পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• *७२ প্রথম হচ্চে, জার্মানির অবস্থা নিতান্তই নৈরাপ্তজনক। কিন্তু তবুও সেখানকার লোকে সেটাকে চরম বলে মেনে নিয়ে ভাগ্যের নিন্দ করচে না, তার কারণ, তারা সত্যের বর পাবার জন্যে বরাবর বাস্তব পথ অবলম্বন করতে অভ্যস্ত। তারা বুদ্ধিকে মানে বলেই নিজেকে মানে । দ্বিতীয় কথা হচ্চে, এরা এ-কথা নিঃসন্দেহ জানে যে ভাবী কালের জন্তে যখন উন্নতির নূতন ভিৎ বসাতে হবে তখন সেটা একমাত্র শিক্ষার দ্বারাই সম্ভবপর। এই উন্নতির দ্বারা তারা যে নিজের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে বড় হবে তা নয়, সমগ্র যুরোপের সভ্যতার সঙ্গে আপন প্রভাবের - দ্বারা সম্মিলিত হবে। তৃতীয় কথা হচ্চে এই, অবস্থা যতই শোচনীয় হোক, ব্যাপারটা যতই দুঃসাধ্য হোক, তৰু এটা করাই চাই । এ-কথা বলা বাহুল্য, প্রধানতঃ মানুষ শিক্ষার দ্বারাই তৈরি হয়,—“মানুষ করে তোলা” কথাটার মধ্যে এই অর্থ আছে ; প্রকৃতির ক্রিয়া জন্তুকে জন্তু করে, মামুষের শিক্ষণ মানুষকে মানুষ করে তোলে। আজকের দিনে যে মানসিক অবস্থায় আমরা এসে পোঁচেছি,—সেটা ভালোই হোক আর মন্দই হোক, সে অবস্থা আমাদের পূর্বকালীন শিক্ষার দ্বারাই ঘটেচে । এই অবস্থা পাকা করবার জন্তে কত শাস্ত্ৰ কত উপদেশ কত ব্যবস্থা আছে তার সীমা নেই। যে বৰ্ত্তমান অবস্থা এই শিক্ষার ফল, সেটা হচ্চে ভিতর দিক থেকে মনের স্বাতন্ত্র্যহীনতার অবস্থা। এই অবস্থা কোনোমতেই বাইবের দিকে স্বরাজ প্রতিষ্ঠার অনুকূল হতেই পারে না। অতএব যদি স্বরাজকে প্রার্থনীয় বলেই মনে করি তা হলে আগেকার শিক্ষাকে অতিক্রম করে’ এমন কোনোরকম শিক্ষণ দেশে চালাতে হবে যাতে দেশের লোকের মন বুদ্ধিবৃত্তির স্বরাজের প্রতি আস্থাবান হতে পারে। যে শিক্ষায় আমাদের বর্তমানট। গড়ে উঠেচে, সেই শিক্ষাতেই যদি আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে, তা হলে সে আমাদের এই বর্তমানেরই পুনরাবৃত্তি হবে। আজ জাৰ্ম্মানি একথা চিন্তা করতে প্রবৃত্ত হয়েচে যে, তার পূর্বতন শিক্ষাবিধির মধ্যে একটা দোষ ছিল । “Germans feel that the well-oiled and smoothly প্ৰেৰাণী—অগ্রহায়ণ, ১৩ee SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA AeM MAM MM SMMMS SSSSSSS SeMeMeeS SeeSeSeMMeM AeM MeM MeM MM MAAAS AAAAA AAAA AAAA SAAAAAM MMM AAAA AAAA AAAA AAAASAAAAS AAASASASS | ૨૭ન નન, ૨૬ ૧૭ AeS MAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAAMAM AAAA S running machine-like system of pre-war days was a system that was losing its substance, producing a mechanical form of culture—a culture that was lacking in essentials, a culture that seemed to turn out human beings with most extraordinarily cultivated brains but somehow out of touch with the human heart— science as apart from life, art, craft, learning, recreation, all in. separate compartments, and disharmony as a summary of all.” -- সাৰ্ব্বভৌম শিক্ষার সমগ্রতার দ্বারাই জাৰ্ম্মানির অধিবালী মনুষ্যত্বের সম্পূর্ণতা লাভ করবে এই চিন্ত। সে দেশে আগুন লাগার রূপকের জোরে উপেক্ষিত হয়নি । অথচ সেখানে অন্নাভাব বস্ত্রাভাব আমাদের দেশের চেয়েও প্রবলতর । আগে স্বতে কাটুব, কাপড় বুন্‌ব, খাব, এবং তদ্বারায় স্বরাজ পাব, তার পরে উপযুক্ত অব কাশ নিয়ে মনের দিক্‌ থেকে মানুষ হব এ-কথা মামুষের কথাই নয়। প্রাণের যেমন একটা সমগ্রতা আছে, তা ইট সাজিয়ে ক্রমে ক্রমে টুকরো টুকরো করে গড়া নয়, মনুষ্যত্বেরও তেমনি সমগ্রতা আছে। তার দেহ পৰ্ববে বস্ত্র, আর তার মন থাকবে উলঙ্গ, এ সয় না—কোনো প্রয়োজনের দোহাই দিয়ে তার পূর্ণতাকে কিছুকাল ধরেও খণ্ডিত করলে সে ক্ষতি হয়ত কোনোকালে আর পূরণ হবে না। যদি বলি যতদিন স্বরাজ না পাব ততদিন দেশে শিল্পকাৰ্য্যকে প্রশ্রয় দেব না, কেন না, শিল্পকাৰ্য্য অবশ্যপ্রয়োজনীয় নয়, তা সেীখীন, তা হলে স্বরাজ কবে পাব জানিনে, কিন্তু যে শিল্প শত শত বৎসরের সাধনায় প্রাণলাভ করেচে, স্বল্পকালের অনাদরে চিরদিনের জন্যে তা লুপ্ত হতে পারে। দেশে এমন লোকের অভাব নেই যারা বলবেন না হয় তাই হ’ল । আমি এই বলি, মানুষকে একদিকে অসম্পূর্ণ করে আর একদিকে তাকে স্বাধীনতা দেওয়ার অর্থ হচ্চে কলসীর একদিক থেকে ছিদ্র করে আর একদিক থেকে তা’তে জল ঢালা। মানুষ আপন সম্পূর্ণত থকাশ করবার অবসর পাবে এইজন্যই মামুষের স্বাধীনতা । স্পার্ট আপন পূর্ণ"মনুষ্যত্বকে পঙ্গু করে বাহুবলের সাধনা করেছিল, তাতে কোনো ফল পায়নি ; এথেন্স, তার কোনো একটা বিশেষ শক্তিকে সঙ্কীর্ণ করতে চায়নি, মনুষ্যত্বের সর্বাঙ্গীনতাকে চেয়েছিল, এইজন্যে সকল