই পোলিটিকাল allyদের মধ্যে চুলোচুলি বেধে উঠত। পদ্মায় ঝড়ের সময় দেখেচি কাক ফিঙে উভয়েই চরের মাটির উপর চঞ্চু আটকাবাব চেষ্টায় একেবারে গায়ে গায়ে হয়ে পাখী ঝর্টুপটু করেচে । তাদের এই সাযুজ্য দেখে তাড়াতাড়ি মুগ্ধ হবার দরকার নেই। ঝড়ের সময় যতক্ষণ এদের সন্ধি স্থায়ী হয়েচে তার চেয়ে বহুদীর্ঘকাল এর পরস্পরকে ঠোকর মেবে এসেচে । বাংলা দেশে স্বদেশী আন্দোলনে হিন্দুর সঙ্গে মুসলমান মেলেনি। কেননা, বাংলার অখণ্ড অঙ্গকে ব্যঙ্গ করার দুঃখটা তাদের কাছে বাস্তব ছিল না। আজ অসহকার আন্দোলনে হিন্দুর সঙ্গে মুসলমান যোগ দিয়েচে, তার কারণ রুম-সাম্রাজ্যের অখণ্ড অঙ্গকে ব্যঙ্গীকরণের দুঃখটা তাদের কাছে বাস্তব। এমনতর মিলনের উপলক্ষ্যটা কখনই চিরস্থায়ী হতে পারে না । আমরা সত্যতঃ মিলিনি, আমরা একদল পূৰ্ব্বমুখ হয়ে, অন্যদল পশ্চিমমুখ হয়ে কিছুক্ষণ পাশাপাশি পাখী ঝাপটেচি । আজ সেই পাখার ঝাপট বন্ধ হল, এখন উভয় পক্ষের ধু এক-মাটি কামড়ে না থেকে পরস্পরের অভিমুখে বগে বিক্ষিপ্ত হচ্চে । রাষ্ট্রনৈতিক অধিনেতারা চিন্তা কচেন আবার কি দিয়ে এদের চঞ্চু দুটােকুে ভুলিয়ে রাখা যায় । আসল ভুলট রয়েচে অস্থিতে মজ্জাতে, তাকে সমস্যা MAeMAMAAMAMA AeMAeS eeAe SeeAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA BMAe AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAAS AAAAA AAAA AAAAMAAA AAAA AAAASAAAAMSAMAMSAMSAMAAAA Ꮌ☾☾ ভোলাবার চেষ্টা করে ভাঙা যাবে না । কম্বল চাপা দিয়ে যে মনে ভাবে বরফটাকে গরম করে তোলা গেল সে একদিন দেখতে পায় তাতে করে তার শৈত্যটাকে স্থায়ী করা গেছে। - হিন্দুতে মুসলমানে কেবল যে এই ধৰ্ম্মগত ভেদ ত৷ নয়, তাদের উভয়ের মধ্যে একটা সামাজিক শক্তির অসমকক্ষত ঘটেচে । মুসলমানের ধৰ্ম্মসমাজের চিরাগত নিয়মের জোবেই তার আপনার মধ্যে একটা নিবিড় ঐ r্য জমে উঠেচে আর হিন্দুর ধৰ্ম্মসমাজের সনাতন অনুশাসনের প্রভাবেই ভার আপনার মধ্যে একটা প্রবল অনৈক্য ব্যাপ্ত হয়ে পড়েচে । এর ফল এই যে, কোনও বিশেষ প্রয়োজন না থাকূলেও হিন্দু নিজেকেই মারে, আর প্রয়োজন থাকুলে ও হিন্দু অন্তকে মারতে পারে না । আর মুসলমান কোনো বিশেষ প্রয়োজন ন ঘটুলেও নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে, আর প্রয়োজন ঘটুলে অন্যকে বেদম মার দিতে পারে । তার কারণ এ নয় মুসলমানের গায়ে জোর আছে, হিন্দুর নেই ; তার আসল কারণ, তাদের সমাজের জোর আছে, হিন্দুর নেই। একদল আভ্যন্তরিক বলে বলী, আর একদল আভ্যন্তরিক দুৰ্ব্বলতায় নিজীব । এদের মধ্যে সমকক্ষভাবে আপোষ ঘটুবে কি করে’ ? অত্যন্ত দুৰ্য্যোগের মুখে ক্ষণকালের জন্যে তা সম্ভব, কিন্তু ধেদিন অধিকারের ভাগ-বাটোয়ারার সময় উপস্থিত হয় সেদিন সিংহের ভাগটা বিসদৃশ রকম বড় হয়ে ওঠে, তার কারণটা তার থাবার মধ্যে । গত যুরোপীয় যুদ্ধে যখন সমস্ত ইংরেজ জাতের মুখশ্ৰী পাংশুবর্ণ হয়ে উঠেছিল, তখন আমাদের মত ক্ষীণপ্রাণ জাতকেও তারা আদর করে সহায়তণর জন্যে ডেকেছিল । শুধু তাই নয়, ধোর বিযয়ী লোকেরও যেমন শ্মশান-বৈরাগ্যে কিছুক্ষণের জন্যে নিষ্কাম বিশ্বপ্রেম জন্মায়, তেমনি যুদ্ধশেষের কয়েক ও পরেও রক্ত-আহুতি-ধজ্ঞে তাদের সহযোগী ভারতীয়দের প্রতি তাদের মনে দাক্ষিণ্যেরও সঞ্চার হয়েছিল । যুদ্ধের ধাক্কার্ট। এল নরম হয়ে, আর তার পরেই দেখা দিল জালিয়ান-বাগে দানবলীলা, আর তার পরে এল কেনিয়ায় সম্রাজ্যের সিংহদ্বারে ভারতীয়দের জন্যে অৰ্দ্ধচন্দ্রের ব্যবস্থা। রাগ করি বটে, কিন্তু সত্য