পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৪

*Sb দুর্ভাগ্যক্রমে কোন সময়েই তাহদেব কামড় গাইবাব সৌভাগ্য অামার হয় নাই। এই দেশের লোকের বলে যে বিষম রাগিয়া গেলে এই ৰিছার আত্মহত্যা করে— আমার একথায় বিশ্বাস হয় না । “আtহত বৃশ্চিক দংশে আপনার বুকে” কথাটি আমি বিশ্বাস কবি না । আমি বৃশ্চিককে আহত করিয়া দেখিয়াছি—বুশ্চিক প্রাণপণে আঘাতকারীকেই দংশন করিবাব চেষ্টা কবে । তিরিশ বছর পূৰ্ব্বে আমি একবার মসকাও হইতে থিবগিজের চালু প্রদেশে যাইবার পথে ও বনবার্গে গিয়াছিলাম। এই পথ সামারীর মধ্য দিয়া গিয়াছে । ওরেন্‌বাৰ্গে আমাকে বাধ্য হইয়া চাবচকাওয়াল টারাল্টাস গাড়ী কিনিতে হইল। আমি গৰাল ভূদেব পূর্ব দিয়া রাত্রিকালে, ঝড়বৃষ্টিব মধ্যে হেডিনের দল তিব্বতী-দলের দ্ববি। আক্রান্ত হইল ডাক-রাস্তার উপর দিয়া চলিতে লাগিলীম ! পথ ১২ • • মাইল-ইহা পার হইতে ১৯ দিন লাগিয়াছিল। গড়ে ১৮ মাইল অন্তৰ ধোড়া বদল করিতে হইয়াছিল । ঘোড়া বদল করিবার আড ডাগুলি সবই রুশীয়দের হাতে, কিন্তু অশ্বচালক প্রায সব খিরগিজ দেশবাসী । শুকনে এবং শক্ত রাস্তায় টয়ক অর্থাৎ তিন ঘোডাতেই গাড়ী বেশ টানিতে পারে । কিন্তু পথ যেখানে খাবাপ কিম্ব কর্দমাক্ত সেইসব স্থানে চট ভেরিকা’ ‘পার টোরকা’ অর্থাৎ চার বা পাচ ঘোড়ার দরকার হয়। জরাল হ্রদ্রের তীরের বালুপথে ঘোড়াতে আমার মাল-বোঝাই গাড়ী টানিতে,পারিল না—কাজেই বাধ্য হইয়া আমার টারানটাস টানিবার জঙ্ক তিনটি উট জতিতে হইল। সে দশ্য বড় চমৎকার হইয়াছিল-- প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ 현 ام ~"ب. -~ لیے ہ-۔ [ ২৩শ ভাগ, ২য় উটের পিঠে মানুষ, পিছনে গাড়ী—এবং তাহার পশ্চাতে ঘোড়ার দল । উট জলের মত করিয়া বালি ছড়াইতে ছড়াইতে খপ খপ করিয়া চলিতেছিল। নভেম্বর মাসে এই পথে গিয়াছিলাম। তখন হইতে মরুভূমির উপর বরফ পড়িতে আরম্ভ হয়। এই সময় পথের ধারের টেলিগ্রাফ-পোষ্ট পথিকের বড়ই উপকার করে। সমস্ত পথঘাট ঢাকা পড়িয়া যায় – পথ চিনিবার উপায় এই পোষ্টগুলি। কিন্তু থিরগিজ, চালকের বলিল, শীতকালে যখন প্রবল ঝড় হয়, তখন এইখানে নিপুণ পথপ্রদর্শকেরাও পথ ভুল করে। কারণ তখন একটা টেলিগ্রাফের খুটি হইতে আর-একটা খুটি দেখা যায় না । এই সময় ঝড় থামা পর্য্যন্ত অপেক্ষ না করির উপায় নাই। কিন্তু পরিষ্কার রাত্রে এইসমস্ত পথপ্রদর্শকের চোখ বন্ধ কবিয়াও পথ বলিয়া দিতে পারে। আমার গাড়ীচালক বহুদূরস্থিত কোন বস্তুকে দেখিয় তাহ কি