পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о প্রবাসী—কার্ভিক, ১৩৩৯ AA AM AAAA SAAAAA SAAAAAMAM A S A S A S A S A S A S A S A S A S ASASASA AAA AAAA S মাত্র নারীর বিমুখ চিত্তকে প্রকৃত পথে প্রত্যাবৃত্ত করিয়াছে অনেক মনে করিয়া তাহার মনে হইতেছিল তাহার সব সাধনা সফল হইয়াছে ; তাহার কার্পাস চরকা স্থত। র্তত কিছুই বিফল হয় নাই ! কিন্তু সে কিছুমাত্র জনিত না যে বৈদ্যুতিকবিপ্লবাহত কম্পাসের কঁাটার মত সুমিত্রীর চকিত-চেতন চিত্ত ইহারই মধ্যে অন্য দিকে ফিরিয়া গিয়াছিল । সজনীকান্ত এবং বিমানের সহিত সুরেশ্বরের কথোপকথনেব সময় সুরেশ্বরের উৎসাহ ও উল্লাস উপলব্ধি করিয়া সুমিত্রার মন ধীরে ধীরে বিরূপ হইয়। উঠিয়ছিল । সুরেশ্বরের কৰ্ম্ম জালানো এবং সুমিত্রার ধৰ্ম্ম জলা এইরূপ একট। কথা যখন সুবেশ্বর প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিতেছিল তখন স্থমিলার মন সুবেশ্বরের দস্ত দেখিয়৷ জলিয়া উঠিবারই উপক্ৰম করিয়াছিল, শুধু স্থান এবং পাত্রেপ কথা স্মরণ করিয়| সে নিজকে দমন করিতে পরিযাচিল । কয়েকজন দেখাব পল বিমানবিহারীব উপহtল মথন সুমিত্রীর হস্তে ফিরিয়া আসিল তখন তাহার বিক্ষুব্ধ চিত্ত কম্পাসের উত্যক্ত কঁাটারই মত ইতস্ততঃ আন্দোলিত হইতেছিল । সে কটিদেশ হইতে রুমাল বাহির করিয়৷ একটা শিশি হইতে পানিকট এসেন্স ঢালিম লইয়। ঘনঘন আঘ্ৰাণ লইতে লাগিল । সজনীকান্ত কহিল,—“ও রুমালট। সুবেশ্বরের দেওয়া রুমাল ন কি ?” : সজনীকান্তব প্রতি দৃষ্টিপাত না করিযই সুমিত্র। কহিল,—“ই।" সুরমা হাসিয়া বলিল,—“বেশ হযেছে ত ! দেশী রুমালে বিলাতী এসেন্স, ।” প্রমদfচবণ ঈষৎ দুলিয়া উঠিয় বলিলেন,—“এট। কিন্তু একটা শুভলক্ষণের মত মনে করা যেতে পারে । আমাদের ভারতবর্ষের বিশেধত্বের সঙ্গে যেদিন বিলাতের সার পদার্থ মিলিত হবে সেদিন বাস্তবিকই শুভদিন হবে।” বলিয। তিনি পুনবাস দুলিতে লাগিলেন । জয়ন্তী ঈষৎ ব্যঙ্গ ভরে বলিলেন,—“সে শুভদিনের এখনও অনেকদিন দেরী আছে ।” BBBBB BB BBBS BBBSASgBKDD BB DD [ ২৩শ ভাগ, খয় খণ্ড MJJAMMSJJAJJJ JJJA AMAAJAMAMSeMeAMAMAAAA দেরী আছে। তার আগে ভারতবর্ষের বিশেষত্বকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তা না হ’লে যা হবে তা মিলনও হবে না, শুভও হবে না ।” বিমান কহিল,—“ত হ’লে কি আপনার দেশী রুমাল আর আমার বিলাতী এসেন্সের এই যোগটাকে আপনি অশুভ বলতে চাচ্ছেন ?” . সুরেশ্বর মৃদু হাসিয়া কহিল,—“অশুভ বলি আর নাই বলি, কিন্তু এ যোগটাকে মিলন বলতে পারিনে, যখন দুটোর মধ্যে একটা ভাবগত বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এ-সব তর্ক আজকের মত থাক, এখন এ কটু গান হোক ৷” বলিয়া স্থমিত্রীর দিকে চাহিয়া বলিল, “আমরা সকলে আপনার গানের জন্যেই অপেক্ষা করে ছিলাম। আপনি দয়া করে একটু গান করুন।” গান হইল, কিন্তু জমিল ন৷। বেস্নবাব আবহাওয়ার মধ্যে সব কোন প্রকাবেই নিজকে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিল না । আহারে বসিধা সজনীকান্ত কহিল, “ওঠে সুরেশ্বর, কুম্ড়ের ছোকাট৷ তোমার ত চলবে না।” স্বরেশ্বব সকৌতুহলে বলিল,—“কেন ?” সজনীকান্ত হাসিয়া কহিল,—“বিলাতী কুমড়ে যে ! তোমরত বিলাতী জিনিস সব বয়কট কবেছ ?" সজনীকান্তর কথা শুনিয়া সকলেই হাসিয়া উঠিল । বিমল মুতুম্বরে কহিল, তা হ’লে চাটুনিটাও চলবে না ; সেটাও বিলিতী আমড়া দিয়ে হয়েছে।” পুনরায় একট। হাসির হিল্লোল বহিয়া গেল । সুরেশ্বর হাসিমুখে কহিল,—“কতকগুলি বিলিতী জিনিস নিতান্ত প্রয়োজনীয় বলে আমরা বর্জন করিনি । এ দুটিকে ও সেই শ্রেণীর অন্তভুক্ত করে নেওয়া গেল ।" আহারান্তে বিদায়কালে স্বমিত্রাকে একাস্তে পাইয়া সুরেশ্বব কহিল,—“বড় খুশী হ’য়ে আজ যাচ্ছি।” সুমিত্র আরক্ত-মুখে কহিল,—“কেন ? অামাব এই পদবেব কাপড় পব দেখে নাকি ?” সুরেশ্বর পবিতুপমূখে কহিল,—“ষ্ট্য, ঠিক সেই ক{রণে।" সুমিল। কঠিনস্বলে কহিল,—“কিন্তু এব মধ্যে খুপী