পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ SAASAASAASAASAAMSAAAAAA AAAA AAAA SAAAAA S AAA S M ব্ৰাহ্মণের আগমন ঘটিয়াছিল, তাহার অনুসন্ধান কতব্য । বাকুড়ার পূর্বাংশ, বঙ্গের উর্বরা সমস্থলীর সদৃশ বটে ; কিন্তু, সেখানে লক্ষ ব্রাহ্মণের ভরণপোষণের ধোগ্য ভূমি দেখিতে পাই না । বাঁকুড়া নদীমাতৃকা ভূমি নয় । মনে রাখিতে হইবে সমস্ত বঙ্গে ব্রাহ্মণ, মাত্র সাড়ে বার লক্ষ । বাঁকুড়ায় এক নূতন জাতি দেখিতেছি । ইহারা সামন্ত ও রায় নামে খ্যাত। সামন্তে ক্ষুদ্রভূপাল । ক্ষুদ্র রাজার নাম সামন্ত । বড় রাজাব অধীনে, সে রাজার রাজ্যের প্রাস্তে সামস্ত রাজ্য। ‘রায়’ উপাধিতেও রাজত্ব প্রকাশিত আছে। কারণ, স' রাজন শব্দের বিকারে রা-য় । ওড়িষ্যার সামন্ত-রায়, ংক্ষেপে সামন্তরা, এবং মধ্যরাঢ়ের সাতরা, এককালে রাজবংশীয় ছিল । বাঁকুড়া জেলার সামন্তরাজ্য ছাতনায় স্থাপিত ছিল। বাকুড়া শহর সামন্তভূমিতে অবস্থিত। সামস্তুদিগের মুখমণ্ডল, বিশেষতঃ চক্ষু দেখিলে বুঝি, ইহারা আদিতে বাঙ্গালী ছিল না। কেহ কহ বলেন, সামন্তরা ছত্রী । ইহা অসম্ভব নহে। হয়ত আদি সামন্ত সাহস-ব্যবসায়ী হইয়া ছাতনায় রাজা হইয়াছিলেন। শুনি, বিষ্ণুপুরের মল্লবংশও বঙ্গের বাহির হইতে আসিয়াছে। এইরূপ, প্রাচীন রাজাদিগের সকলেই নাকি বিদেশাগত, একজনও বাঙ্গালী ছিলেন না। শ শ নিয়া পাহাড়ে যে চন্দ্রবমর্ণর নাম ক্ষোদিত আছে, তিনি নব্যমতে বঙ্গের নিকটে আসিয়াছেন সত্য, কিন্তু, বঙ্গের ভিতরে পড়েন নাই । বঙ্গ ও উৎকল ও ছোটনাগপুরের প্রাস্তস্থিত এই বনাকীর্ণ ভূখণ্ড সাহসিকের বিক্রমপ্রকাশের লীলাভূমি হইয়াছিল। কত রাজার উখান ও পতন ঘটিয়াছে, কে জানে। যেসকল গ্রামের নামে গ-ডু শব্দ যুক্ত আছে, সে সে গ্রামে এক এক রাজার আবাস ছিল। বলা-গড়, পানা-গড়, শক্তি-গড়, অস্থর-গড়, বেত্র-গড়, মন্দারণ-গড়, নারায়ণগড় নামের ইতিহাস কে শোনাইবে ? সমস্থলীতে প্রাকার ও পরিখা নিমাণ করিয়া দুর্গ রচিত হইত, অরণ্য-বেষ্টিত হইলে গড় আরও দুর্গম হইত। স্বাভাবিক অরণ্য না থাকিলে বেউড়-বশের কৃত্রিম বন দ্বারা দুর্গ রক্ষিত হইত। স্বাকুড়া জেলায় বহু গ্রামের নামে গড় নাম যুক্ত আছে। প্রবাসী--অগ্রহায়ণ, ১৩৩e. AAAA SASS SSSSSS MeSMAAAA SAS A SAS SSAS MJJAMSAAAAAAS