পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪৬ میبایی - . ۳۰ مارس ۹- مرسي۹جمعیحیه جمعی r۳۹مرہw۔ ی۰ আমি আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি শঙ্কা করিতেছি। কিন্তু, আশা করি, সারস্বত সমাজের , কমক্ষেত্র কত বিস্তীর্ণ, তাহার ক্ষীণ আভাস দিতে পারিয়াছি। অবশ্ব এমন ভাবিবেন না-যে এই সমাজ একদা বা অচিরে সমুদয় কম করিবার যোগ্য হইবেন । কত কি করিবার আছে, দেখিবার আছে, ভাবিবার আছে, তাহারই গোট কয়েক উল্লেখ করিলাম। অধিকারভেদে কমের ভেদ অবত্য হইবে। বৈজ্ঞানিক দার্শনিক হইতে পারেন না। . যাহার যে কমে রতি, তিনি সে কম করিবেন। কাজেই সমাজ বা সমিতির প্রয়োজন । যে যে কমের আভাস দিলাম, তাহা সারস্বত সমাজ করুন কিংবা অন্ত নামে কেহ করুন করিতেই হইবে, কায়েন মনসা বাচা করিতেই হইবে, আজি করন আর কালি করন । শুধু বাঁকুড়ায় নয়, বঙ্গের, ভারতের, নগরে নগরে এক এক দল স্বধী প্রবাসী —অগ্রহায়ণ, లిర్చి সবাই ঐতিহাসিক - [ २७* ७ां★, २झ १७ SASAMAAA AAAA AAAASAAAAMAeeMAeS চাই। তাহারা লোকমত চালনা করিতে থাকিবেন । মাসিকপত্র বা দৈনিকপত্র কয়জন পড়েন, কয়জনই বা তাহা হইতে প্রেরণা পাইয়া কমে উদ্‌যুক্ত হইতে পারেন ? - অতএব এই সমাজের সহিত “বাঁকুড়া সম্মিলনী” কিংবা “কৃষি ও হিতকরী সমিতির”সীমা-বিবাদ থাকিতে পারে না। যদি এই দুই সমিতি একাএক কিংবা উভয়ে দেশে আত্মজ্ঞান, কালজ্ঞান ও দেশজ্ঞান প্রচার করিতে স্বীকৃত হন, সারস্বতসমাজের আবশ্যকতা থাকিবে না। সারস্বত সমাজের বয়স এখনও একবৎসর হয় নাই ; উঠিয়া গেলে কাহারও মনঃকষ্ট হইবে না। কিন্তু মনে রাখিবেন, মানবসমাজের অন্যান্য অঙ্গ ত্যাগ করিয়া এক অঙ্গ পুষ্টির প্রয়াসী হইলে একাঙ্গী বাত সঞ্চারের আশঙ্ক আছে । - শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় تستتتتتتحت تا تحتت সামাজিক আয় ও সামাজিক স্বাচ্ছদ্য সামাজিক আয় ও সামাজিক স্বাচ্ছদ্য সম্বন্ধে সাধারণভাবে কতকগুলি কথা বলা দরকার । প্রথমটি আগেই বলা হয়েছে ;—যে-কোন নিদিষ্ট পরিমাণ সামাজিক আয় থেকে কি পরিমাণ স্বাচ্ছদ্য স্বষ্ট হবে তা সমাজের লোকদের মধ্যে সেটি কি-ভাবে বণ্টন করা হয় তার উপর নির্ভর করে। সামাজিক আয়কে যদি মাত্রায় বিভাগ করা হয় তা হ’লে সমাজের লোকেরা নানান অনুপাতে সামাজিক আয়ুের ভাগ পেলে প্রত্যেকের অংশকে মাত্রায় প্রকাশ করা যায়। যথা, রাম-বাবু পেলেন বাৎসরিক দুশ মাত্রা ভোগ্য ; শ্যামবাবু পাচশ মাত্রা, রামধন পঞ্চাশ মাত্রা, জনসন পঞ্চাশ হাজার মাত্রা, ইত্যাদি। অবশু সত্যকার জগতে সবকিছুই টাকায় প্রকাশ করা হয়। এখন বিভিন্ন লোকে যে সামাজিক আয়ের অংশ উপভোগ করছে, এটা অন্য দিক থেকে দেখলে দেখা যায়ু যে সামাজিক আয় নানাপ্রকার ব্যবহারে লাগছে । যথা, কেউ চাল অথবা আলুর সাহায্যে দেহ পোষণ করছে আর কেউ তার থেকে হুইস্কি তৈরী করে দেহের সর্বনাশ করছে। কোথাও সামাজিক আয়ের অংশ বেশী মাত্রায় পাওয়ার ফলে কেউ আতিভোজন করে’ জীবন পাত করছে, আর অন্য কোথাও আর-কেউ অল্প - পাওয়ার, ফলে ন-খেয়ে মারা যাচ্ছে । আমাদের নিয়ম অনুসারে কোন ভোগ্যসমষ্টি থেকে অধিকতম প্রয়োজনীয়তা পেতে হ’লে সৰ্ব্বক্ষেত্রে সীমাস্থিত মাত্রার (অর্থাৎ যে মাত্রা কোন ক্ষেত্রে সৰ্ব্বাপেক্ষা কম প্রয়োজনীয়তা দেয় ) প্রয়োজনীয়তা সমান হওয়া দরকার ; এবং নানান ব্যবহারে ভোগ্য ব্যবহৃত হ’লে সৰ্ব্বক্ষেত্রে সীমাস্থিত প্রয়োজনীয়তা সমতার দিকে যত যায় ততই বেশী পরিমাণে প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যায়। যার ভাগে ভোগ্যের মাত্র যত বেশী করে’ পড়ে তার কাছে সাধারণতঃ নিজ অংশের সীমাস্থিত মাত্রার প্রয়োজনীয়তা দানের ক্ষমতা তত কম। ১•••