পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨(t8 AeAMSAMMAeM MM MSMSM SMS SMSMSMeM MAAAA SAS S S AAAA S এ কথা শুনে দুঃখিত হলুম। প্রথমতঃ, শ্রেষ্ঠ শিল্পীর আর্ট, কখনো মরে না, তা অমর, কালের চঞ্চল প্রবাহ তার কাছে এসে স্তম্ভিত হ’য়ে থ'কে । দ্বিতীয়তঃ, লাভ-লোক্‌সানের খাতা খুলে আর্টের বিচার চলে না, কারণ কোন টাকশালেই আজ পর্য্যন্ত আর্ট, তৈরি হয়েছে ব'লে শোনা যায়নি। আর্ট, আমাদের পকেট ভারী করে না, কিন্তু রসিককে স্বৰ্গীয় আনন্দের আস্বাদ দেয়। আর্ট, আমাদেরকে আপিসের কাজে নামায় না, কিন্তু কাজের ছুটির সময়ে আমাদের মনের খোরাক যোগায় । আটের মধ্যে উদেশ্ব খোজ করলে আপনারা হতাশ হবেন,-আর্ট, হচ্ছে আর্ট —সে দালালের পণ্য, “শেয়ার মার্কেটের শেয়ার’, ব্যারিষ্টারের ব্রিফ, ডাক্তারের ‘প্রেস্ক্রিপশন্‌’, উমেদারের কৰ্ম্মখালির বিজ্ঞাপন, ছাত্রের হিতোপদেশ বা সমাজপতির হুঙ্কার নয়—আর্টের একমাত্র পরিচয় আর্ট-ওকালতি ডাক্তারি, কেরানিগিরি ও সওদাগরি ছাড়াও যে মানুষের অন্য কাজ আছে, আর্ট তার সাক্ষ্য । ভারতবর্ষ যে চিরদিন পশুর মত রক্তমাংসের সাধনা বা জীবন-সংগ্রামের সমস্ত নিয়েই ব্যস্ত হ’য়ে থাকেনি, ভারতের প্রাচীন আর্ট তারই জলন্ত প্রমাণ। কারক আমাদের সেই গৌরবময় অতীতের একটি প্রধান কেন্দ্র, তাই আমাদের সেখানে যাওয়া উচিত ।” মিঃ বাস্থ একটা হাই তুলে মুখভঙ্গি ক’রে বললেন, "অতীত, কেবল অতীত ! ই অতীত অতীত ক’রেই আমাদের জাতিটা অধঃপতনে ধেতে বসেছে !” মি: চ্যাটে বললেন, “আমি চাই বৰ্ত্তমান, আমি চাই ভবিষ্যৎ ! বৰ্ত্তমানের সাধন করতে পেরেছে ব’লেই যুরোপ আজ এত বড় !” একটা-কিছু মন্তব্য প্রকাশ করা উচিত ভেবে কুমারবাহাদুর বললেন, “নিশ্চয়!" রতন বললে, “অতীত হচ্ছে বর্তমানের স্থতিকাগার, ভবিষ্যতের আশা ! এমন দেশ দেখাতে পারেন, অতীতের সাহায্য না নিয়ে যে বড় হ'তে পেরেছে ?” মি: চ্যাটো বললেন, “আমেরিকা ।” —“আমেরিকা ? আমেরিক কি কোন একটিমাত্র জাতির স্বদেশ ? সে তো দুনিয়ার নিখিল-জাতির সমন্বয় প্রবাসী অগ্ৰছায়ণ, లిలి SA A ASJSAAJJJ SAJMMAJAMMJJJJMA AMMM AMSMMAMAeMMMMMM MM MMMM MM AMSMSMS MM MMM MM MSMS [ २०= एछ1गं, २$ थ७ حسیم ھ* ক্ষেত্র বা মিলন-ভূমি ! তার অতীত তাই নিজের মধ্যেই আবদ্ধ নয়—য়ুরোপীয় সভ্যতার ইতিহাস খুজে দেখুন, আমেরিকার অতীতকে সেইখানেই পাবেন। যুরোপের অতীত থেকেই আমেরিকার বর্তমান রসসংগ্রহ করে— কারণ আমেরিকার জন্ম হয়েছে যুরোপে । তাই ফি বৎসরেই হাজার হাজার আমেরিকান যাত্রী রোম, পম্পিআই ও গ্রীসের পার্থেননের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ছুটে যায়। কেবল এইটুকুতেই তারা তুষ্ট নয়, সমগ্র মানবসভ্যতার অতীতকে দেখে শিক্ষালাভ করবার জন্যে তারা সেই স্বদুর থেকে আসে ব্যাবিলনের ভগ্ন ইষ্টক-স্তুপে, মিশরের জীর্ণ পিরামিডের ছায়ায়, ভারতের চূর্ণ-বিচূর্ণ বিজন পরিত্যক্ত গুহা-মন্দিরের মধ্যে । আপনার এদের কি বলতে চান ?” মিঃ বাস্থ নীরবে কড়িকাঠের দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করলেন, মি: চ্যাটে গম্ভীরভাবে ধূমপান করতে লাগলেন, এবং কুমার-বাহাদুর র্তাদের মুখরক্ষার জন্যে রতনের কথার একটা জবাব দিতে গিয়ে কোন কথাই বলতে পারলেন না । বিনয়-বাবু স্তব্ধভাবে বসে বস এই আলোচন৷ শুনছিলেন, এতক্ষণ পরে তিনি বললেন, “রতন, তোমারই জিৎ, এরা তিনজনেই অসম্ভব-রকম হেরে গেছেন।” মিঃ বাস্থ ক্রুদ্ধস্বরে বললেন, “হেরে গেছি কি-রকম ?” বিনয়-বাৰু হেসে বললেন, “তর্কে মুখবন্ধ করা হারেরই 이 |” মি: চ্যাটে। বললেন, “অকারণ তর্কে সময় নষ্ট করতে আমার আপত্তি আছে । এটা যদি হারের লক্ষণ হয়, তা হ’লে আমরা অবশু নাচার ।” কুমার-বাহাদুর যৎপরোনাস্তি গম্ভীরকণ্ঠে বললেন, “এ-কথা আমিও স্বীকার করি । আমাদের খুলি, আমরা কণারকে যাব না। এজন্তে এত জবাবদিহির দরকার হচ্ছে কেন, তা তো আমি কোনমতেই বুঝতে পারছি না !" রতন হেসে বললে, ”কুমার-বাহাদুর সত্যিকথাই বলছেন।” কুমার-বাহাদুর গৰ্ব্বিতভাবে বললেন, “কারণ, সত্যি