AAASASASS ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড কিন্তু, মল্লভূমি সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল কি ? মল্লরাজত্বকালে অনেক দেবমন্দির ও বাধ নির্মিত হইয়াছিল, রাজধানী বিষ্ণুপুরের প্রসিদ্ধি ঘটিয়াছিল। কিন্তু ইহা হইতে দেশের সমৃদ্ধি বুঝিতে পারা যায় না। কারণ পেটে ও পিঠে মারিয়া প্রাসাদ নিমর্পণ ও তড়াগ খনন অদ্যাপি ঘটিতেছে, ইংরেজ রাজ্যে না হউক বেশী রাজ্যে বেঠি ( বেগার) ধরা প্রচলিত আছে। যে দেশে প্রজার কীর্তি দেখিতে পাই না, সে দেশে লক্ষ্মীর কৃপা কই ? তন্তু বায় বঙ্গের কোন গ্রামে না ছিল ? কাংস্তকার কোন গঞ্জে নাই ? অবশ্ব সে কালে প্রজা এত ছিল না, তেমনই কৃষিযোগ্য ভূমিও অধিক ছিল না। কিন্তু, কেবল কৃষিকম দ্বারা, বণিক-সহায় ব্যতীত কৃষিজাত দ্বারা কোনও দেশ ধনশালী হইতে পারে না। পথ দুর্গম, বনবেষ্টিত ; ঘাট দম্যর -উপত্ৰত ; সার্থবাহ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করিতে পারিত না। তাছাড়া মল্লভূমি ধনশালী হইলে মুঘল বাদশাহের লোলুপ দৃষ্টি এড়াইতে পারিত কি ? বৰ্গীর লুণ্ঠনপ্রবৃত্তি পুনঃপুনঃ চরিতার্থ হইয়াছিল বটে ; বোধ হয় পূর্বভাগে ও দক্ষিণে তাহাদের দুনিবার অত্যাচার পর্যবসিত হইত। ধনশালী না হইলেও মল্লভূমি দরিদ্র ছিল না। কারণ দরিদ্র দেশের খ্যাতি প্রতিপত্তি কিছুই থাকে না । রাজামুগ্রহে সঙ্গীত কলা সমাদৃত হইয়াছিল, কিন্তু প্রজাও সে রস হইতে বঞ্চিত ছিল না । একালের মতন অল্পকষ্ট থাকিলে সে কলা এত কাল তিষ্ঠিতে পারিত না । এখন বাকুড়ায় দুর্ভিক্ষ প্রায় লাগিয়া আছে, পাচ ছয় বংসর পরে পরে মুভিক্ষে যায় না। লোৰে বলে, স্ববৃষ্টির অভাবে দুর্ভিক্ষ হয়। এটা কিন্তু, স্কুল কথা। এই যে উত্তরবঙ্গের জেলাকে জেলা জলে ডুবিয়া গেল, অতিবৃষ্টি এক কারণ নহে। দেশের নদী, বৃহৎ পয়ঃপ্রণালী। যদি সে প্রণালী বুদ্ধ না হয়, অতিবৃষ্টি হইলেও গ্রামকে গ্রাম পক্ষকাল ডুবিয়া থাকিতে পারে না। বাঁকুড়ায় অনাবৃষ্টি নূতন স্বষ্টি কি ? যদি নূতন না হয়, তাহা হইলে সে কালেও দুর্ভিক্ষ হইত না কি ? ছিয়াত্তর সালের মন্বস্তর যেমন ভীষণ হইয়াছিল, বোধ হয় তেমন ভীষণ হইবার সম্ভাবনা অধিক ছিল । কারণ আজন্ম হইলে অন্ত স্থানের ধান-আনাইমা প্রজারক্ষার সুগম পথ ছিল না।