পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মহীশূর রাজ্যের তীর্থস্থান ->br> মহীশূর রাজ্যের তীর্থস্থান রামায়ণে মহীশূর রাজ্যের অনেক তীর্থস্থানের নামের উল্লেখ আছে। ভারতবর্ষের পৌরাণিক হিন্দু ভিন্ন অন্যান্য ধৰ্ম্মমতালম্বীদেরও অনেক প্রসিদ্ধ তীর্থ মহীশূরে অবস্থিত। যদিও পূৰ্ব্বে বহু বৌদ্ধধৰ্ম্মবলম্বী মহীশূরে বাস করিত, কিন্তু বৰ্ত্তমানে এখানে তাহদের কোন প্রসিদ্ধ তীর্থ নাই। কিন্তু জৈন-শৈব-বৈষ্ণবমতাবলম্বীদের অনেক স্থ প্রসিদ্ধ তীর্থ মহীশূর রাজ্যে অবস্থিত। এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে মহীশূর রাজ্যের প্রসিদ্ধ তীর্থস্থানগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে প্রয়াস পাইলাম । হইয়াছে এবং পৰ্ব্বতের সিংহাসন পরিত্যাগ করিয়া আসিয়া এখানে ধৰ্ম্মজীবন যাপন করেন। এখানকার পুৰ্ব্বতোপরিস্থ প্রাচীনতম মন্দিরটি স্বপ্রসিদ্ধ সম্রাটু চন্দ্রগুপ্তের নামে উৎসর্গীকৃত নাম হইয়াছে চন্দ্রবেট । যে পূৰ্ব্বতের উপর বিশাল প্রস্তরমূর্তিটি খোদিত হইয়াছে তাহার নাম ইন্দ্রবেট । পৰ্ব্বতটি সৃষ্ট্রিদেশের গ্রাম হইতে প্রায় চারিণত ফুট উচ্চে উঠিয়াছে। মন্দিরগামী দশকগণকে পাহাড়ের পাদদেশে জুতা প্রভৃতি পরিত্যাগ করিয়া উপরে উঠিতে হয়। শ্রবণবেলগোলীর মন্দির শ্রবণবেলগোলা।— মহাবীর-প্রবর্তিত জৈনধৰ্ম্মাবলম্বীদের শ্রবণবেলগোলা একটি প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান । এখানে তাহাদের প্রধান গুরু বাস করেন। সেই কারণে ভারতবর্যের সমস্ত জৈনরাই এ স্থানটিকে ভক্তির চক্ষে দেখিয়া থাকে। এখানে গোমতেশ্বরের একটি বিশাল প্রস্তরমূৰ্ত্তি আছে। মূৰ্ত্তিটি প্রায় ৬২ ফুট উচ্চ ও পাহাড় খুদিয়া নিৰ্মাণ করা হইয়াছে। গোমতেশ্বরের বিশাল মুক্তির চতুর্দিকে অনেক মন্দিরাদি আছে। এখানে একটি — গ্রীষ্মকালে পাদুকাবিহীন অবস্থায় এই | পৰ্ব্বতারোহণ করা বিশেষ কষ্টকর। মুক্তিটি উত্তরমুখী অবস্থায় দণ্ডায়মান । যে ভাস্কর এই বিশাল মুক্তিটি প্রস্তুত করিয়াছেন তিনি নিপুণতার সহিত র্তাহার কার্য্য সম্পাদন করেন নাই । কারণ মূৰ্ত্তিটির বাহুদ্বয় শরীরের অমুপাতে বড় হইয়াছে। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মাপাকুযায়ী হয় নাই । নিৰ্ব্বিকারচিত্ত ধ্যানীর মূৰ্ত্তি কল্পনা করিয়া ভাস্কর মুৰ্ত্তিটির দেহের নিম্নভাগে উইঢিপি ও পদদ্বয়ে লতাপাত খোদিত করিয়াছেন । যেন ধ্যাননিরত সন্ন্যাসী ভগবৎচিন্তায় এতই বিভোর যে নিজের দেহের প্রতি মনোনিবেশ করিবার কোনই আগ্রহ নাই । এখানে প্রতিবৎসর ছোট ছোট উৎসব হয়। দশ বার বৎসর অন্তর এই বিশাল মূৰ্ত্তিটির অঙ্গ ঘৃত দ্বারা ধৌত করা হয় । সেই সময় এখানে খুব বড় উৎসব হইয়৷ থাকে ও ধনী জৈনরা এই ব্যাপারে সহস্ৰ সহস্র টাকা ব্যয় করেন । শৃঙ্গেরী –ভারতবর্ষের প্রসিদ্ধ মঠগুলির মধ্যে শৃঙ্গেরী মঠ অন্যতম। মহীশূর রাজ্যের তীর্থস্থানগুলির মধ্যে