পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ২ জন অরণ্য-পাল, ২৫ জন শোভন-উদ্যান-রচয়িত্রী রমণীর নাম পাওয়া যায়। রসায়নবিং, জহুরী, ধাতুবিদ্যাবিদ, ধৰ্ম্মযাজক, নক্সানবীশ, উকীল, বিচারপতি, কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক, ধৰ্ম্ম ও সমাজের হিতসাধক জনসেবাব্ৰতী, ব্যায়ামশিক্ষক ও নৃত্যশিক্ষকের কাজে রমণীর সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়াছে। কেবল মাত্র ক্ষেতমজুর, পোষাকনিৰ্ম্মাতা ও ভূত্যের কাজে রমণীর সংখ্যা পূৰ্ব্বাপেক্ষ। কমিয়াছে। দাসীর কাজের হার ১৯১০ খৃষ্টাব্দের শতকরা ৩১৩ হইতে ১৯২০তে শতকরা ২৫৬ পয্যন্ত নামিয়াছে।" দাসীর কাজটাই সকল দেশে পুরাকালে মেয়েদের প্রধান বৃত্তি ছিল । পোষাক তৈয়ারীর কাজটা পাশ্চাত্য দেশে মেয়েরাই বেশী করিত, কারণ তাহাব তৈরী পোষাক পরে। আমাদের দেশের মেয়েদের অতি অল্প লোকেই তৈয়ারী পোষাক পরে , নু হুইলে দেখা যাইত মজুর দাসীও পোষাক নিম্মাতার কাজই এ দেশে রমণীরা বেশী কবে । আসামে, আরাকান জেলায এবং কক্সবাজার মহকুমায় নারীর অনেকে বস্ত্ৰ-বয়নের কাজ করে । পুরাতন পথ ছাড়িয় নূতন নূতন বৃত্তির দিকে মেয়েদের ঝে কি হওয়াতে পাশ্চাত্য দেশে রমণীদের পুরাতন বৃত্তিসমূহে রমণীদেৰ টান ও সঙ্গে সঙ্গে কৰ্ম্মীর ংখ্যা কমিয়া যাইতেছে । এদেশে বৃত্তি হিসাবে ন হইলেও আচাৰ্য্য ও উপদেষ্ট। রূপে ধৰ্ম্মযাজকের কাজ মেয়ের করেন। খৃষ্টীয় মিশনে দেশী মহিলার বৃত্তি হিসাবে ও ধৰ্ম্মকাৰ্য্য করিয়া থাকেন। সন্ন্যাসিনী হিন্দু নারীরাও ঐ কাজ করেন । “ওম্যান সিটিজেন” পত্রে উল্লিখিত বহু কাজ এ দেশেব রমণীর করিতে পারেন এবং ঘরে কিছু কিছু করিয়া ও থাকেন। সুবিধার অভাবে ও লোকলজ্জার ভয়ে এই-সকল সংবৃত্তি প্রকাশ্যে অবলম্বন করিতে অনেকে দ্বিধা বোধ করেন । এই মিথ্য লজ্জা ঘুচিয়া যাওয়া উচিত। আমরা শুনিয৷ স্বর্থী হইলাম, যে, বিদ্যাসাগর-বাণীভবনের ছাত্রীরা স্যাকুরার কাজ শিখিতেছেন এবং ইতিমধ্যেই বেশ অগ্রসর হইয়াছেন । আমাদের দেশের মেয়ের বৃত্তি হিসাবে কি কি কাজ করেন ও করিতে পারেন, তাহার একটা তালিকা প্রস্তুত করা দরকার । বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতীয় জেলখানা ബുബ് ٩وئ3 .സ് സ്പെസ സമ്യു বীরলা মহাশয়ের বদস্যেতা কলিকাতার শ্রযুক্ত ঘনশ্বামদাস বীরলা মহাশয় বিহার ও ওড়িষার প্রিন্স অব ওয়েলস্ মেডিক্যাল কলেজ ফণ্ডে এক লক্ষ পচিশ হাজার টাকা দান করিয়া প্রকৃত ঔদার্য্যের পরিচয় দিয়াছেন । এই অর্থের ব্যবহার সম্বন্ধে তিনি কোন সর্ত করিয়াছেন কি না জানি না । আশা করি দরিদ্র ভারতবাসীদের সেবাতেই ইহার অধিকাংশ ব্যয় করা হইবে এবং মোটা মাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পুষিতে ও সুসজ্জিত ইউরোপীয় ওয়ার্ডের বিল মিটাইতে গিয়া দরিদ্রদের ভাগ্যে শূন্ত পড়িবে না।

  • kass

শ্ৰীযুক্ত যমুনালালের গাড়ী নিলাম দশ টাকায় মোটরকার এবং তিন টাকায় বগী গাড়ী নিলামে চড়িলেও সেই গুলি কেহ কেনে নাই—ব্যাপারটা বিস্ময়কর নহে কি ? শ্ৰীযুক্ত শেঠ যমুনালালের সম্পত্তিভূক্ত এই জিনিষ দুটি এইরূপ হাস্যকর রকম অল্প মূল্যেও ওয়ারদীতে বিক্ৰী করা যায় নাই। সেগুলিকে রাজকোটে পাঠানো হইয়াছে। ভারতবর্ষের লোকের আদর্শ নিষ্ঠা ও স্বার্থত্যাগের শক্তি যে একেবারেই নাই জগংকে একথা বুঝাইতে অনেকে ভাল বাসিলেও এই সামান্য ঘটনাটিও তাহার উন্ট প্রমাণ দেয়। ভারতবাসীরা যে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া কাজ করিতে সক্ষম, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই ; তবে কাজটার প্রতি প্রাণের টান থাকা চাই । ভারতীয় জেলখানা স্যার আলেকজান্দার কারডিউ মহাশয় ঈষ্ট ইণ্ডিয়৷ এসোসিয়েশনে বক্তৃত করিবার সময় বলিয়াছেন, যে সভ্য জগতের সমুদায় জেলখানার মধ্যে ভারতবর্ষের জেলখানাগুলি নিকৃষ্টতম । বৰ্ত্তমান সভ্য জগতের মতে জেলখান। অপরাধীদের সৎপথে ফিরিবার সুযোগ পাইবার স্থান। আধুনিক মানুষ সামাজিক উন্নতি সাধনেব জন্তই অপরাধীকে দণ্ড দিতে চায়, প্রতিহিংসা প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার জন্য নয় । স্যার আলেকজান্দারের মতে ভারতীয়