পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○な* কেন কষ্ট করতে হবে ! আহা দায়ে পড়েই ত সতীনের কাটার উপর তোকে দিতে হয়েছে, নইলে জামাই কি আর তোর যুগ্যি হ’য়েছেন," বলিয়া দীর্ঘ-নিশ্বাস ত্যাগ করিতেন, কর্তা যে-সকল ভাল ভাল সম্বন্ধ করিয়াছিলেন তাহার ফর্দ আওড়াইতেন। মণিলালও অনেক দুঃখে বাড়ী-আসা বন্ধ করিয়াছিল। বাড়ী আসিলেই মোক্ষদ। ঠাকুরাণী প্রভাবতীর পরিত্যক্ত গহনাকাপড়গুলার দাবী করিয়া প্রাণ অস্থির করিয়া তুলিতেন, এবং সেই স্বত্রে যে-সকল যুক্তির অবতারণ। করিতেন তাহা কাটা ঘায়ে সনের ছিটার ন্যায় জল৷ দিত । খোকা এখন মানুষের দিকে চাহিয়৷ হাসিতে শিথিয়াছে, "র্হোঙ্কি, হেঁীক্কি” করিতে শিথিয়াছে। মণিলালের প্রাণ উদ্বেলিত হইয় উঠে, প্রভাবতীর মত মুখের ভাব, তাহারই মত মুখের চাহনী,– বুক ফাটিয়া তাহার উদ্দেশেই চোখের জল গড়াইয় পড়ে। ছেলে বুকে চাপিয়া ধরিলে বুক জুড়ায় ত বটে। একথা সে যখন বলিত তখন ভাল: বিশ্বাস হইত না ;—এখন সে যদি থাকিত তাহা হইলে—; আবার বুঝি বুক ভাসিয়া যায়। মণিলালের বিশ্বাস হইয়াছে, থোকার প্রতি সরোজের স্নেহট অকৃত্রিমই বটে । তাই শাশুড়ীর উপর যখন বিরক্তি বাড়িতে লাগিল, বাড়ী আসাও তখন বন্ধ হইয়া আসিল। ব্ৰজগোপালু আর আগের মত খবর লইতে পারে না । মোক্ষদা অসন্তুষ্ট হন । পুরুষ মানুষের মেয়ে মানুষের বাড়ী যখন তখন যাতয়তি করা ভাল দেখায় না। ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ আর কত সয় ? সরোজ বলিল—“ম, তুমি অন্ততঃ ব্ৰজ-বাবুর বাড়ী খবর দাও । ছেলের আমার চেহারা দেখে’ বুক যে শুকিয়ে যাচ্ছে ।” মোক্ষদ। বলিলেন—“দেখ, সরোজ, তোর বড় বাড়াবাড়ি। আমি কি চুপ ক'রে বসে অাছি ; পীরতলার ফকিরের ঔষধটা ছুদিন দেখা হ’ল, আজ না হয় রামপদ সাধুর জলপড়াটা সন্ধ্যার সময় খেয়ে আসবে। রক্ত আমাশয়ে ডাক্তার বদ্যি কি ক’রবে ? ব্ৰজগোপালহৈ প্রবাসী-পৌষ, ১৩ge SAA MMMMeMAMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAMA SeMAAA AAAA SAAAAAAASAMJSJSJASMMAAMMAMAM MAASAeMeMMMA AMMAMMeMMM MeMAAMAMAMJS [ २७= छन, २ग्न अंत میسنج চৈ ক’রে কতকগুলো ডাক্তার বদ্যি জড়ো করা ছাড়া কি হাত দিয়ে ঠেলে’ রোগ সারিয়ে দেবে ?” সরোজের প্রাণ ছটফট করে। মা কিছুতেই কথা শোনে না। মণিলালের ঠিকানাও জানা নাই, আর শিরোনাম লিখিবর কৌশলও ত জানা নাই। ওদিকে ছেলে যেন দিন দিন কালীর মুৰ্ত্তি হইয়া যাইতেছে! শেষে একদিন সরোজ মনের ক্ষোভে বলিল—“ম আমি মাথা খুঁড়ে মর্ব যদি তুমি ব্ৰজ-বাবুকে ন ডেকে আনবে ।” মা আপন মনে বকিতে বকিতে ব্ৰজ-বাবুকে ডাকিতে গেলেন। “সতীনের কাটার উপর এত দরদ ! মেয়ের অনাছিষ্টি ।” ব্ৰজগোপাল হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ডাকিল, এবং তাহার মুখে অবস্থা শুনিয়া মণিলালকে টেলিগ্রাফ করিল। জোসেফ আজ কিছুতেই থোকার ঘর হইতে বাহির হইতেছে না। মোক্ষদা পুনরায় স্বান করা স্বীকার করিয়া তাহাকে প্রাণপণে ঠেঙাইতেছেন, সে বসিয়া বসিয়া কেউ কেঁউ করিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতেছে কিন্তু একপাও নড়িতেছে না। দুম্ দাম্ শব্দে পিঠের উপর লাঠি পড়িতেছে, পিঠ বুঝি ভাঙিল । সরোজ রাগিয়া কাদিয়া বলিল—“দোহাই মা, মরার ওপর আর খাড়ার ঘা দিও না, ওকে ঘরে থাকৃতে দাও, গোপাল আমার চমকে উঠচে দেখেও কি তোমার দয়া হচ্ছে না ? তুমি কি মানুষ না পাষাণ ?” ব্ৰজগোপাল স্ত্রীকে লইয়া আসিয়া সরোজের কাছে বসাইয়। দিল। মণিলাল আসিয়া পৌছিতে পারিল না। জোসেফ শবদেহের পিছু পিছু গঙ্গার ধীরে চলিয়া গেল। মোটে সাতমাসের শিশু, গঙ্গার বালির মধ্যে তাহাকে প্রোথিত করিয়া ব্ৰজগোপাল ফিরিয়া আসিল । রাত্রে মণিলাল বাড়ী আসিল । জোসেফ কিন্তু আদর জানাইতে কাছে আসিল না। একবার দুয়ারের কাছে দাড়াইয়াই সরিয়া পড়িল । ব্ৰজগোপাল ছুটিয়া দেখা করিতে আসিয়াছে। মণিলাল কাষ্ঠপুত্তলিকার স্থায় থোকার পরিত্যক্ত দোলাfটর কাছে পা ঝলাইয়া বসিয়া আছে । সে সহজভাবে কথা