পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘Le'V “মোহের বন্ধন” ছিন্ন করিতে কিছুমাত্র বেগ পাইতে হয় না। “কার্পণোপহতস্বভাবঃ" হওয়াতে অৰ্জ্জুনের যে কৰ্ত্তব্যবিমুখত জন্মিয়াছিল, ভক্তিই উহা হইতে র্তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিল । কৌরবদিগের ক্লত অন্যায় সহিয়৷ যাইবার মত হীনতাও তিনি স্বীকার করিতে যাইতেছিলেন যতক্ষণ ভগবানের categorical imperative, রুদ্রদেবতার সৰ্ব্বনাশ ডাক তাহার কর্ণে ধ্বনিত হয় নাই । এই গীতোক্ত দেবতাকে উদ্দেশ করিয়া কবি গাহিয়াছেন :– "আমরা বিনাপণে খেলুব ন গেী, পেলুব রাজব ছেলের মত । ফেলুৰ খেলায় ধনরতন যেথায় মোদের আছে যত । সৰ্ব্বনাশ৷ sেtযাল যে ডাক যায় যদি যাক সকলি যাক , শেষ কড়িটি চুকিয়ে দিয়ে থেলা মোদের কবৃব সার, তার পবে কোন বনের কোণে হারের দলটি হ’ব হtব ।” ভাবতবর্ষের এই ভাবের ভাবুক হইয়া—আয়লাণ্ডের বীর কবি পাদ্রিক পিয়াস ও লিখিয়াছেন :-- “That no one can finely live who hoards life too jealously, that one must be generous in service and withal joyous, accounting even supreme sacrifices light.” s অর্থাৎ, বাচিবার মত করিয়। বাচিতে হইলে দিলদরিয়া হওয়া চাই। জীবনকে স্বন্দর, সার্থক করিয়া তুলিবার পক্ষে কৃপণতার মত এত বড় বাধ। আর নাই । বিফলতার আশঙ্কা, হীরাইবার ভয় যদি মনকে সঙ্কুচিত করিয়া রাখে, ত্যাগ যদি সহজ ও আনন্দজনক না হয়, দুঃখমৃত্যুকে যদি স্বচ্ছন্দে গ্রহণ কৰা না যায় তবে বৃহৎ প্রয়াসের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ফেলিয়া দেওয়া যায় না, এবং তাহ। করিতে না পারিলে, মামুষের গভীরতম আকাজক্ষা, ভূমাকে পাইবার ইচ্ছা পদে পদে ব্যাহত হয়—সাংসারিক জীবনের তুচ্ছতাকে অতিক্রম করিয়া মুক্তি-পথের পথিক হওয়া যায় না। কিন্তু ইচ্ছা করিলেই মানুষ এই অবস্থায় উপনীত হইতে পারে না । ভগবানে ভক্তি, আত্মসমর্পণ ইহার জন্য একাস্ত আবশুক । আদর্শামুসারিতা এই প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ AMAMAMAMAMSMJAMMMAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAeeeiMAAASSAAAASS SAA AA ASASASAMMeMSMMA SMSMMSMSSSeS ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ধৰ্ম্ম ভাবেরই ব’হরুপ ; এই ভাবের দ্বারা অকুপ্রাণিত হইলেই মানুষ নিজের আদশের মধ্যে ভগবানের আবির্ভাব উপলব্ধি করিয়া সমস্ত অস্তরের সহিত বলিতে পারে :– “দুঃখের বেশে এসেছ বলে তোমারে নাহি ডব্লিৰ হে । যেখানে ব্যথা তোমারে সেথt নিবিড় করে ধরিব হে । আঁধারে মুখ ঢাকিলে স্বামী তোমারে তবু চিনিব আমি । মরণয়পে আসিলে প্ৰভু, চরণ ধরি মপ্লিব হে ।” ভগবান মানুষকে অনাদি কাল হইতে বলিতেছেন :– “যুধ্যস্ব", অন্যায়ের প্রতিরোধ কর । সংসারে স্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য, ধৰ্ম্মরাজ্য-সংস্থাপনের জন্য তোমাকে এ কাজ করিতে হইবে, *যজ্ঞাৰ্থে” এই কৰ্ম্ম করিতে গিয়া তোমার কাজের কি ফল হইবে,—ইহাতে তোমার নিজের কতটা ক্ষতি হইবে, তোমার কোন আত্মীয়-স্বজন কতটা দুঃখ পাইবে এইসব ভাবনা তুমি ভাবিতে পাইবে না। মমত্ববোধ-জনিত মৰ্ম্মান্তিক দু:খস্বীকার বরিয়াই তোমাকে ধৰ্ম্মযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতে হইবে । মানবাত্মাতে নিহিত এই categorical imperative sē Fēifēi-fasttoist sēSRনীয় বিধি মানিয়া চলাই ধৰ্ম্ম জীবন–মানুষের সত্যজীবন । এই ভগবদ্বাক্যকে জীবনের নিয়ামক করিয়া আইরিশ কবি ভক্তির আবেগে বলিতেছেন – “Lord, I have staked my soul, I have staked the lives of my kin On the truth of Thy dreadful word. remember my failures, Do not But remember this my •faith." কৰ্ম্মের ইহাই কৌশল ! ভগবদগীতার ইহাই শিক্ষা । “যোগস্থ কুরু কৰ্ম্মাণি”, “যোগ: কৰ্ম্মম কৌশলম্।” এই শিক্ষাই মার্কিন-দেশের জ্ঞানী এমাসনও দিতেছেন নিম্নলিখিত কথাটিতে :-— “It is the wisdom of man in every instance of his labour to hitch his wagon to a star and see that his chore is done by the gods themselves. That is the way we are strong.” সোজা কথায়, দেবতার প্রীতিকামনায় কোন মহৎ ভাবের উপর সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করিয়া কাজ কৰিrল