পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ 8० হৃদগত হইবে বলিয়া বঁকুড়া শহর হইতে একটা দৃষ্টান্ত দিই । ঘনবসতি পল্লীর মধ্যে তড়াগ-নিমণি, অশিক্ষিত বাউরী ও বাগদী করে নাই। পূর্বকালের নয়, নূতন নির্মিত। যাহার করাইয়াছেন, তাহারা প্রাচীন নহেন, নব্য সভ্য শিক্ষিত। এমন তড়াগ যাহাকে জলপূর্ণ করিবার অভিপ্রায়ে শহরের এক নরক-কুণ্ডের ন্যকারজনক মল-নালীর সহিত যুক্ত করা হইয়াছে ! এমন স্থানে তড়াগ যেখানে বর্ষাকালে পাড়ার মলমূত্র ধৌত হইয়া তড়াগের জল বুদ্ধি করে । সেখানে তড়াগ নয়, ‘তড়ার’ ( তটের ) প্রয়োজন ছিল । সেখানে আরাম নির্মিত হইলে পল্লীর শোভা ও স্বাস্থ্য রক্ষিত হইত। যেখানে কদাচারের বাহুল্য, বীভৎস সংক্রামক রোগের প্রাবল্য, সেখানে জীবনপ জলের নিমিত্ত পুষ্করিণী নহে, কুপ প্রশস্ত, নলকুপ (tube well ) নিরাপদ। সরকার হইতে স্বাস্থ্যতত্ত্ব প্রচারক নিযুক্ত হইয়াছেন । যে দেশের শহরেই, বুদ্ধিমান জ্ঞানবান অগ্রগামী ভদ্রলোকের বাস নগরেই, এই শোচনীয় কাণ্ড স্বচ্ছন্দে সংঘটিত হইয়াছে, সে দেশের গ্রামে তাইণর স্বাস্থ্যতত্ত্ব গুহাতে নিহিত হইবে । জল যে নারায়ণ, তিনি সৰ্বকাল্পী কমর্চারী বলিয়া এ মন্ত্র উচ্চারণ করিতে পারিবেন না, কারণ মন্ত্রটি হিন্দু পুরাণের । তিনি ব্যাধিজনক, অণুজীবের বিভীষিকা দেখাইতে পারেন, কিন্তু তাহ বস্ত্রপটেই চিত্রিত থাকিবে, হৃদয়পট স্পর্শ করিবে না । - এখন আর-এক দিক দেখি । প্রথমে বাগ দেবীকে , স্মরণ করি । বাঙ্গালা ভাষা মধুর, এত মধুর যে শুধু ভারতবাসীর নয়, পশ্চিমদেশীর কানেও মধুর বোধ হয় । কিন্তু বাকুড়ার ভাষা এরূপ নহে। যোজনাস্তে ভাখা, সত্য বটে। কিন্তু বাঁকুড়ার ভাখা শুতিকটু ও রক্ষ । ইহার কারণ পূর্বে উদ্দেশ করিয়াছি। স্বভাব ও শিক্ষা অনুযায়ী মামুষের ভাষা হইয় থাকে, স্বভাবে দেশের গুণ পুর্ণপ্রভাব বিস্তার করে । অধীর হইলে শিষ্ট ও শাস্তেরও ভাষা পরষ হইয় পড়ে। বাকুড়ার ভাখা, অধৈর্যের পরিচায়ক, প্রতিপদের দ্বিতীয় অক্ষরে বলন্যাস করিয়া ব্যক্ত হয়। . এই কারণে রক্ষ শোনায় । --- - - - - - م ہ--عمیر ہ سی. ہا۔ ام- r -sم প্রবাসী- অগ্রহায়ণ, YOS)o AAAAAA AAAASAAAAS AMS AeS g S AeSA AAAAAS AAASASAAAAAS AAAS S ASAAAAAS AAAA S AAAAS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AM AMAAA AAAA AAAA AAAASAAAMMSAAAA বাঙ্গালা ভাষায় বলন্তাস প্রায় নাই, প্রথম স্বর দীর্ঘ ; বাঁকুড়ায় দ্বিতীয়স্বর দীর্ঘ ও উদাত্ত। একবার এক । ভদ্রলোক আমার এক কথার উত্তরে, “আছে-এ’ বলিয়া ছিলেন। তাহার উদাত্ত স্বরে আমি আশ্চর্ষ হইয়ছিলাম। পরে, বুঝিয়াছি, বাকুড়ার ভাখাই এই, ভদ্রলোকটি শিক্ষিত হইলেও দেশভাখা ভুলিতে পারেন নাই ফলে যে শব্দে একটি অক্ষর আছে, সে শব্দ উচ্চারণ করিতে বাকুড়াবাসীকে বেগ পাইতে হয় । স" ব-দ্ধ বা বাধ, বাকুড়ায় বঁ- - -দ হইয়া পূর্ববঙ্গের বা- - -ত ( ভাত ), এবং কাটোয়ার প|- - -র ( পাড় ) স্মরণ করাইয় দেয় । গত দেড়শত দুইশত বৎসরের মধ্যে বাঙ্গাল ভাষায় গর, পরিবতন হইয়াছে। পূর্বের “বুড় খুড়া এখন "বুড়ে খুড়ো’, ‘চিড়া পিঠা এখন ‘চিড়ে“পিঠে”, “রান্ধ্যা বাড়া এখন রেধ্যে বেড়ো’ হইয়াছে। পূর্বের আইছি', ‘খায়া’, ‘পাল্য, ‘আস্ত’ আর নাই ; ‘এসেছি', 'খেয়ে', ‘পেলে’, ‘এস’ হইয়ু গিয়াছে। লিখিত ভাষায় এই હફ র,প প্রবেশ করিতেছে। কারণ দীর্ঘ-আকার, হ্রস্ব ওকার ও একারে পরিণত হইয়া ভাষার মাধুর্য্য বৃদ্ধি করিয়াছে। বাঁকুড় বঙ্গের প্রান্তে বলিয়া ভাষা-সংস্কারের সুযোগ পায়ু नाशे । - কিন্তু, এই কারণেই বাঁকুড়ার শব্দ "শাদিকের নিকট বহু মূল্য। দক্ষিণ রাঢ়ের ভাখ, বাঙ্গালা ভাষা নামে খ্যাত। বাকুড়া সে ভাখার পূর্বরুপ রক্ষা করিয়া আসিতেছে। বহু পুরাতন শব্দ যাহা অল্পদর্শীর দৃষ্টিতে লুপ্ত বোধ হইয়াছে, বাঁকুড়া সেসব জলজীয়ন্ত। বহু কাল পূর্বে বাঙ্গালা ও ওড়িয়া ভাষা, এক ভাষার দুই ভাখা ছিল, বাঁকুড়া সেই প্রাচীন সম্বন্ধ রক্ষা করিয়া আসিতেছে। প্রাচীন রপ দ্বারা শস্বের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় স্বৰ্গম হয়। বাঙ্গালা খুঁটা' শব্দের মূলনির্ণয়ে মাথা ঘুরিয়া গিয়াছিল। এখানে যেমন শুনিলাম খুনি অমনই বুঝিলাম স ‘কুট নয়, কুণিকা নয় স স্থণা হইতে খুটা’, ‘টি’। বা ও হি'গোড় কত প্রচলিতৃ শব্দ। এখানে ভোড়', আসামে ভেরি’, এবং বা ‘ঘোড় তোলা (স্বত), সেই এক সঃ ‘গোহির হইতে আসিয়াছে। ঢাকায় কলা-গাছের