পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>sや ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAMSAeAAA SAAAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAASAASAASAAMSAM ہتسبیحیرہ می_حصی_حم_x-محمخ* উঠিল—চারিদিকে হৈ চৈ পড়িল-বুট পটি পরার ধূম। শক্ৰ আসিয়াছে—সকলের প্রাণ একসঙ্গে মাচিয়া উঠিল— বুকের নীচে রক্ত যেন লাফাইয়া উঠিল। অসীম কিন্তু এক জায়গায় দাড়াইয়া রহিল—কি এক অনিশ্চিত আশঙ্কায় তাহার হৃদয় কঁাপিয়া উঠিল । রাত্রিশেষের সেই উচ্ছ জ্বল মাতাল বায়ু যেন তাহার কানে কানে বলিয়া গেল—এ যুদ্ধের আহবান নয়। দুই রাত্রি তখনও ভোর হয় নাই । বৃষ্টি তেমনই পড়িতেছে, অন্ধকার তেমনই মুখ বুজিয়া আছে, আর প্রকৃতির এই ভ্ৰকুটি-কুটিল চোখের নীচে দাড়াইয়া সহস্ৰ বাঙ্গালী যুবক । প্রত্যেকের হাতে রাইফল, কিন্তু কারে মুখে উৎসাহ নাই। নিহিত সুবাদারের মৃতদেহ আনীত হইল । যাহারা যুদ্ধস্থলে শত শত প্রাণ লইয়। ছিনিমিনি থেলিয়াছে তাহারাও আজ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড দর্শনে শিহরিয়া উঠিল । রক্তে সমস্ত দেহ একেবারে মাপ, বুকের পজির উড়িয়া গিয়াছে। ভয়ে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া সকলে দাড়াইয়া রঙ্গিল । একে একে প্রত্যেকের রাইফ ল পরীক্ষা আরম্ভ হইল । সকল অস্ত্রই একেবাবে ঝকঝকে, কোথাও একটু দাগ নাই—নলী সম্পূর্ণ পরিষ্কার । সকলের মনই একবার ভয়ে চমকিয়া উঠিল, হয়ত এখনই সদ্যনিহত স্থবাদারেব আততায়ী ধরা পড়িবে । কিন্তু সকলের বন্দুকই পরীক্ষা করা হইল । পূৰ্ব্বগগনে প্রভাতের অস্ফুট চাপ আলোক দেখ। দিল । সে প্রভাত যেমনই কুৎসিত তেমনই ভয়ঙ্কর। সমস্ত আকাশময় পুঞ্জীভূত কালো মেঘের ছড়াছড়ি— মাঝে মাঝে ঘোলাটে সাদা মেঘে সে কালীর উপর যেন চুন লেপিয়াছে। বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছে—চারিদিকে অসম্ভবরকমের বিকট স্তব্ধত। সুৰ্য্যের একটি রশ্মি ও সে মেঘজাল ভেদ করিয়া বাহির হয় নাই। মুহূৰ্ত্ত-মধ্যে যেন প্রকৃতির বীভৎস নিস্তব্ধতা সহস্র গর্জনে ভাঙিয়া চুরিয়া চতুর্দিকে টুকরা টুকরা হইয় পড়িবে। সহস্ৰ বাঙ্গালী যুবক সেদিন একস্থানে দাড়াইয়া সেই দুৰ্য্যোগময়ী মিশন যাপন করিল। প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e • [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড TarunnoBot (আলাপ) ১৩:০৭, ১২ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)-യ്ക്കേ~~് প্রভাতে সুবাদার-মেজর আসিলেন– সকলে অভ্যাসমত আজও সম্বত হইয়া দাড়াইল । তিনি অতিশয় গম্ভীরভাবে বলিলেন—কে এ-কাজ করিয়াছ রলো—সৈন্যবিভাগে এর চেয়ে গুরুতর অপরাধ আর নাই। শত্রুর গুপ্তচরের এ-কাজ নয়—এ-কাজ তোমাদের–বলো, কে, বা কাহারা সৈনিকের অমুপযুক্ত এ জঘন্য নীচ কার্য্যে সংশ্লিষ্ট ছিলে । - সকলে নিৰ্ব্বক্‌ - একটু শব্দ নাই—একটু চাঞ্চল্য নাই ! দেখিতে দেখিতে ক্যাপৃটেন আসিয়া উপস্থিত হইলেন । হুকুম হইল—যতক্ষণ না দোষী আত্মসমর্পণ করে ততক্ষণ সকলকে এইভাবে দাড়াইয়া থাকিতে হইবে—অনাহারে অনিদ্রায়— ঝড়ে জলে, নিশ্চলভাবে দাড়াইয়া থাকিতে হইবে । আর এক সপ্তাহমধ্যে অপরাধী বাহির না হইলে সমস্ত রেজিমেণ্ট দ্বীপান্তরে নির্বাসিত হইবে । সকলের হৃদয় চমকিয় উঠিল—শেষ আদেশ শুনিয়া । চোখে চোখে একবার আগুন খেলিল—বাংলার কথা মনে হইল—ম বাব ভাই বোনের কথা মনে হইল । সমস্ত দিন চলিয়া গেল । বিকালে আকাশে অস্তগামী সুয্যের একটু ক্ষীণ আভা দেখা দিল । সে আভা যেন মুমূধুর মুখের হাসির মত—পরক্ষণেই আবার গভীর আঁধারে বিলীন হইল । কিছুতেই কিছু হইল না—শত ভয় প্রদর্শন—শত অকুনয়—কিছুতেই দোষী বাহির হইল না । এডজুট্যান্ট ধিনি ছিলেন তাহার মাথায় এক নূতন বুদ্ধি আসিল—বাঙ্গালীর ধাত তিনি জানিতেন—বাঙ্গালীপ্রাণের কোমল অংশটুকু তিনি ভাল বুঝিতেন, তাই নিজে আসিয়া তিনি বক্তৃত আরম্ভ করিলেন—বাংল। মায়ের বীর পুত্ৰগণ ! তোমরা বাংলা দেশকে ভালবাস— ৪৯ নম্বর বাঙ্গালী পল্টনকে ভালবাস । বাংলার ছেলে তোমর—দুধের সঙ্গে তোমরা “জননী জন্মভূমিশচ স্বর্গাদপি গরীয়সী” বাণী কণ্ঠস্থ করিয়াছ—বাংলা মায়ের বহু বছরের গ্লানি তোমরা ঘুচাইতে এখানে আসিয়াছ। আমার কথা শোন—ভাব—কি কাজ করিতে তোমরা আজ বসিয়াচ । সাহেব বলিয়াচেন সমগ্ৰ পলটম