২৩৮ দুই বিঘাও ধরি, তাহা হইলে স্বজন্মার বছরেও দেহের পরিশ্রমের বিনিময়ে সম্বৎসরের মাত্র গ্রাসের যোগাড় হইত, অন্ত ব্যয়ের নিমিত্ত এক পয়সাও থাকিত না। বস্তুতঃ সকলের জমি নাই ; যাহাদের নাই, তাহাদের পক্ষে স্ববৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি প্রায় সমান। অন্ত কম পায় না ৰলিয়া তাহারা কষ্ট পায় । সেকালেও এই অবস্থা ছিল, স্ববৃষ্টি কুবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি ছিল । পুষ্করিণী ও বাধে জল থাকিত, আর থাকিত যেখানকার ধান সেখানে, অধিক দূরে যাইত না । ইহাদের ফলে মাত্র এক বৎসরের অনাবৃষ্টি হেতু দুর্ভিক্ষ হইত না। অনাবৃষ্টি বহুবর্ষব্যাপী হইলে রক্ষার উপায় থাকিত না। কিন্তু, একই অঞ্চলে এরপ ঘটনা কদাচিৎ वर्गं । তখন সকলের জমি ছিল না। কিন্তু, ভরণ-পোষণের বহুবিধ উপায় ছিল । জীবিকার প্রাচীন উপায়ুগলি একে একে সরিয়া যাওয়াতে আমাদের দৈন্যদশা ঘটিয়াছে। বাকুড়ায় এক বন হইতে কতলোকের খাদ্য সংগৃহীত হইত । অসভ্যদিগের পক্ষে বন এত মূল্যবান যে আমরা সহজে বিশ্বাস করিতে পারি না। চাষবাস নাই, স্বচ্ছন্দে পুত্রকলত্র লইয়া দিন কাটাইতেছে । যাহাদের অল্পস্বল্প চাষ আছে, তাহারা ধনবান। এক মহআ গাছ কত লোকের খাদ্য নির্বাহ করে। বিশ পচিশ বৎসর পূর্বে ধাকুড়ায় নাকি মউলের মরাই বাধা হইত, এখন মউল দুষ্প্রাপ্য হইয়াছে । মৃগয়া ছিল, তাহার স্মৃতিবশে এখনও বর্ষে বর্ষে, যদিও এক দিন, স্বাগদীর দল মৃগয়ায় বহির্গত হয়। কিছুদিন পূবেও গ্রামে গ্রামে যে বিল-ভোজন, বন-ভোজন ছিল, তাহা মৃগয়ার প্রাচীন স্থতি । বাউরী বাগদী সাওতালের কষ্টের জীবন ছিল বটে, কিন্তু, সে কষ্ট তাহারা অনুভব করিতে পারিত না। কত লোক সৈনিক পদাতিক ও অন্ত রাজভৃত্য হইত । কত ব্যবসায় ছিল, কত কলাছিল। খয়রা জাতি জানে না, তাহাদের পূর্বপুৰুষ । কত কমকার যুদ্ধের অস্ত্র-শস্ত্র নিমাণ করিত। খদির নির্ধাস করিত ; লোহার জানে.না এক কালে তাঙ্গরা লৌহকার ছিল ; আকর হইতে লৌহ নিষ্কাশন করিত। ' প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e. SAMMAMMA AAAASAAAAS AAASASAAAAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAA SA SSASAS SMM AAAA AAAA SAAAAA AAAAMA AMS MAAA AAAA AAAMeM S SMS MMM SeeS S S SM AAAA AAAA SAAAAA AAAA AMM MA AMM AAAA AAAA AAAA AAAAee AeM S { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড • M MM MM MAAM AA AMA MAeAAA AAAASAAAAMAAeSAAAAAAASAAAA বাকুড়ায় গোপাল জাতিও অল্প নাই । এক কালে এই জাতি হইতে বীরের উদয় হইয়াছিল । সে কালে গো ও মহিষ পালন কষ্টকর ছিল না, বনগ্রাস্ত-ভূমি চারণ হইয়াছিল । এই জাতির দেহ এখনও বলিষ্ঠ ও মাংসল । এ দেহ আর থাকিবে না, দেশের গোধন শূন্য হইয়াছে। তৈলি জাতিও অল্প নাই । ইহাদের কত লোকে শকট-চালক ছিল, কে সংখ্যা করিবে ? রেলপথে যাতায়াত করিতে আরাম বটে, কিন্তু, পেটে শ খাইয়া আরাম ভোগ করিতেছি। এইরপ, সেসব তাতী কই, কৰ্ম্মকার কই ? তাহদের অন্ন । চিরকালের তরে মারা গিয়াছে। অথচ ভাবি, আমাদের দারিদ্র্যের হেতু কি । - সে কাল আর নাই, কিন্তু, আমরা কালাস্তর লক্ষ্য করিতে পারি নাই। এখন যদি বা লক্ষ্য হইতেছে, তাহাতে হতাশ হইয়া পড়িতেছি । কালবিলম্বে ঘুম ভাঙ্গিলে অবসাদ আসে । চোখের সাম্নে চিলে ছে৷ মারিয়া আমিষ লইয়া ছুটিয়াছে, আমরা দেখিতে পাইতেছি না, চোখ কচলাইতেছি। বাঁকুড়াই ধরুন। এই শহরে অধৰ্শতাব্দী পূর্বে যে ক্ষুদ্র বাজার নির্মিত হইয়াছিল, তাহ বাড়াইবার প্রয়োজন হয় নাই ; পচিশ বৎসর পূবে ডাকঘরে পাচজন কেরানী নিযুক্ত ছিল, এখনও পাচজনেই কার্য নিবর্ণহ হইতেছে । কাল দ্রুতবেগে পরিবতিত হইতেছে, দশ পাঁচ বৎসর বিশ্রামের অবকাশ দিতেছে না। কামী ও কামিনী কয়লার খাদে ও চা-বাগানে চলিয়া যাইতেছে । নামাল দেশে শত শত গিয়া দুই দশ টাক আনিতেছে । বাকুড়া ও মেদিনীপুরের পাচক ও ভৃত্য ও দাসী বঙ্গবিখ্যাত হইয়াছে। চোখে না দেখিলে দেশের এই দারিদ্র্য বিশ্বাস হইত না। মুখ দেখিয়া কে ব্রাহ্মণ কে শুদ্র, কে ভদ্র কে নহে, তাহ বুঝিতে পারা যায় না। বাঙ্গালীর দেই শীর্ণ ও দুর্বল । দক্ষিণ রাঢ় মেলেরিয়ায় জর্জর ; কিন্তু, বাঁকুড়ায় যেখানে মেলেরিয়া নাই বা অল্প, সেখানেও এইরূপ শীর্ণ ও দুবল দেহ যত দেখিতেছি এত যেন কোথাও দেখি নাই। যখন শ নিলাম বাজারে পাটশাগ ওজনে বিক্রি
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।