পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] উৎসাহ ‘Ge L উৎসাহ শাস্তিবাদের পক্ষে ভালরকম ওকালতি করিয়া এমসিন শেষে বলিতেছেন :– “If peace is sought to be defended or preserved for the safety of the luxurious or the timid it is a sham and the peace will be base. War is better and the peace will be broken " অর্থাৎ, বিলাসী ও ভীরুদের সুবিধার জন্যই যদি শাস্তি কামনা করা হয় তবে সেরকম শান্তির মুল্য কিছুই নাই । তেমন শান্তি মামুষের অন্তরাত্মাকে হীনতাপন্ন করে । তাহা অপেক্ষা সংগ্রামই শ্রেয়স্কর ; এবং মানুষ ফুদিন আগে পরে এমন শান্তির ব্যর্থ চেষ্ট পরিহার করিবেই। আসলে কথা এই,—যুদ্ধও নয়, শান্তিও নয় ; colonial self-government 3 stol i পুরাপুরি indepondence ও নয় ; মানুষের যাহা অন্তরতম আকাঙ্ক্ষার বিষয় তাহা হইতেছে মুন্দর জীবন, মহত্ব। ভোগকে আশ্রয় করিয়া থাকিলে জীবনে যে সঙ্কুচিত ভাব আসিয়া পড়ে, সুখের উপকরণ যাহ আছে তাহ পাছে হারাইতে হয় এই আশঙ্কায় কৰ্ত্তব্যের পথে চলিতে গিয়া যেই কুষ্ঠিত দৌৰ্ব্বল্যে হৃদয় আচ্ছন্ন হয়, সেই কুণ্ঠা, সেই বীৰ্য্যহীন সঙ্কোচ হইতে মুক্ত জীবনযাপন করাই মামুষের সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় গরজ । মুখস্পৃহ এবং দুঃখকে এড়াইয়া চলিবার আকাজাই মানবাত্মার স্বাধীন স্কৃত্ত্বির পথে প্রবল অন্তরায় । এই প্রাকৃতিক প্রবৃত্তিই মানুষকে একান্তভাবে বহিঃশক্তির অধীন জন্তুজীবনের উদ্ধে উঠিতে দেয় না। এই হেতু, ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মেপদেষ্ট বলিতেছেন :–“ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ” । আর যাহা কর কিম্বা নাই কর বীর্য্যহীনতাকে পরিহার করিতে হইবে ; তাহাই হইতেছে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধম হীনতা । শান্তি ভাল জিনিস, নিষ্ঠুরতাও আদরণীয় নয়, কিন্তু তাই বলিয়া নীচতাকে স্বীকার করিবে ? আত্মীকে অবসাদগ্ৰস্ত হইতে দিবে ! সে ত কিছুতেই হইতে পারে না । আরামের জন্য ও ভোগবিলাসে জীবন কাটাইয়া দিবার জন্য, হৃদয়কে কৰ্ত্তব্যের কঠোরত হইতে বাচাইবার ইচ্ছায় যদি শাস্তি চাও, তবে ধিকৃ সে শাস্তিকে—সে শান্তি তোমাকে হারাইতেই হইবে। “লগেনকে কেবল যেন কোমল করুণ ! মৃদু স্বরের খেলায় এ প্রাণ ব্যর্থ কোরোন ।” মামুষের ইহাই গভীরতম প্রার্থনা ; এই প্রার্থনার উত্তরে ভগবান যেরূপে তাহার শ্রেষ্ঠ ভক্তকে দেখা দেন তাহা দেখিয়া অৰ্জ্জুন বলিয়া উঠিয়াছিলেন – ‘লেলিহাসে গ্রসমানঃ সমস্তাল্লেীকান সমগ্রীন বদনৈৰ্জ্জলদ্ভিঃ তেজোভিরপুর্ঘ্য জগৎ সমগ্ৰং ভাসস্তবোগ্র প্রতপত্তি বিষ্ণে " মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ সার্থকতার জন্য এই উগ্ৰতেজা দেবতার উপাসনা করিতে হইবে,—ইহার অনুশাসন মানিধা বুক শক্ত করিতে হইবে,—“ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌৰ্ব্বল্যং’ত্যাগ করিয়া নিৰ্ম্মম কঠোর মহত্ত্বের পথে চলিতে হইবে । এইখানেই ত্যাগ-ধৰ্ম্মের স্থান । ত্যাগ ত শুধু ছাড়া নয়, নিজেকে শুধু বঞ্চিত করা নয়-ইহা সহজকে ছাড়া গভীরের জন্য, আরামকে ছাড়া সত্য শাস্তির জন্য, জীবনের মায়া ছাড়া ভয়হীন জীবনের স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত আনন্দের জন্য । যুদ্ধই হউকৃ শান্তিই হউক, এই ত্যাগধর্মের দ্বারা যদি তাহ অঙ্গপ্রাণিত না হয় তবে মাচুর্য মহত্ত্বের আনন্দ হইতে বঞ্চিত হইবে । মানুষের বীরত্বের পরিচয় এই ত্যাগে—এই প্রবৃত্তির অধীনতা পাশ ছেদনে । মামুষের কৰ্ম্ম প্রণালীর মূল্য নিরূপিত হইবে, এই বীরত্বচর্চার অবকাশ উহাতে কতটা আছে তাহ দ্বারা । দার্শনিক উইলিয়াম জেমসের ভাষায় বলতে গেলে – “The deepest disference practically in the moral life of man is the difference between the easy-going and the strenuous mood. When in the easy-going mood, the shrinking from present ill is our ruling consideration. The strenuous mood, on the contrary, makes us quite indifferent to present ill if only the orreestaar Aeneal 1 - - 44 - --- --- T1--