পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so সংখ্যা ] “কিন্তু তা হ’লে কোন হিসাবে একজন গবমেণ্ট অফি সারের পক্ষে খন্দর ব্যবহার করা অন্যায় নয় তা’ ত বুঝতে পারছিনে!” উৎসাহের মুখে এমন নিষ্ঠুর বাধা পাইয়া প্রমদাচরণ একেবারে সঙ্কচিত হইয়া গেলেন। কি বলিবেন প্রথমে ভাবিয়া পাইলেন না, তাহার পর মৃদু সঙ্কোচ-বিজড়িতকণ্ঠে বলিতে লাগিলেন,—“ন, না, কথাটার এক দিক দেখলেই চলবে না ত এর মধ্যে যে অনেক কথা আছে ।” কিন্তু এ কথা জয়ন্তীর মনে কিছুমাত্র কৌতুহল সঞ্চার করিল না । এ সম্বন্ধে আর কোনও আলোচনা না করিয়া সুমিত্রার দিকে চাহিয়া তিনি কহিলেন,—“বিমান তোমাব জন্যে উপহার এনেছেন ; তেপায়ার ওপর রয়েছে ; খুলে’ দেখ ।” জননীর নির্দেশে সুমিত্র। চাহিয়া দেখিল টেবিলহামোনিমামের পাশ্বে আবলুস-কাঠের ত্রিপদের উপর রঙীন কার্ড বোর্ডের একটি সদৃশু বাক্স রহিয়াছে। বক্সটি লইয উন্মোচিত করিখ মুমিত্রা দেখিল একটি উজ্জল পালিশ-কর। রৌপ্য-নিৰ্ম্মিত বাক্স ; তাতার পর সে বাক্সটি উন্মোচিত করিয়া দেখিল তিন প্রকার এসেন্সে পূর্ণ রূপার তারের বন্ধনীতে তাবিদ্ধ পলকাটা কাচের তিনটি বড় বড় শিশি । আসিবার সময়ে এই সামগ্ৰীটি সঙ্গে আনিধ। বিমান সকলের অগোচরে ত্রিপদেব উপর রাখিয়াছিল । কিন্তু কিছু পবে তাঙ্গ সজনীকান্তব দৃষ্টিগোচর হইলে সকলে তাহার তথ্য জানিতে পারে । সুমিত্রীর উপহার সুমিত্র। আসিয় প্রথম খুলিবে, তাই বাকের মধ্যে কি আছে তাহ এ পর্যন্ত কেহ জানিত না । একটি শিশি খুলিয়া আভ্রাণ লইয়া সুমিত্রা মৃদুস্বরে বলিল,—“চমৎকার গন্ধ !” তাহার পর বিমানের দিকে একবার চাহিয়া মুকুস্মিতমুখে তাহাকে নিঃশব্দ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিয়া বাক্সটি বন্ধ করিতে লাগিল । সজনীকান্ত ব্যস্ত হইয়া হাত বাড়াইয়া কহিল,—“দাও, দাও, আমরা দেখি । তুমি খুলবে বলে আমরা ত এপৰ্য্যস্ত জানিও না ফেকি পদার্থ ওর মধ্যে আছে।” তন্মধ্যে রাজপথ ৯ ح" جی.حت۔ علی خہ ہے_مہ ہی ہے۔ °C ه به مری- ۰ تهران ۶م. - مراسری مستم .* ۹ به N" رخ محرس ۹ বাক্সটি হস্তে লইয়া সজনীকান্ত একে একে তিনটি শিশিরই আস্ত্ৰাণ লইয়া দেখিল । তাহার পর বাক্সের ঢাকার উপর লেবেল পড়িয়া দেখিয়া বলিয়া উঠিল,— “তাই ত বলি এ কি করে’ হ’ল ! শ্ৰীং টপূলে আটকে যায় না, বাক্সর পালিশ চারদিকে চার রকমের নয়, তিনটি শিশিই সমান এক ছাঁচের, সমস্ত জিনিসটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ! এ কি করে’ হয় ! এ যে দেখছি সমুদ্র-পারের জিনিস, একেবারে খাস মেড ইন্‌ ইংল্যাণ্ড!” তাহার পর কাগজের বাক্সর একদিকে দেখিয়া গভীর বিস্ময়ের সহিত বলিয়া উঠিল,—“ঈশ, ! এ যে দামী জিনিস দেখছি, পয়ষট্টি টাকা পনের আন৷ ” বলিয়া বিস্ময়বিমূঢ়মুখে ক্ষণকাল নিঃশব্দে বিমানের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । জয়ন্তী গম্ভীর ভঙ্গীর সহিত কহিলেন,—“উনি যখন যা দেন, দামী জিনিসই দেন ।” তাহার পর বিমানের দিকে চাহিয়া কহিলেন,—“এতটা হাত-খোল কিন্তু ভাল নয় বিমান ।” বিমান এ কথার কোনও উত্তর না দিয়া শুধু একটু হাসিল । সুবেশ্বর তিনখানি রুমাল উপহার দিয়াছে, মূল্য হিসাবে তাহা বিমানের উপহারের নিকট নিশ্চয়ই নগণ্য, অতএব সুরেশ্বরের সম্মুখে এ কথাটা এমন করিয়। বলা উচিত হয় নাই । অন্য দিম হইলে বিমান কোন-না-কেনিপ্রকারে নিশ্চয়ই ইহার প্রতিবাদ করিত। কিন্তু আজ তাহার মনট। এমন বিমুখ হইয়া ছিল যে জয়ন্ত্রীর আঘাত হইতে সুরেশ্বরকে বক্ষ কবিবার জন্য তাহার কিছুমাত্র আগ্ৰহ হইল না । কিন্তু আগ্রহ না হউক, সুরেশ্বরকে রক্ষা করিবার আজ কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাহার মনের মধ্যে সঞ্জাত নিবিড় আনন্দ আধাতের সকল পথ একেবারে রুদ্ধ করিয়। রাখিয়াছিল । লটারী টিকিটে দশ টাকা ব্যয় করিয়া লক্ষ টাকা পাওয়ার উল্লাসের মত একটা বিপুল উল্লাস তাহার চিত্তকে পরিব্যাপ্ত করিয়া ছিল । । সজনীকান্তর কথাটা তাহার বারম্বার মনে পড়িতেছিল— বাস্তবিকই তিল তাল হইয়াছে ! সমগ্র ভারতবর্ষের বিপুল জনসজোর মধ্যে একটি