পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ কতক ইংরেজের ভয়ে আমি হাজার হাজার দেশী লোককে পালাতে দেখেচি । এথেকে কি প্রমাণিত ट्य ?' в " —“কিছুই প্রমাণিত হয় না। একজন মাত্র ইংরেজকেও আমরা ব্যক্তিগতভাবে দেখি না, দেখি সমগ্র রাজশক্তির মূৰ্ত্তিমান প্রকাশের মতন । কারণ এটা প্রায়ই দেখ গেছে যে, একজন মাত্র ইংরেজকে অধিtত ক’রে অনেককে বিরাট রাজশক্তির প্রচণ্ড আক্রমণ সহ্য করতে হয়ে৮ে -অৰ্থাং নিপেষিত প্রত্যেক ইংরেজ ও আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখে না, সে 4 জানে যে, নামেই সে এক, আসলে তার পিছনে দেহরক্ষীর মত সমগ্র রাজশক্তি সতর্ক ভাবে জেগে আছে । ભ ‘મડિયાર સૂત્ર ઋનિક હાલ મનિ કવિ ના-કે দার্থ কালের ব্রিটিশ রাজত্বে অঞ্জ পণ্যস্ত তা হয়নি । এই সচেতনতাই তাকে সাহায্য করে, আর আমাদের পিছমে হটিয়ে দেয় । আমাদের স্বদেশে ও স্বজাতির মধ্যে এমন দুষ্টান্ত আছে অসপ্য । বলবান্‌ ভূত্য ও তুৰ্ব্বল প্রভূর হাতের মার নীরবে হজম করে, শত শত গরীপ প্রজাকে জমিদার পক্ষের একজন ম৷ এ কৰ্ম্মচারী ত বাবে নিযাতন ক'রে আসে,—কি স্তু এ-সব কি সাঙ্গসের পরিচয়, ন কাপুরুষ তার অভিনয় ?” কুমার-বাহাদুর বললেন, “কিস্তু আমার মতে, আমর ধদি প্রকৃত সাহসী হতুম, ত৷ ই লে:এত ভেবে চিন্তে কাজ করতে পারতুম না। মি: পোষ সেদিন ঠিক কথাই বলেছিলেন ......বেশী বুদ্ধিমান হ’য়েই আমরা নিজেদের সৰ্ব্বনাশ করেচি । এই ধরুন, আপনার কথাই । আমি ভীরু নই, কিন্তু সাত-পাচ ভেবে তব তে | সেদিন আমিও કેઃ দড়াতে পারলুম না : আপনি কিন্তু প্রকত সাহসী, তাই একলা আত গুলে। ইংরেজকে ও বিরুদ্ধে পেথে' ভয পেলেন না ! ই একেই বলি সাহস ।" আনন্দ-বাবু ও বিনয়-বাবু অবাপ হ’য়ে কুমার-বাহফুরের মুথের দিকে তীকালেন এবং সব-চেয়ে বিস্মি ও হ’ল সন্তোষ—কারণ রতন সম্বন্ধে তার মত সেইই বেশীরকম জানত । তারই মুখে আজ রতনের স্থখ্যাতি । বতন কস্তু কিছুমাত্র বিচলিত হ'ল না, সে বললে, হ'তে হয়েচে । প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩৩০ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড “মাপ করবেন কুমার-বাহাদুর, আলোচনায় যখন নিজেদের কথা ওঠে, তখন ত! বন্ধ করাই উচিত।” কুমার-বাহাদুর বললেন, “আমি সত্য কথাই বলচি, আপনাকে লজ্জিত করা আমার উদ্দেশ্য নয় । আপনার সঙ্গন্ধে আমার ম| ধারণ|—” রতন বাধা দিয়ে বললে, “আমার সম্বন্ধে আপনার এই উচ্চ ধারণার জন্যে আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিচ্চি । কিন্তু দয়া ক’বে অন্য প্রসঙ্গ তুলুন—মৃথ্যাতি শুনে শুনে আমি শ্রাস্ত হ’য়ে পড়েচি !” এমন সময়ে সুনীতি ও সুমিত্রাকে নিয়ে পূর্ণিমা সেখানে এসে দাড়াল । আনন্দ-বাবু একবাল সমুদ্র ও একবার আকাশেব দিকে তাকিয়ে বললেন, “কি চমৎকার রাত্রি । রতন, এখন কথা বন্ধ ক’রে একটি গান গাওঁ ৷” রতন বললে, “তাতে আমি না বা জ নষ্ট ! আজি আমার ও গান গাইতে সাধ হচ্চে !” —“পূর্ণিমা, হামে নিযামটা আনতে ব’লে দে তোম৷ ” —“ন, মা, প্রকৃতির এই স্বাভাবিক উংসবમમાઃક મળ્યા હતા ક્રશ્ચિમ મ૮૬૬ સ્ત્રા હાથ મત মাধূধ্য নষ্ট ক'রে দেবে । তার চেয়ে এই পরিপূর্ণ পূর্ণিমাতে যদি পূর্ণিমা দেবী ও আমার সঙ্গে তার মধুর কণ্ঠ মেলান, তবে গানটি যথার্থ ই সকলের ভালো লাগবে ” আনন্দবাবু বার বার মাথা নেড়ে বললেন, “অবশু, অবশ্য !" বিনয়-বাৰু উৎসাহিত হ'য়ে প্রস্তাব ।” পূর্ণিমা কিন্তু লজি ত-মুপে নাবাজ হ'ষে বললে, “আমি পারব ন৷ ” সেনগিন্নী বললেন, “গা ও ন ম পূর্ণিমা, লজ। কি ?” পূর্ণিমা বললে, “উনি একে গাইয়ে মানুষ, তার ওপরে কি গান ধরবেন, আমি পারব কেন ?” রতন বললে, “আমি আপনার জান-গানই গাইব । আমার গান তো এখানে সবাই শুনেচেন, আজ আপনিও প্রমণ ক’রে দিন যে, ও-বিদ্যাটি এখানে থালি আমারই একচেটে মধ " বললেন, “চমৎকার