পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] নিৰ্বাসিত হইবে । সে কি ভীষণ জিনিষ তোমরা জানু না—তোমরা দেখ নাই। তোমাদের হাত হইতে ঐ রাইফল কাড়িয়া লওয়া হইবে-তোমাদের পাশে ঐ সঙ্গীন আর ঝুলিবে না-জগতের পৃষ্ঠ হইতে এক মুহূৰ্ত্তে—একটি আদেশে ৪৯ নম্বর বাঙ্গালী পলটনের নাম উঠিয়া যাইবে—লোক যুগযুগান্তর ধরিয়া বলিবে বাঙ্গালী সৈন্ত হইবার অনুপযোগী—ঐ এত খৃষ্টাব্দে তাহাকে সৈন্যদলে যোগদান করিতে দেওয়া হইয়াছিল আর সে তাহার প্রাপ্ত ক্ষমতার এরূপ ব্যবহার করিয়া.س-Hiةfg সমস্ত রাত্রির জাগরণ জনিত ক্লেশে প্রত্যেকের দেহ অবসন্ন হইয়। আসিয়াছিল—সমস্ত দিন কাহাবে মুখে এক ফোটা জল পড়ে নাই । কিন্তু এ বক্তৃতা যেন সকলেব প্রাণে অগ্নিমদিরা ঢালিল—উদ্‌গ্ৰীব হইয়া সকলে সেই বাণী শুনিতে লাগিল । সকলের চেয়ে একটি প্রণে বেশী আলোড়ন উপস্থিত হইল । তাইতে মায়ের ছেলে সে—মায়ের সম্মান রক্ষা করিতে একট। প্রাণ কি এতই মূল্যবান-- সমস্ত পলটনকে দুরপনেয় কলঙ্ক হইতে রক্ষা করিবার জন্য কি সে তাহার একবারের জীবন দিতে পাবে ন । সে কি আজ সেই আততায়ীদের সব কলঙ্ক ভার নিজের স্বন্ধে লইবে না ? এডজুট্যান্ট, বুঝিলেন ফল হইয়াছে—র্তাহার বক্তৃতাতে কাজ হইবে—বাঙ্গালী ভাবপ্রবণ জাতি—তাহাকে ভাবিতে দেওয়া হউক । কিয়ংকাল পরে আবার আরম্ভ করিলেন—আর একটা কথা তোমরা মনে রাখিও । যে কলঙ্কের মসীলেপ তোমরা আজ বাঙ্গালীর জাতীয় ইতিহাসের পৃষ্ঠায় করিয়৷ যাক্টতেছ তাহা তোমাদের বংশধরগণ শত চেষ্টাতেও ক্ষালন করিতে পরিবে না । সৈনিক তোমর!—বীর তোমরা—প্রাণ তো তোমাদের একটা খেলার জিনিষ । একটা গুলির আঘাত—একটা সঙ্গীনের খোচা এর মূল্য—এর জন্য এত। যে-বা যাহারা এ-কাজ করিয়াছে—হয়ত কোন মহান উদ্দেশ্বেই করিয়াছে—কিন্তু এই কাৰ্য্য গোপন করিবার অভিলাষে মায়ের ছেলে AMAMA MMAMAAA AAAA SAAAAASA SAASAAMMA AMA SAMSAMSAJMMeAAMMMAMMMAMAMA AMMMSAMMAS AMS SSAS SSAS SSAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSASJJS ১৯৭ তাহাদের সে মহত্ব ঢাকিয়া যাইবে—এ যেন মনে থাকে—একটা জীবন তো—দেশের জন্য তো তাহা উৎসর্গ করিয়া আসিয়াছ। আজ যদি আমার স্বীকারউক্তিতে সমস্ত পল্টন রক্ষা পাইত আমি হাসিমুখে তাহা করিতাম—এ মৃত্যু লোভনীয়, এ মৃত্যুর ইতিহাস বাংলার প্রাণে আগুনের অক্ষরে লেখা থাকিবে-স্বীকার কর কে এ-কাজ করিয়াছ ? না—আর থাকা অসম্ভব । প্রাণ দিতে সে অসিয়াছে, প্রাণ দিবার এমন সুযোগ আর কখনও হইবে না-মায়ের ছেলে সে-আঞ্জ সকলেব সম্মুপে সে আবীরোচিত হত্যার অপরাধ স্বীকার করিয়া জীবন দিবে—জগৎ দেখুক বাঙ্গালী ভীরু নহে—সে প্রাণ দিতে জানে—কারণ সে প্রাণের নেশায় ভবপূর । এক কোণ হইতে সে উন্থসম ছুটিয়া বাহির হইল— সকলে সবিস্মযে দেখিল সে আর কেহ নহে—অসীম । তিন - রাত্ৰি থাকিতেই সকলে বুট পটি পরিয়া প্রস্তুত হইল। আজ অসীমের শাস্তি হইবে—কি যে সে শাস্তি হইবে তােহ কেহ জানেন। আর জানে নাই বা কেন—এর একমাত্র শাস্তি মৃত্যু- নৃশংস হত্য । অন্ধকার থাকিতেই বিউগল বাজিল। সকলের বুক একসঙ্গে নাচিয়। উঠিল । দিনের পর দিন তাহার এই বিউগলের আহবানেই জাগিয়াছে—এই বিউগলের উন্মাদকারী আহবানবাণী তাহদের রক্তের সাথে মিশিয়া গিয়াছে। কিন্তু হঠাৎ তাহদের মনে হইল এ তো প্যারেডের আহবান নয় । সকলের মন একসঙ্গে দমি৷ গেল। নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও সকলে সারবন্দী হইয়া #ivièg go to “form fours, left turn, quick march" সহস্র বামপদ অগ্রসর হইল, সহস্র ডান হাত দুলিল, তালে তালে তাহারা অগ্রসর হইতে লাগিল, কি মনোহর সে দৃশ্ব ! বহুদিন তাহার রাইফল ছাড়া প্যারেড, করে নাই— বাম-হাত যেন আব নড়িতে চাহে নী—সমশ্রেণীতে তাহারা চলিল । চারিদিকে ধূ ধু মাঠ-বহুদূরে'অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে শ্রেণীবদ্ধ