পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ፃ8 স লক্ষ্য করিল তাহার সঙ্গিনী ঘোমটার ভিতর হইতে গলো-কালো ডাগর চোখে তাহার দিকে সকৌতুকে iাহিতেছে। বউটর হাসি পাইল, জিজ্ঞাসা করিল— তামার নাম কি ভাই ? স্বশীল। সন্দিগ্ধস্বরে বলিল—শ্ৰীমতী স্বশীলাসুন্দরী দেবী । ● স্বশীলার রকম-সকম দেখিয়। বউটির খুব হাসি পাইতে লাগিল। সে বলিল--অত ঘোমটা কিসের ভাই ? তুমি আর আমি ছাড়া তো আর কেউ এদিকে নেই, নাও এস ঘোমটা খোল, একটু গল্প কৰি । এই কথা বলিয়া বউটি নিজেই সুশীলার ঘোমট ধুলিয়াদিল—খুলিতেই মুশীলার মুন্দর মুখের দিকে চাহিয়৷ সে যেন মুগ্ধ হইয়। গেল—রং যদিও ততটা ফসর্ণ নয়, কিন্তু কালোর উপর অত শ্ৰী সে কখনো দেখে নাই, নদীর ধারের সরস সতেজ চিকণশ্যাম কলমী-লতারই (ত একটা সবুজ লাবণ্য যেন সারামুখ খানায় মাখানে।। খখানি দেখিয়াই সে এই নিরাভরণা পাড়াগায়ের ময়েটিকে ভালবাসিয়া ফেলিল জিজ্ঞাসা করিল -- উনি বসে আছেন তোমার কে ভাই, শাশুড়ী ? 一乾州1 —এস আর-একটু সরে' এস ভাই, দুজনে গল্প করি আর দেখতে দেখতে যাই । তোমার বাপের বাড়ী কোথায় ভাই ? : স্বশীলার ভয় কাটিয় যাইতেছিল, সে বলিল—সে হ’ল শিমূলে । —কোন শিমূলে ? কলকাত শিমূলে ? কলিকাতায় শিমূলে আছে নাকি ? কৈ তাই তে। সুশীল। কোন দিন শোনে . নাই। সে বলিল—আমার রাপের বাড়ী এখান থেকে তে বেশী দূর নয়, ৫৬ কোশ পথ, গরুর গাড়ী করে যেতে হয় । নদীর ধারের যুবক্ষেত, সৰ্মেক্ষেত, বুনো গাছপালা :দখিয়া বউটি খুব খুসি । এ-সব সে পূৰ্ব্বে বড় দেখে নাই, আঙল দিয়া একটা মাছরাঙা পাখী দেখাইয়৷ বলিল—বা, বড় স্বন্দর তো ! ওটা কি পার্থী ভাই ? —ওটা তো মাছরাঙা পার্থী, কেন তুমি দেথনি কখনো ? প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ عی را به جایی * ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AAAA SAAAAAS MJAeSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ه عی - ۷--۰۹-۶ ه۶۹ ه . বউটি বলিল-ভাই, আমি কলকাতার বাইরে অ্যাদিন পা দিইনি, খুব ছেলেবেল একবার বাবার সঙ্গে চন্দননগরে বাগান-বাড়ীতে যাবার কথা মনে আছে, তার পর এই আস্চি–তুমি আমায় একটু দেখিয়ে নিয়ে চল । ওটা কিসের ক্ষেত ভাই ? - স্বশীল দেখিল তাহার সঙ্গিনী আঙুল দিয়া নদীর ধারের একটা মৌরির ক্ষেত দেখাইতেছে—প্রথমটা সে সঙ্গিনীর চোখ-ঝলসানো র", অদৃষ্টপূৰ্ব্ব দামী সিস্কের শাড়ী, ব্লউ ষ্ট্র এবং চিকুচিকে নেক্লেসের বাহার দেখিয়া যে ভয় অল্প ভব করিতেছিল, তাহার অজ্ঞতা দেখিয়া সুশীলার সে ভয় কাটিয়া অজ্ঞ সঙ্গিনীর উপর একটু স্নেহ আসিল—কলিকাতায় মাছরাঙা পাখী, মৌরীক্ষেত এসব সামান্য জিনিসও নাই নকি ? স্বশীল হাসিয়া বলিল, —তুমি ফুলের গন্ধ দেখে বুঝতে পার না ভাই ? ও তো মৌরীর ক্ষেত । কুেন, আমাদের বাপের বাড়ীর গায়ে তো কত মেীরার ক্ষেত আছে- মেীরীর শাক কখনো খাওনি ? কলকাতায় বুঝি নেই ? কলিকাতার বৌটি বুঝাইয় দিল যে কলিকাতার অতীত ইতিহাসের সে খবর রাখে না, বৰ্ত্তমান অবস্থায় সেখানে মেীরীক্ষেত প্রভৃতি থাকা সম্ভবপর নয়, তবে ভবিষ্যতে কি হয় বলা যায় না । ঘণ্টাখানেক পরে যখন নেীক শিবতলার ঘাটে গিয়া লাগিল, তখন তাহীদের দুজনের মধ্যে অনেক ঘনিষ্ঠ রকমের কথাবাৰ্ত্ত হইয়া গিয়াছে। সঙ্গিনীর মুখে স্বামীর আদরের গল্প শুনিয়া সুশীলার মনের মধ্যে একটা গোপন ব্যথা জাগিয়া উঠিল—সেট। সে অনবরত চাপিবার চেষ্টা করে, তবু কি জানি কেন সেটা র্যাক পাইলেই মাথা তোলে ! প্রথম বিবাহের পর তাহার স্বামীও তো তাঙ্গকে কত আদর করিত, রাত্রে ঘুমাইতে না দিয়া নানা গল্পে ভুলাইয়া জাগাইয়। রাখিত, স্বশীল পান খাইতে চাহিত না বলিয়। ত সাধ্যসাধনা করিয়া পান মুখে তুলিয়া দিত—সেই স্বামী তাহার কেন এমন হইল ? তাহার বুকটার মধ্যে কেমন হু হু করিয়া উঠিল । দুজনে তাহার খানিকক্ষণ গাছের ছায়ায় নদীর ধারে এদিক্‌ ওদিক্ , বেড়াইল, কি সুন্দর দেথায় চারিদিক্‌!...