গাড়ী, কয় ঘোড়ার, কোনদিকে যাইতেছে, ঘোড়ার কি রং ইত্যাদি সবই বলিয়া দিতে পরিত। আমি কিন্তু দুরে, আকাশের শেষ কোণে কেবল ছোট একটা কিছু দেখিতে পাইতাম মাত্র । কিন্তু তাহ যে কি তাহ। কখনই বলিতে পারিতাম না । আমার প্রদর্শক যাহা বলিত সবই মিলিয়া যাইত। এখন তাশ কন্স পৰ্য্যন্ত আমরা-ভারনবাগ রেলপথ নিৰ্ম্মাণ করাতে রাস্তাটির সৌন্দর্য্য নষ্ট হইয়। গিয়াছে। রাস্তাটিও নাই বলিলেই হয় । ১৮৯৭ সালে গোবি মরুভূমির মধ্য দিয়া একবার যাত্রা করিয়৷ ছিলাম। আমি কালগান হইতে কাইঅাখ টা পৰ্য্যন্ত গিয়াছিলাম। এই পথটিও ১২• • মাইল। এই সময় সাইবেরিয়ান রেলপথ কম্স্ক, পয্যন্ত ছিল। সেই জন্ত আমাকে স্লেজ, ব্যবহার করিতে হয়। কাইআখট হইতে বৈকাল হ্রদের উপর দিয়া আমাকে ব্লুেজ করিয়া ভ্রমণ করিতে হইয়াছিল । কিন্তু গোবি মরুভূমির উপর দিয়া ভ্ৰমণ আমার চিরকাল মনে থাকিবে । সে এক অদ্ভুত গাড়ী। গাড়ীখানি ছোট-গাড়ীর সমূনেই ঘোড়া নাই ;–একটা লম্বা ডাওl, তাহাতে আড়াআড়িভাবে আর-একটা ডাও, এই ডাণ্ডাকে পায়ের উপর রাখিয়া দুইজন সওয়ার ঘোড়ার লাগাম ধরে—সামনে আরো দুইজন ঘোড়সওয়ার, তাহদের কোমরে নরম দড়ি বাধ- সেই দড়ি আগের ঘোড়সওয়ারদের শরীরে জড়ান থাকে। (ছবি দেখুন।) ১।২- মাইল অন্তর ঘোড়া বদল হয় । একদল ঘোড় ক্লাস্ত হইলে -- পাশ হইতে অস্ত একদল সওয়ার আসিয়া গাড়ীর োয়াল পায়ের উপর তুলিয়া লয়। এই কার্য্যে ইহার দক্ষ কেমন করিয়া যে এক নিমেষে এইসব করে তাহা বুঝা যায় না। এসিয়াবাসীর পথঘাট নির্মাণ করিতে জানে না, কারণ ভগবান যখন মরুভূমির জন্ত উট দিয়াছেন—পাহাড়পৰ্ব্বতের জন্ত ঘোড়া দিয়াছেন তখন আর ভাল রাস্তা করিবার দরকার কি ? (লেখক ভারতবর্ষ এবং এশিয়ার অস্বাস্ত বহু কালের সভ্যদেশ সম্বন্ধে এ কথা বোধ হয় বলিতেছেন না । ) আমি একবার একদল পথিকের সহিত ছদ্মবেশে তিব্বত প্রদেশে যাত্রা করিয়াছিলাম । জনপ্রাণীহীন পৰ্ব্বতের উপর দিয়া আমাদের পথ। মাঝে মাঝে বরফ জমিয়া আছে। রাস্তাও অতি বিপদজনক এবং সংকীর্ণ। কিছুদূর গিয়া আমি দুইজন মোঙ্গল অমুচরের সহিত দল ত্যাগ করিলাম। আমাদের সঙ্গে পাচটি খচ্চর, চারটি ঘোড়া এবং দুইটি কুকুর ছিল । দ্বিতীয় দিনে আমরা দুইটি হ্রদের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে আডড গাড়িলাম। এইখানে আমার ভেক এবং বেশ পুর্ণভাবে বদল করিতে হইল। রাত্রে হঠাৎ ভয়ানক ঝড় উঠিল । আমরা উবুর মধ্যে কোনরকমে পড়িয়া থাকিলাম, হঠাৎ আমাদের পশুরক্ষক আসিয়া বলিল, “ডাকাত