পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৮ به رسمی مراسمی متهمینه میسه যে বিবাহের কথা তুলবার আগে নিশ্চয়ই ও-কথা তাকে বলত তাতে কোন সন্দেহ নেই। যেটা না হবার সেটা এইরকম করে বুঝবার ভুলেই উলটে যায়।” একটা যেন দুর্যোগের সম্ভাবনায় সকাল-বেলাট কাটিয়া গেল । না কোন কাজ, না কোন কথাবাৰ্ত্তীয় কাহারও মন লাগিতেছিল । নামমাত্র আহারাদির পর দুপুরে অমরনাথ স্ত্রীকে মাসিকপত্রের একটা গল্প পড়িয়া শুনাইতেছেন এমন সময় বাহির হইতে ডাক আসিল--"আমরদ, অমরদ !” “কে ? যাই ।” বলিয়া অমর উঠিয়া বাহিরে আসিলেন। একটু পরেই ফিরিলেন । তাহার সঙ্গে সঙ্গে কিরণ আসিয়া বিরজাকে প্রণাম করিয়া কোন-মতে সোজা হইয়া দাড়াইল । কিরণকে দেখিলে আর পূর্বের কিরণ বলিয়। চট্‌ করিয়া চেনা যায় না –সেই দীর্ঘ বলিষ্ঠ সরল দেহ কৃশ হইয়। সম্মুখেব দিকে হইয়া পড়িয়াছে । গায়ের সেই উজ্জল গৌর বর্ণ একেবারে রক্তশূন্ত বলিয়া মনে হইতেছে। মাথার চুল অৰ্দ্ধেক উঠিয়া গিয়াছে। বাকি অৰ্দ্ধেক অযত্নে রুক্ষ ও শীর্ণ হইয়া বাড়িয়া গিয়াছে। শুধু চক্ষু দুটির অসাধারণ দীপ্তিটুকু স্নান হয় নাই । বিরজা বিস্ময়ে দাড়াইয়া উঠিয়া বলিল—“একি, কিরণ তুমি ! কাল রাত্তিরেও যুদি আসতে শৈলর সঙ্গে দেখ। হ’ত । তুমি আসবে খবর পেয়ে কলকাত থেকে পাটুন যাবার পথে সে এখানে এসেছিল । আজ সকালে গেল।” মুহ্যমান কিরণের চক্ষুদুটি চারিদিকৃটায় একবার ভাল করিয়া চাহিয়া বুঝি দেখিয়া লইল সে আসিয়াছিল সে কোথাও কিছু ফেলিয়। গিয়াছে কি না । ত:হfর সমস্ত শরীরটা কঁাপিয়া উঠিল ; মাথা ঘুরিয়া গেল । অমর তাড়াতাড়ি কিরণকে ধরিয়া পাশের বিছানায় শোয়াইয়া দিল । বিরঞ্জা একখানি পাখা লইয়া ধীরে ধীরে কিরণের মাথায় বাতাস করিতে লাগিল ... তাহার কপালে যে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটিয়া উঠিয়াছিল ক্রমে তাহা মিলাইয়া গেল। একটু পরে কিরণ চক্ষু মেলিয়া চাহিল। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ "مبیایی معر [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ASAAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAA AAAASASASS অমরনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন—“একটু স্থস্থ হয়েছ ?” ‘হঁ্যা”—বলিয়া কিরণ উঠিয়া বসিতে গেল। অমরনাথ বাধা দিয়া বলিলেন—“ন, আরও খানিকটা শুয়ে থাকে। দুৰ্ব্বল শরীরে এতখানি পথ এক এসেছ । খবর দিলে আমরা ত অস্তুত: ষ্টেশন পর্য্যন্ত যেতে পারতাম । অমবের মুখের পানে চাহিয়। কিরণ ধীরে ধীরে বলিল—“না আসাই তো আপাতত: স্থির করেছিলাম দাদা । কিন্তু কাল সকাল থেকে অত্যন্ত অস্থির হ'য়ে উঠেছিলাম। কে যেন গিরিডির দিকে বড় জোরে টানছিল । তেমন টান জীবনে আর কখন অতুভব করিনি। কাশীতে থাকা একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠল। রাত্রের ট্রেনে কাউকে না জানিয়ে লুকিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কেন যে যাচ্ছি তা তখন বুঝতে পারিনি ; এখন বুঝেছি।” কথাগুলি বলিতে যে পরিশ্রম হইয়াছিল তাহার জন্য কিরণ চক্ষু মুদিয়া আরও কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হইয় রহিল । কিরণের মনে শুধু এই কথাটি অমৃত মধুর সঙ্গীতের মত বার বীর ধ্বনিত হইতেছিল— “শৈলজা আসিয়াছিল—শৈলজা আসিয়াছিল ।” আর এই যে আসা ইহার জন্য শৈলজাকে যে কত আয়োজন, কত ত্যাগ স্বীকার, কতখানি বিপদ ঘাড়ে করিতে হইয়াছিল তাই। কিরণ যেমন জানে তেমন বুঝি আর কেহই জানে না। - তবু শৈলজা আসিয়াছিল! তাহাকে একবার শেষদেখা দিবার জন্য নারী হইয়াও শৈলজা এতটা করিয়াছিল । কিন্তু তবু ত দেখা হইল না ! তা না হউক । এই যে সে আসিয়াছিল, এত দুর্যোগ মাথায় করিয়া, মমতার মূৰ্ত্তি ধরিয়া সে ধে এখানে উদয় হইয়াছিল-ইহাই কি যথেষ্ট নহে ? - জীবনের পাত্র কতবার ভরিয়া উঠিয়াছে, কতবার শূন্ত হইয়াছে। কিন্তু এমন অমৃতবিন্দু দিয়া তাহার পরিপূর্ণতা বুঝি আর কখন সাধিত হয় নাই । ইহার পরে