পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মায়ের ছেলে ’ సి(t AAMMAMMAeMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAMA MMAMAAA AAAA AAAA AAAAMMAAMMA AMMMAMA AMAMMMMMAMAAASA SAASAASAASAASAA বাণ্ডিল কুড়াইয়া পাই, তাহাতে উপরে লিখিত কাহিনীটি শুনিলাম, বহুদিন যাবৎ সে নিরুদ্দেশ। কেহ বলে সে ছিল । • অঞ্জ আমি দেশে ফিরিয়া আসিয়াছি। দেশে আসিয়া কৌতুহলের বশে চপলার খোজ লইয়াছিলাম। আত্মহত্যা করিয়াছে, কেহ বলে সে পাগল হইয়া গিয়াছে । শ্ৰী ভোলানাথ মুখোপাধ্যায় মায়ের ছেলে که گی টাইগ্রীসের বুকে কালে জলের ক্ষীণ আৰ্ত্তনাদ—আকাশে কালে মেঘের মাতামাতি—পৃথিবীর বুকে ঝড় উঠিবে । চারিদিকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন প্রকাণ্ড ট্রেঞ্চ, বা পগার, তার পর র্কাটার বেড়া ; এর মধ্যে বাঙ্গালী সৈন্যদের শতাধিক শিবির, শিবিরের মধ্যে সহস্র তরুণ বাঙ্গালী নিদ্রিত । কোয়াটার-গার্ডের চারিদিকে ১০ জন সশস্ত্র শাস্ত্রী ঘুরিতেছে-গায়ে তাহীদের কালো রংএর লম্বা কোট, স্বন্ধে টোটাভরা রাইফল—যেন অন্ধকারের মূৰ্ত্তিমান বিদ্রোহী পুত্র । টিপ্‌ টিপ্‌ করিয়া বৃষ্টি নামিল—আকাশে মেঘ ডাকিল—কিন্তু সে গর্জন যেমনি গম্ভীর তেমনি নিস্তেজ, চুইদিকের বৃষ্টিভেজ। লাল আলো স্কুইট। মাতালের চোখের ঘোলাটে চাহনিতে সহস্র রাইফলের উপর পাণ্ডুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিল। অসীম ঘুরিতেছে—তাহার কত কথা মনে হইতেছিল । গ্রামের স্কুল হইতে পাস করিম সে কলিকাতায় আসে। কথা সে চিরকালই খুব কম কহিত –কিন্তু ভাবিতে পারিত সে খুব । বাঙ্গালী-জীবনের এই ক্রমবর্ধিষ্ণু আলস্য যুগযুগান্তরব্যাপী পাষাণতুল্য জড়তা,–এর বিরুদ্ধে তাহার মন বিদ্রোহী হইয়া উঠিত । এক মায়ের এক ছেলে সে—কিন্তু তাহার মারও যিনি ম৷ সেই ভারতমাতার আহবান তার কানে পৌছিয়াছিল— তাই একদিন কাহাকেও না জানাইয়া সে করাচির জাহাজে উঠিয়াছিল । আজ সে ভাবিতেছিল বাংলার ছায়া-স্বশীতল পাড়াগায়ের কথা। আজ এই অন্ধকারের মাঝখানে দাড়াইয়। অতীতের সহস্ৰ স্মৃতিতে সে জলিয়া পুড়িয়া মঞ্জিতেছিল। কি ভাবিয়া সে আসিয়াছিল—আর বাংলার তথাকথিত ভদ্র সমারের যে পরিচয় দিনে দিনে সে এইখানে পাইতেছিল তা বাস্তবিকই শোচনীয়। বৃষ্টি তেমনই অলস-মস্থরভাবে পড়িতে ছ—নজ তেমনি তন্দ্রাণুভাবে ডাকিতেছে—বাংলায় কিন্তু এমনটি হয় ন— বৃষ্টি পড়ে তো অনর্গলভাবে ধরার বুক ভাসাইয়া ঝর্ণ-নদী ছুটাইয় পড়ে—বজ্র ডাকে তো আকাশের বুক ভাঙিয়া চুরিয়া চৌচির করিয়া ডাকে। বোথায় বাংলা—কোথায় তুর্কীস্থানের এই বৃক্ষলতাহীন অন্ধকারময় শিবির-প্রাঙ্গণ ! হঠাৎ অসীম থমকিয় দাড়াইল । বহুদূরে ছায়ার মত তিন-চারিট মনুষ্যমূৰ্ত্তি দৃষ্টিগোচর হইল । মূহূৰ্ত্তমধ্যে সেফটি-কেস খুলিয়া জলদগম্ভীর স্বরে হাকিল—হ কামূস । দেয়ার - হল ! কিন্তু তার পরেই আর কিছু নাই— স্বন্ধের বন্দুক স্কন্ধে আসিল— অসীম ভাবিল চোখের ধাধা। আবার ভাবিল–গুলি না করা অন্যায় হইয়াছে— সৈনিকের কাজ কৰ্ত্তব্যপালন করা—সেই অশরীরী ছায়ামূৰ্ত্তি লক্ষ্য করিয়াই বন্দুক ছোড়া উচিত ছিল । বৃষ্টি একটু বেশী করিয়া নামিল-অসীম আরো বেশী সতর্ক হইল, কারণ তাহার ঘুম পাইতেছিল। চারিদিকে শত্রুর আডড, এমন রাত্রিটা বে তাহারা হেলায় নষ্ট করিবে এমন মনে হইল না । অন্ধকার যেন আর ও গাঢ় হইয়া সেই দিগন্তবিস্তৃত মাঠের কানায় কানায় চাপিয়া বসিল । হঠাৎ সেই নৈশ অন্ধকার মথিত করিয়া চারিবার রাইফলের শব্দ হইল—মুহূৰ্ত্তমধ্যে বিউগল বাজিয়া