পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ তোমার আঙুল, তুমি হলে মৌরীফুল, তোমায় খাওয়াবার কথা, কাপড় দেওয়ার কথা—এই অt:টিটা আমার মায়ের দেওয়া, তোমায় দিলাম, তবু এট। দেখে তুমি গরীব মেীরাফুলকে ভুলে যাবে না। স্বশীল আংটিটা সঙ্গিনীর হাতে পরাইয়া দিতে গেল,—বউটি চট্‌ করিয়া হাত টানিয়া লইয়া বলিল—দূর পাগল ! ন৷ ভাই, এ রাখে—তোমার মায়ের দেওয়া আংটি-এ কেন আমায় দিতে যাবে ? না ভাই— স্বশীল জোর করিতে গেল—হোক ভাই, দেখি– মায়ের দেওয়া বলেই— বউটি বলিল—দূর! صسCH RRR স্বশীল। খুব হতাশ হইল। মুখটি তাহার অন্ধকার হইয়া গেল—সে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। গ্রামের ঘাটে নৌকা লাগিল । বউটি স্বশীলার হাত ধরিয়া বলিল,—পায়ে পড়ি ভাই মৌরীফুল, রাগ কোরো না । আচ্ছা, কেন তুমি শুধু শুধু তোমার মায়ের দেওয়া আংটি আমায় দিতে যাবে ভাই ?–আচ্ছা, তুমি যদি দিতে চাও এই পুজোর সময় আসবে।-অন্ত কিছু বরং দিও—একদিন না হয় খাইয়ো—আংটি কেন দেবে ভাই —আর আমায় ভুলবে না তো ভাই ? স্বশীল ব্যগ্রভাবে বলিল-তোমায় ভুলবো ভাই মৌরীফুল ? কখখোনো না—তুমি কোন জন্মে যে আমার মায়ের পেটের বোন ছিলে ভাই মৌরীফুল— তাহার পর সে একটু আনাড়ি ধরণে হাসিয়া উঠিল —হিঃ হিঃ ! কেমন মুন্দর কথাটি—মেীরীফুল— মৌরীফুল-মৌরীফুল—তুমি যে হ’লে গিয়ে আমার নদীর ধারের মৌরীফুল—তোমায় কি ভুলতে পারি ?— কথা শেষ না করিয়াই সে দুইহাতে সঙ্গিনীর গল। জড়াইয়া ধরিল, সঙ্গে সঙ্গে তাহার কালো চোখ দুটি জলে দুরিয়া গেল । কলিকাতার বউটি এই অদ্ভুতপ্রকৃতি সঙ্গিনীর মশ্রশ্লাবিত স্বন্দর মুখখানা বার বার সস্নেহে চুম্বন চরিল—তার পর দুজনেই চোখের জলে ঝাপূসাদৃষ্টি ইয়া দুজনের কাছে বিদায় লইল । ন। ভাই, ও-সব রাখো— প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৯ { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSAAAAAAS AAAASS AAAA S AAAAA AAAA SAAAAAS SASAAAAM MASA SA AMS দিন কতক কাটিয়া গেল। কিশোরী বাট নাই, কি-একটা কাজে অন্য গ্রামে গিয়াছে, ফিরিতে ২১ দিন দেরী হইবে । মোক্ষদা সকালে উঠিয়। জমিদার-গৃহিণীর আহবানে তাহার সাবিত্রী-ব্ৰত-প্রতিষ্ঠার আয়োজনে সাহায্য করিতে চৌধুরী-বাড়ী চলিয়া গেলেন। যাবার সময় বলিয়া গেলেন,—বেীমা, আমার ফেরবার কোনো ঠিক নেই, রান্না-বান্না করে রেখো, আমি আজ আর কিছু দেখতে পারব না, চৌধুরী-বাড়ীর কাজ–কখন মেটে বলা যায় না । - একথা মোক্ষদার ন! বলিলেও চলিত । কারণ ভোবে উঠিয়া বাসন-মাজ জল-তোলা হইতে আরম্ভ করিয়া এ সংসারের সমস্ত কাজের ভারই ছিল সুশীলার উপর । এ সংসারে কিশোরীর বিবাহের পর কোনো দিন ঝি-চাকর প্রবেশ কবে নাই—যদিও পূৰ্ব্বে বাড়ীতে বরাবরই একজন করিয়া ঝি থাকিত । সুশীলার খাটুনিতে কোন ক্লান্তি ছিল না, থাটিবার ক্ষমতা তাহার যথেষ্ট ছিল – যখন মেজাজ ভাল থাকিত, তখন সমস্ত দিন নীরবে ভূতের মত খাটিয়াও সে বিরক্ত হইত না । শাশুড়ী চলিয়া গেলে অন্যান্য কাজকৰ্ম্ম সারিয়া সুশীল রান্নাঘরে গিয়া দেখিল একখানিও কাঠ নাই । কাঠ অনেক দিনই ফুরাইয়া গিয়াছে, একথা স্বশীল। বহুবার শ্বশুরকে জানাইয়াছে। রামতনু মধ্যে মধ্যে মজুর ডাকাইয়া কাঠ কাটাইয়া লইতেন, এবার কিন্তু অনেকদিন হইল তিনি আর এদিকে দৃষ্টি দেন নাই। কিশোরীর দোষ নাই, কেননা সে বড় বাড়ীতে থাকিত না, সংসারের সংবাদ তেমন রাখিতও না। আসল কথা হইতেছে এই যে রান্নাঘরের পিছনে খিড় কীর বাইরে অনেক শুকুন বঁাশ ও ডালপালা পড়িয়া আছে-স্বশীল রান্না চড়ানোর পূর্বে বা রান্না করিতে করিতে প্রয়োজন-মত এগুলি দা দিয়া কাটিয়া লইয়া কাজ চলাইত। রামতনু দেখিলেন – কাজ যখন চলিয়া যাইতেছে তখন কেন অনর্থক কাঠ কাটিবার লোক ডাকিয়া আনা—আসিলেই এখনি একটা টাকা খরচ তো ? পুত্রবধু বকিতেছে বকুক, কারণ বকুনিই উহার স্বভাব । কাঠ নাই দেখিয়া সুশীলা অত্যন্ত চটিয়া গেল,