পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ৷ تیمه جعبهه جمجمه حاجی صمیمیت বৈদিক যুগের শেষ দিকে দুর্গ নামে প্রচারিত ও পুজিত হয়। পূর্বে উল্লেখ করিয়াছি যে, বাজসনেয়ী-সংহিতায় অস্বিকা ক্লাভগিনী, তৈত্তিরীয়-আরণ্যকে ( ১•৷১৮ ) দুর্গা রুদ্রপত্নী। এই অরণ্যকে ( ১•১ ) আবার দুর্গাদেবীর আরাধন আছে। সেইখানে তিনি বৈরোচনী। বিরোচন স্বৰ্য্য বা অগ্নির নাম। অম্বাত্র ( ১•৷১৷৭ ) যেখানে অগ্নিকে সম্বোধন করা হইয়াছে, সেখানে দুর্গার ( দুগির) আরও দুইটি নাম আছে-একটি কাত্যায়নী, অপরটি কস্তকুমারী। কেনোপনিষদে (৩।২৫ ) পাওয়া যায়, ব্ৰহ্মজ্ঞা দেবী হিমবানের কস্ত। উমা । তৈত্তিরীয় আরণ্যকে ( ১ •।১৮ ) রুদ্রকে উমাপতি বলা হইয়াছে। এই অরণ্যকে ( ১•।২৬৩• ) সরস্বতীকে বরদা, মহাদেবী সন্ধ্যাবিদ্যা নামে অভিহিত করা হইয়াছে। পরে আবার এগুলিকে দুর্গাদেবীর গুণরূপে প্রযুক্ত হইতে দেখা যায়। বৈদিক যুগ হইতে পরযুগের সাহিত্য আলোচনা করিয়া জানিতে পার। যায় যে, বৈদিক যুগে দুর্গা-তত্ত্বের অlরস্ত হইযl রাশায়ণমহাভারত যুগে ইহ সম্পূর্ণ হয়। ( যমুনা, কাৰ্ত্তিক ) শ্ৰী অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ কৈফিয়ৎ কবি হেন বা কলাবিৎ হোন তার লোকের ফর্মস টেনে অনেন,—রজার ফরমাস, প্রভুর ফরমাস, বহুপ্রভুর সমাবেশক্সপী সাধারণের ফরমাস। ফর্মাসের আক্রমণ থেকে তাদের সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি নেই। তাঁর একটা কারণ, অম্বরে তার মানেন সরস্বতীকে, সদরে তাদের মেনে চলতে হয় লক্ষ্মীকে। সরস্বতী ডাক দেন অমৃতভাণ্ডারে, লক্ষ্মী ডাক দেন অল্লের ভাওtবে । শ্বেতপদ্মের অমরাবতী আর সোনার পদ্মের অলকাপুর ঠিক পাশাপাশি নেই। উভয়ত্রই যাদের ট্যাক্সে দিতে হয়—এক জায়গায় খুসি হয়ে, আরেক জায়গায় দায়ে পড়ে’—তাদের বড় মুঞ্চিল। জীবিক অর্জনের দিকে সময় দিলে ভিতর-মহলের কাজ চলে না। যেখানে ট্রামের লাইন বসাতে হবে সেখানে ফুলের বাগানের আশা করা মিথ্যে । এই কারণে ফুলবাগানের সঙ্গে আপিসের রাস্তার একটি আপোষ হয়েচে এই যে, মালি জোগাবে ফুল আর টাম-লাইনের মালেক জোগাবে অন্ন। দুর্ভাগ্যক্রমে যে মানুষ অন্ন জোগtয় মর্ত্যলোকে তার প্রতাপ বেশি । কারণ, ফুলের সথ, পেটের জ্বালার সঙ্গে জবরদস্তিতে সমকক্ষ নয় । শুধু কেবল অন্ন-বস্ত্র-অtশ্রয়ের সুযোগটাই বড় কথা নয় । ধনীদেব যে টাকা, তার জন্য তাদের নিজের ঘরেই লোহার সিন্মুক আছে, কিন্তু গুণীদের যে কীৰ্ত্তি, তার খনি যেখানেই থাক তার অধীর ত তাদেব নিজের মনের মধ্যেই নয়। সে কীৰ্ত্তি সকল কালের, সকল মানুষের । এইজন্তু তার এমন একটি জায়গা পাওয়া চাই যেখান থেকে সকল দেশকলেব সে গোচর হতে পারে। বিক্রমাদিত্যের রাজসভার মঞ্চের উপর যে কবি ছিলেন, সেদিনকার ভারতবর্ষে তিনি সকল রসিকমণ্ডলীর সম্নে দাড়াতে পেরেছিলেন—গোড়াতেই তার প্রকাশ আচ্ছন্ন হয়নি। প্রাচীন কালে অনেক ভাল কবির ভাল কাব্যও দৈবক্রমে এইরকম উচু ডাঙাতে আশ্রয় পায় নি বলে কালের বস্তাস্রোতে ভেসে গেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ-কথা মনে রাখতে হবে, যার যথার্থ গুণী তারা একটি সহজ কবচ নিয়ে পৃথিবীতে আসেন। ফরমাস তাদের গায়ে এসে পড়ে, কিন্তু মর্শে এসে বিদ্ধ হয় না। এইজন্তেই ॐाब, भीब पान न, ভাৰীকালের জন্তে টিকে থাকেন। লোভে পড়ে ফরমাস যারা সম্পূর্ণ কষ্টিপাথর—কৈফিয়ৎ Reసి স্বীকার করে” নেয়, তার তখনই বঁাচে, পরে মরে । আজ বিক্রমাদিত্যের নবরত্বের