পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یوان خ SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS জেলখানাগুলি অপরাধীদের উন্নতির অপেক্ষ অবনতির সহায়তাই বেশী করে। ভারতের ইংরেজশাসনযন্ত্রের ইংরেঞ্জেরই এই প্রশংসাবাদটি অনুপম । গৌরীশঙ্কর অভিযান ইংরেজ ও আমেরিকান পৰ্য্যটকের গৌরীশঙ্করের দুল উঘ্য শিখরে আরোহণ করিবার জন্য আবার দলবদ্ধ হইতেছেন । র্তাহারা অক্সিজেনপূর্ণ একটি যন্ত্র এই অভিযানের সময় ব্যবহার করিবেন ; আল্প স্পৰ্ব্বতে তাহার কাৰ্য্যোপযোগিতার পরীক্ষ হইতেছে। এ বিষয়ে ভারতবাসীদের কি কিছুই করিবার নাই ? আমরা কি চিরকাল পরের হাতে আমাদের দেশের সকল কঠিন কায্যের ভার ফেলিয়৷ দিয়া তাহীদের মুখ চাহিয়৷ বসিয়া থাকিব ? ভারতের কয়েকজন ধনী মিলিয়া একদল যুবককে সুইজারল্যাণ্ডে পৰ্ব্বত-আরোহণ-বিদ্যায় দক্ষত লাভ করিতে পাঠাইয় দিলে ত পারেন। ইহারা ফিরিয়৷ আসিলে ভারতীয়ের দ্বারাই ভারতীয় পৰ্ব্বতশিখর আরোহণ ও আবিষ্কারের কার্য্যে এই ধনীর সাহায্য করিতে পারেন। আমাদের যাহাতে কোনো ক্ষতি হইবে না, এমন সকল উদ্দেশ্যে বিদেশীরা আমাদের দেশে আসিলে আমরা কোনোই আপত্তি করি না ; কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই ভারতীয়দের পিছনে পড়িয়া থাকিতে দেখিলে ক্লেশ বোধ হয় । পাশ্চাত্য দেশে ধনী মাত্রেই অষ্টপ্রহর নবাবী বাসন ও চব্বির বোঝায় ডুবিয়া খুসী হইয়া কেদার হেলান দিয়া থাকে না। তাহারা জনসমাজের বিশেষ এক জাতীয় কাজে লাগিয়া যায়। এই-সকল কাজে হাতে হাতে টাকা পাওয়া যায় ন বটে, কিন্তু পরিণামে এগুলি দেশের উপকার করে । ধর্মীরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে গেfবংশের উৎকর্মসাধন, অশ্বপালের উৎকর্যসাধন, শস মুরগীর পাল তৈয়ারী প্রভৃতি কাজে মন দেন। কেহ বা বহু কষ্ট ও ব্যয়সাধ্য দেশ পৰ্য্যটন কি আবিষ্কারে লাগিয়া যান। ইহারাই অনেকে মিলিয়। বিমান-বিহার, মোটর চালনা, ঘোড়সওয়ারি, খেলা, কুস্তি ও নানা প্রকার ব্যায়ামের আদর্শ উচ্চ হইতে উচ্চতর করিয়া তোলেন । ইহারা নানাভাবে শিল্পী, বারিগর ও প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড പ്സസറു تجة عميد حميميه كي - حتیمهای حبیسیحییر یحییر সাহিত্যিকের উৎসাহদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হন, সাহিত্য ও শিল্প স্থষ্টিতেও মন দেন। এক কথায় বলিতে দেশের ও জাতির সর্বাঙ্গীন উৎকর্ষ সাধন ও সভ্যতার বিকাশের ইহারা অনেকে সহায় । কিন্তু ভারতের ধনকুবেরর কি করিতেছেন ? দেশের এই ধনী-সম্প্রদায় জাতির কোন হিতকৰ্ম্মে লাগিতেছেন ? বিধবাবিবাহ-সহায়ক সভা লাহোরে বিধবাবিবাহ-সহায়ক সভার একটি আশ্রম আছে। এই আশ্রমে ভারতবর্ষের যে-কোনো প্রদেশের বিবাহাথিনী বিধবার আশ্রয় পান। সভার কাৰ্য্যের সাহায্যের জন্য একটি মাসিকপত্রও আছে । আমরা সভার কায্যবিবরণীর সংক্ষিপ্তসার নীচে দিলাম — “ভারতবর্যের নানা শাখা-সমিতি ও সহযোগীদের নিকট হইতে খবর পাওয়া গিয়াছে, যে, ১৯২৩ অব্দের আগষ্ট, মাসে সভার সাহায্যে ৮৩টি বিধবার বিবাহ হইয়াছে। ১লা জানুয়ারী হইতে আগষ্ট, মাসের শেষ পর্য্যন্ত মোট ৫৮৮টি বিধবার বিবাহ হইয়াছে। তাহার মধ্যে— ব্রাহ্মণ ১১১, ক্ষঞ্জিয় ১২৩, আরার ১২৮, কায়স্থ ১৩, আগরওয়াল ৭৬, রাজপুত ৫৩, শিখ ৫, এবং অন্যান্য জাতি ৭৯, মোট— ৫৮৮ ৷ মহিলা-কৰ্ম্মী-সংসদ যে-সকল ভারতীয়া মহিলা দারিদ্র্য ও আত্মীয়-বন্ধুর পীড়নে দুঃখ পান, এবং নিৰ্ম্মম ও নৃশংস স্বামী প্রভৃতির দ্বারা লাঞ্ছিত হন, তাহাদের হয় দুঃখভোগেই, নয় স্বীয় জীবিকা অর্জন দ্বারা দিন কাটাইতে হয়। মহিলা-কৰ্ম্মী ংসদ এই-সকল মহিলাকে কাজের সুবিধার জন্য মণ্ডলী বদ্ধ করিতে চান । সংসদ কলিকাতার মূল কারখানায় মেয়েদের কাজ শিখাইয়। র্তাহীদেরই মফস্বলের শাখা কারখানায় পাঠাইতে চান। দুঃখিনী নারীরা বৃত্তিশিক্ষা দ্বারা কি করিয়া সদুপায়ে আর্থিক স্বাধীনতা লাভ করিতে পারেন, তাহাই সংসদের শিক্ষার প্রধান বিষয় । মণ্ডলী গঠনের উদ্যোগী শ্ৰীমতী হেমপ্রভা মজুমদার মহাশয় বহু বাধা বিপত্তির ভিতর দিয়া