পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পাক দিয়ে দিয়ে বেড়াচ্ছে, বলুচি-ও বেীমা, দুটো ত চড়িয়ে দাও, ওগো যা হয় দুটো-কিছু রাধ—হাতে য়ে ধরতে কেবল রাকী রেখেছি। কার কথা কে নে ?—এই বেলা দুপুরের সময় রাণী , এখন এলেন য়ে—” 愛 সুশীলা রক হইতে সমান গলায় উত্তর দিল—“মাইনের দাসী ত নই, আমি যখন পারবে। তখন রান্না চড়াবো -সকাল থেকে বসে’ আছি নাকি ? এত খাটুনি সেরে fবার আটটার মধ্যে ভাত দেবেt—মামুষের তো আর রীর নয়—যার না চলবে সে নিজে গিয়ে রোধে নিক—” এই কথার উত্তরে মোক্ষদা খুন্তী হাতে রান্নাঘরের ওয়ায় আসিয়। নটরাজ শিবের তাণ্ডব নৰ্ত্তনের একট। iধুনিক সংস্করণ সুরু করিতে যাইতেছিলেন–একট। টনায় তাহ বন্ধ হইয় গেল । «Ps একটা দশ-বার বৎসরের ছেলে, রংটা বড়ই কালো, লেরিয়ায় শরীর জীর্ণশীর্ণ, পরনে অতি ময়লা এক মিছা, শীতের দিনেও তাহার গায়ে কিছু নাই, হাতে কটা ছোট বাখারীর ছড়ি লইয়া বাড়ীর মধ্যে ঢুকিল । ছলেটি পাশের গ্রামের অতিরালি ঘরামির ছেলে, গত ংসর তার বাপ মারা গিয়াছে, ছুটি ছোট ছোট বোন আর মা ছাড়া তার আর কেহ নাই। অবস্থা খুব Iারাপ, সবদিন থাওয়া জুটে মা, ছেলেটা পিঠে ছড়ি জিাইয়া হাপু গাহিয়া মা ও বোন ছুটিকে প্রতিপালন করে । সে এগ্রামের প্রায় সব বাড়ীতে আসিত, কিন্তু খুয্যে-বাড়ী আর কখনো আসে নাই, তাহার একটা চারণ এই যে দানশীলতার জন্য রামতনু মুখুয্যে গ্রামের ধ্যে আদৌ প্রসিদ্ধ ছিলেন না। ছেলেটি উঠানে দাড়াইয়া বগল বাজাইয়৷ নানারূপ স্বর ফরিয়া উচ্চৈঃস্বরে হাপু গাহিতে লাগিল । সঙ্গে সঙ্গে পঠে জোর করিয়া লাঠির বাড়ি মারিতে লাগিল । তিনটি নেহাং গো-বেচারী সাক্ষীর তালিম দিতে অনেক ধস্তাধস্তি করিয়া রামতকুর মেজাজ ভাল ছিল না, ফরিয়৷ চাহিয়া দেখিয়া মুখ গিচাইয়। বলিলেন—“থাম্ —থাম, ও-সব রাখ–এপন ও-সব দেখবার সখ নেই "ساسا قسم أtة أوج به ci تمياه القاج أtة بس মৌরীফুল AM MeM SAS SSAS SSAS AM MAM MA AM MAAASAAAA AAAA SAAA AAAAM SMMMeMMAMMMMMSMMSMMSMMSMSMSMSAAAAAAS AAAAA SAAAAA AAAAMA MAAA AAAA AAAA AAAAS AAAASS ›ፄ » TarunnoBot (আলাপ) ১৩:০৫, ১২ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)ഫ~് স্বশীলা কাপড় মেলিয়া দিতে দিতে অবাকৃ হইয়। হাপু গাওয়া দেখিতেছিল—ছেলেটি সঙ্কুচিত হইয়া বাহিরে যাইতেই সে তাড়াতাড়ি বাহিরের রকে গিয়া তাহাকে ডাকিয়া বলিল—“শোন, তোর বাড়ী কোথায় রে ?” —হরিষপুর, মা-ঠাকুরুণ । —তোর বাড়ীতে কে আছে আব ? —মেরি বাপ মারা গিয়েছে আর-বছর মা-ঠাকুরুণমোদের আর কেউ নেই, মুই বড়, মোর ছোট দুটো বোন আছে—” —তাই বুঝি তুই হাপু গাস ? ষ্ট্যা রে এতে চলে ? রামতন্তর ধমক খাইয়া ছেলেমাচুষ অত্যন্ত দমিয়৷ গিয়াছিল, স্বশীলার কথার ভিতর সহানুভূতির স্বর চিনিয়া লইয়া হঠাৎ তাহার কান্না আসিল—চোখের জল ছু হু করিয়ু পড়িতেই ম্যালেরিয়াশীর্ণ হাতটি তুলিয়া চোখ মুছিয়া বলিল— ন মা-ঠাকুরুণ, চলে না । এ-সব লোকে আর দেখতি চায় না । যুই যদি ভাল গান গাইতি পাৰ্ত্তাম তো যাত্রার দলে যাতাম, বড় কষ্ট মোদের ংসারের—এই শীতি মা-ঠাকুরুণ— R সুশীলা বাধা দিয়া বলিল, “দাড়া, আমি আসূচি .” ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া কান্নার বেগ অতিকষ্টে সাম্‌লাইয়৷ চ:হিয়া দেখিল আলনায় একখানা নতুন মোটা বিছানার চাদর ঝুলিতেছে—হাতের গোড়ায় সেইখানা পাইয়া সেইখান টান দিয়া লইল । তার পর জানাল দিয়া বাড়ীর মধ্যে চাহিয়া দেখিয়া চাদরখানা তাড়াতাড়ি ছেলেটির হাতে দিয়া চুপিচুপি বলিল—“এইখানা নিয়ে যা, এতে শীত বেশ কার্টুবে । কাটুবে না ? খুব মোটা । শীগগির যা, লুকিয়ে নিয়ে যা কেউ না দেখে—” ছেলেটা চাদর হাতে হতবুদ্ধি হইয়া ইতস্তত; করিতেছে দেখিয়া সুশীলা বলিল—“ওরে এক্ষুনি কে এসে পড়বে, শীগগির যা—" ছেলেটাকে বিদায় দিয়া সুশীল ভিতর-বাড়ীতে ঢুকিয় দেখিল শ্বশুর আহার করিতে বসিয়াছেন। ছেলেটার দুঃখে মুশীলাব মন খুব নরম হইয়! গিয়াছিল, সে গিয় রান্না-ঘরে ঢুকিয় কাজে মন দিল, শ্বশুরকে জিজ্ঞাসা করিল—“আপনাকে কিছু দেল বাবা ?”