অনেকগুলিকেই কালের ভাঙাকুলেী থেকে ধুটে বের করবার জো নেই। তার রাজার ফরমাস পুরোপুরী খেটেছিলেন, এইজন্যে তখন হাতে-হাতে তাদের নগদ-পাওনা নিশ্চয়ই আর-সকলের চেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু কালিদাস ফরমাস খাটতে অপটু ছিলেন বলে দিওনাগের স্থল হন্তের মার ঠাকে বিস্তর খেতে হয়েছিল। তাকেও দায়ে পড়ে' মাঝে মাঝে ফরমাস খাটতে হয়েছে তার প্রমাণ পাই মালবিকাগ্নিমিত্রে। যে দুই তিনটি কাব্যে কালিদাস রাজাকে মুখে বলেছিলেন “যে আদেশ, মহারাজ ; যা বলচেন তাই করব” অথচ সম্পূর্ণ আরেকটা কিছু করেচেন, সেইগুলির জোরেই সেদিনকাব রাজসম্ভাব অবসানে তীব কীৰ্ত্তিকলাপের অস্ত্যেষ্টিসৎকার হয়ে যায়নি—চিরদিনের রসিক-সভায় তার প্রবেশ অবারিত হয়েছে । মানুষের কাজের দুটো ক্ষেত্র আছে,—একটা প্রয়োজনের, আর একটা লীলার। প্রয়োজনেল তাগিদ সমস্তই বাইরেব থেকে, অভাবের থেকে : লীলার তাগিদ ভিতর থেকে, ভাবের থেকে। বাইরের ফরমাসে এই প্রয়োজনের আসর সরগরম হয়ে ওঠে, ভিতরের ফর্মাসে লীলার আসর জমে। আজকের দিনে জনসাধারণ জেগে উঠেচে । তার ক্ষুধা বিরাট, তার দাবী বিস্তর। সেই বহুবসনধাবী জীব তার বহুতর ফরমাসে মানবসংসারকে রাত্রিদিন উদ্যত করে বেথেচে —কত তার আসবাব আয়োজন, পাইক বরকন্দাজ, কাড়ানাকীড়া-ঢাকঢোলের কলরব—তাঁর “চাই চাই" শব্দেব গৰ্জ্জনে স্বৰ্গমৰ্ত্তা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। এই গঞ্জনটা লীলার আসরেও প্রবেশ করে দাবী প্রচার করতে থাকে যে, তোমাদের বীণ, তোমাদেব মৃদঙ্গও আমাদের জয়যাত্রার ব্যাণ্ডের সঙ্গে মিলে আমাদেব কল্লোলকে ঘনীভূত কবে তুলুক। সেজন্যে সে খুব বড় মজুৰী আৰ জ'কালে শিরোপ দিতেও রাজী আছে। আগেকার রাজসভার চেয়ে সে হঁকিও দেয় বেশি, দামও দেয় বেশি। সেইজন্তে ঢাকীর পক্ষে এ সময়ট স্বসময়, কিন্তু বীণকারের পক্ষে নয়। ওস্তাদ হাত জোড় করে’ বলে, “তোমাদের হট্টগোলের কাজে আমার স্থান নেই ; অতএব বরঞ্চ আমি চুপ কবে থাকৃতে রাজি আছি, বীণাটা গলায় বেঁধে জলে ঝাপ দিয়ে পড়ে মরতেও রাজি আছি, কিন্তু আমাকে তোমদেব সদর-রাস্তায় গড়েব বীদ্যের দলে ডেকে না । কেন না, আমার উপরওয়ালার কাছ থেকে তার গানেব আসরের জন্তে পূৰ্ব্ব হতেই বায়ন পেয়ে বসে আছি।” এতে জনসাধারণ নানাপ্রকার কটু সম্ভাষণ করে, সে বলে, “তুমি লোকহিত মান না, দেশহিত মান না, কেবল আপন খেয়ালকেই মান।” বীণকার বলতে চেষ্টা করে, “আমি আমার খেয়ালকেও মানি নে, তোমার গরজকেও মানি নে, আমার উপরওয়ালাকে মানি।” সহস্ররসনধারী গর্জন করে বলে’ ૭t8–“ડ્રન জনসাধাবণ বলতে যে প্রকাও জীবকে বোঝায়, স্বভাবতই তার প্রয়োজন প্রবল এবং প্রভৃত। এইজন্তে স্বভাবতই প্রয়োজন সাধনেৰ দাম তার কাছে অনেক বেশি, লীলাকে সে অবজ্ঞা কবে। ক্ষুধার সময়ে বকুলের চেয়ে বাৰ্ত্তাকুব দাম বেশি হয়। সেজন্তে ক্ষুধাতুরকে দোষ দিইনে ; কিন্তু বকুলকে যখন বাৰ্ত্তাকুর পদ গ্রহণ কববার জন্যে ফরমাল আসে, তখন সেই ফরমাসকেই দোষ দিই। বিধাত ক্ষুধাতুরের দেশেও বকুল ফুটিয়েচেন, এতে বকুলের কোনও হাত নেই। তবে একটিমাত্র দায়িত্ব আছে এই যে, যেখানে যাই ঘটুক, তাকে করে দরকার থাক্ বা না থাক, তাকে বকুল হয়ে উঠতেই হবে,—ঝবে পড়ে ত পড়বে, মালায় গাথা হয় ত তাই সই। এই কথাটাকেই গীতা বলেচেন, “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পত্নধৰ্ম্মে ভয়াবহ:" । দেখা গেছে স্বধৰ্ম্মে জগতে খুব মহৎ লোকেরও নিধন হয়েচে, কিন্তু সে নিধন বাইরের, স্বধৰ্ম্ম