পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] * কবি এরী বাখন মানতে চায়নি, শুধু চলাকেই মেনেছিল । তাই স্বাগী বঁrধনটা উন্মত্ত হয়ে ওদের উপর ল্যাজ लांङ्कांदब्रह, सक्लिटब्र बारब ।। 姆 পুরোহিত আর তোমার শূদ্রগুলোই কি এত বৃদ্ধিমান যে দড়ির নিয়ম সামলে চলতে পারবে ? : ● কবি হয়ত পারবে না। একদিন ভাব বে ওরাই রথের কৰ্ত্ত, তখনি মরবার সময় আসবে। দেখোনা, কালই বলতে হরু করবে, আমাদেরি হাল লাঙল চরকা তাতের জয়। "cπ বিধাতা মামুষের বুদ্ধিবিদ্যা নিজের হাতে গড়েচেন, অস্তরে বাহিরে অমৃতরস ঢেলে দিয়েচেন, তাকে গাল পাড়তে বস্বে। তখন এরাই হয়ে উঠবেন বল-রামের চেলা, হলধরের মাংসামিতে জগৎটা লগুভণ্ড হয়ে যাবে। পুরোহিত তখন আবীর রথ অচল হলে বোধ করি কবিদের ডাক পড়ৰে । কবি ঠাট্ট নয় পুরুত ঠাকুর । রথযাজাস্থ কবিদের ডেকেচেন । ভিড় ঠেলে পৌছতে পারেনি। পুরোহিত তার চালাবে কিসের জোরে ? কবি গায়ের জোরে নয়ই। আমরা মানি ছন্দ, আমরা জামি এক-বেfাকা হলেই তাল কাটে । আমরা জানি মহাকাল বারেবারেই তার কাজের লোকের রথযাত্রা ২২৫ সুন্দরকে কর্ণধার করলেই শক্তির তরী সত্যি বশ মানে। তোমরা বিশ্বাস কর কঠোরকে, শাস্ত্রের কঠোর, বা অস্ত্রের কঠোর,--সেট হল ভীরুর বিশ্বাস, দুৰ্ব্বলের বিশ্বাস, অসাড়ের বিশ্বাস । সৈনিক ওহে কবি, তুমি ত উপদেশ দিতে বসলে, ওদিকে যে আগুন লাগল। কবি যুগে যুগে কতবার কত আগুন লেগেচে। যা থাকৃবার ত থাকৃবেই । সৈনিক তুমি কি করবে ? কবি আমি গান গাব, “ভয় নেই।” সৈনিক তাতে হ’বে কি ? কবি যার রথ টানচে তারা চলবার তাল পাবে। বেতালা টানটাই ভয়ঙ্কর । সৈনিক আমরা কি করব ? পুরোহিত আমি কি করব ? কবি তাড়াতাড়ি কিছু করতেই হবে এমন কথা নেই। দেখ, ভাব । ভিতরে ভিতরে নতুন হয়ে ওঠ । তার পরে ডাক পড়বার জন্যে তৈরী হয়ে থাক । শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর