পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3నసి ASA SSASAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA S গিয়েছে এটা বেশ নির্জন। আমরা ওবেলা ওটা দিয়ে একটু বেড়িয়ে আসব, কি বলুন ? আপনার একটু একটু বেড়ান দরকার হয়েছে। যাই আপুনার দুধটা হ’ল কিমী দেখি ” সে চলিয়া গেল । আমি স্তম্ভিত হইয়া ভাবিতে লাগিলাম, এই অদ্ভূত কিশোরীর কথা। একি মায়াবিনী ! কুহক জানে ?

• * g •

সেদিনের কথাটা খুব স্পষ্ট মনে আছে। সেই দিনই সেখানকার শেষ দিন কিনা । sরাস্তায় বেড়াইতে বাহির হইয়া অনেক দূর চলিয়া গিয়ুছিলাম; চগলা ও পাশে পাশে চলিয়ছিল। অনেকক্ষ৭. মিঃশব্দে কাটিতেছিল । চপলা নিস্তব্ধত। ভঙ্গ করিয়া বলিল, “চলুন ফেরা যাকু। আপনি বোধ হয় ক্লান্ত হ’য়ে পড়েছেন।” জামি বলিলাম, ন, ক্লাস্ত হইনি—চলে আর-একটু এগুনো যাক।” চপলা যেন একটু ব্যস্ত হইয়া বলিল, “না—ন, বেশী বেড়ান আপনার ভাল নয়। আর এগুনে হবে না ।” আমি ঈষৎ হাসিয়া বলিলাম, “আচ্ছা চলে, ফের স্বাক্ । কিন্তু আমার মুস্থতার সম্বন্ধে তোমার দাবী যেন সবচেয়ে বেশী।" : চপলার গণ্ড কপোল আরক্তিম হইয়া উঠিল । সে কিন্তু যথাসাধ্য স্বাভাবিক স্বরে বলিল, “আপনি দাদার অস্থস্থ বন্ধু কিনা ?” ’, আজ কিন্তু এ কথা আমাকে ততটা লজ্জা দিতে পারিল না। আজ যেন আমার সব কথা বলিবার দিন । আজ আমার সাহস দুর্জয় । আমি বলিলাম “শুধু বন্ধুত্বের খাতিরেই কি—” কথাটা শেষ করিবার পূৰ্ব্বে চপল বাধা দিয়া তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, “ঐ দেখুন, মেঘ ক’রে আসচে, চলুন চলুন শীগগির ফেরা যাকৃ—” সেদিন সেই বর্ষার সন্ধ্যাও যেন আমার কাছে স্বপ্নময় রঙীন বসস্তের সন্ধ্যার মত মনে হইতে লাগিল । .শ্রাবণের সেই ভিজা বাতাসেও যেন কিসের একটা প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩• . 、ヘヘヘヘヘアーヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘイ** ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ」 { ২৩শ ভাগ; ২য় খণ্ড মাদকতা অমুভব করিতে লাগিলাম। আজ সমস্ত প্রকৃতি যেন সিরাজীর পেয়ালায় চুমুক দিয়া মাতাল হইয়৷ পড়িয়াছে। শিরা-উপশিরার প্রত্যেক রক্তবিন্দু যেন হৃদয়ের দ্বারে আঘাত করিয়া বলিতে লাগিল, পাইয়াছি ! পাইয়াছি ! আবিষ্টের মত বাড়ী ফিরিলাম। রাত্রে আহারের সময় দেখিলাম চপলাও যেন এক মধুর-মোহে আচ্ছন্ন রহিয়াছে, তাহার চোখেও যেন গোলাপী নেশার আমেজ ! কি সুন্দর সলজ্জ মুগ্ধ দৃষ্টি ! হায়! আমাব এ মৃগ যদি একটি দিনও স্থায়ী হইত ! চিরজীবন চাহি না, সেই এক দিনের জন্ত ষে আমি চিরজীবন বিনিময় করিতে পারিতাম ! কিন্তু নী—একটি সম্পূর্ণ দিনও না, প্রভাত হইবার পূর্বেই যে আমার স্বর্থস্বপ্ন ভাঙিল ! রাত্রি ১২টা কি ১ট হইবে, মোহময় আবেশে ঘুমাইয়া পড়িয়ছিলাম । হঠাৎ কিসের একটা শব্দে ঘুম ভাঙিয়া গেল। আমার ঘরের যে ছোট জানালাটা চপলার ঘরের দিকে ছিল সেটা অল্প একটু খোল ছিল, তাহ দিয়া দেখিলাম চপলার ঘরে আলো জলিতেছে । চপলা কাহার সঙ্গে যেন মৃদু কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। যাহার সহিত কথা কহিতেছিল তাহার স্বর একবার কানে গেল— এ স্বর যে পুরুষের! একটা ঝাকানি খাইয় যেন মোহ ছুটিয়া গেল । উঠিয়া বসিলাম, শিষ্টাচার ভুলিয়া সস্তপণে চোরের ন্যায় জানালার পশ্বে আসিয় দাড়াইলাম। দেখিলাম, একটি তরুণ যুবক ১৮১৯ বৎসর বয়স হইবে, চপলার বিছানায় বসিয়া আছে—চপল সম্মুখে দাড়াইয়। আর দেখিতে পারিলাম না—বিছানায় আসিয়া শুইয়া পড়িলাম । সেই পুরাতন উপমাটা মনে পড়িল "ফুলের মধ্যে কীট” । • আচ্ছন্নের মত পড়িয়া রহিলাম। সমস্ত চৈতন্য যেন অসাড় হইয়া গিয়াছিল । পাশের ঘরের কথাবার্তা আর কানে ঢুকিতেছিল না। মৃদু অথচ অসহ একটা যন্ত্রণা সমস্ত বুকটা যেন ভাঙিয়া দিতেছিল। এইরকমভাবে কতক্ষণ পড়িয়া ছিলাম জানি না। স্বারের উপর মৃত্যু করাঘাতে চৈতন্য যেন ফিরিয়া আসিল । উঠিয়া বসিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “কে ?” উত্তর হইল, “আমি চপলা, দোরটা খুলুনত !” . .