পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের মাপকাঠির ব্যবহার ও স্বাচ্ছন্দ্যবৃদ্ধির কয়েকটি উপায় ৩৫৫ টাকার ব্যবসায় হ’তে পারে। এর জন্য ১০০ লক্ষ টাকা দরকার হবে । অর্থাৎ সমাজে যদি ১০০ লক্ষ টাকা সত্যই থাকে, তা হ’লে সে পরিমাণ ব্যবসায়ের জন্য সে টাকাকে মাত্র একবার টাকার কাজ করতে হবে । অর্থাৎ সেই ১০০ লক্ষ টাকা মাত্র একবার কেনা-বেচার সুত্রে হাত বদলাবে। কিন্তু প্রত্যেক টাকাই ( আগেই বলেছি, টাকা অর্থে ভারতে প্রচলিত রৌপ্যখণ্ড মাত্র নয়, তা মনে রাখা দরকার। যা-কিছু টাকার কাজ করে, তাই এক্ষেত্রে টাকা । ) বৎসরে বহুবার হাত বদলায়। এবং এক টাকা যদি দশবার হাত বদলায়, ত৷ হলে সেই টাকাটা দশ টাকার কাজ করলে ধরতে হবে । অর্থাৎ বাৎসরিক ১০০ লক্ষ টাকা পরিমাণ ব্যবসায় চালাবার জন্য ১০০ লক্ষ টাকা বছরে একবার হাত বদলালেও চলে, আবার দশ লক্ষ টাকা বছরে দশ বার হাত বদলালেও চলে । সুতরাং কোন বছর সমাজে কত টাকা আছে, তা ঠিক করতে হ’লে শুধু টাকার সংখ্যাটা জানলেই হয় না; তার ভ্রমণের বেগ, অর্থাৎ তা বৎসরে কবার হাত বদলায়, তা ও জানতে হয়। টাকা বছরে দশবার হাত বদলালে তার বাৎসরিক ভ্রমণের বেগ দশ বলতে হবে । তা হ’লে দেখা যাচ্ছে, যে, টাকার সংখ্যাকে তার বাৎসবিক ভ্রমণের বেগ দিয়ে গুণ কলুলে ব্যবসাতে খাটান টাকার বাৎসরিক পরিমাণ পাওয়া যায়। টাকার বদলে সব জিনিস পাওয়া যায়। বদলে সব কিছু পাওয়া যেত, তা হ’লে কোন কারণে, চালের পরিমাণ বেড়ে গেলে সব কিছুর বদলে বেশী বেশী মাত্রায় চাল পাওয়া যেত । সেইরকম, কোন কারণে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেলে, সব কিছুর জন্যেই বেশী টাকা পাওয়৷ যাবে--অর্থাৎ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাবে বা টাকার কেম্বার ক্ষমতা কমে যাবে। কিন্তু যে-সব জিনিস টাকার বদলে পাওয়া যায়, তার পরিমাণও সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেলে সেরকম হবে না। অর্থাৎ টাকার পরিমাণ শতকরা ২৫ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রীত-বিক্রীত প্রব্যের পরিমাণ শতকরা ২৫ বেড়ে গেলে জিনিসের দাম যদি চালের বাড়বে না এবং টাকার কেনবার ক্ষমতা সমানই থাকৃবে। টাকার কেনবার ক্ষমতা কি, তা ঠিক করতে হলে টাকার পরিমাণকে ক্রীত-বিক্রীত দ্রব্যের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করতে হবে, অর্থাৎ টাকার সংখ্যা × টাকার লমণের বেগ -- ক্রীতবিক্রীত দ্রব্যের পরিমাণ- টাকার কিনবার ক্ষমতা। টাকাব সংখ্যা যদি হয় ট ও তার ভ্রমণের বেগ ট ভ্র এবং ক্রীতবিক্রীত দ্রব্যের পরিমাণকে যদি ব বল। মায় তা হ’লে টাকাব কিন্‌বার ক্ষমতাকে ট × ট ; ব "44 সমান বল চলে | মে, টাকার কেনবার ক্ষমতার পরিবর্তন সাধারণত: তিন দিক দিয়ে হ'তে পারে । পরিমাণ পরিবত্তিত তা হলে দেখা যাচ্ছে, এক, এীতবিক্রীত দ্রবোর হ’য়ে গিয়ে ( অনাবৃষ্টি, বস্তা, পশুমড়ক, মহামারী, জাহাজ ডুবি, যুদ্ধ, ব্যাঙ্ক ফেল, রাষ্ট্রবিপ্লব ইত্যাদি প্রাকৃতিক ব| কহিম কোনো কারণে—ভোগ্য উৎপাদন কমে যেতে পারে। পরস্পরের উপর বিশ্বাস কমে গেলে অথবা জিনিসের দাম কোনো কারণে খুব অস্থির হয়ে উঠলে ভোগ্য কেন বেচা কমে’ যেতে পারে ; আবার নানা প্রকার প্রাকৃতিক ব| কারণে ক্রীতবিক্রীত দ্রব্যের পরিমাণ বেড়ে ও মেতে পারে । ) দ্বিতীয়ত: টাকার সংখ্যা পরিবদ্ভিত হলে টাকার কেনবার ক্ষমত পরিবৰ্ত্তিত হ'তে পারে । ( যথা বেশী বা কম টাকা টাকশাল ব। ছাপাখান থেকে বেরতে পারে, চেক ও হুণ্ডির ক্লন্ত্রিম ব্যবহার কম বেশী হ’তে পারে, ইত্যাদি । ) তৃতীয়তঃ, টাকার ভ্রমণবেগ বা গতিশীলত। বেড়ে' বা কমে যেতে পারে। ( যথা লোকের অভ্যাস অল্প অল্প করে বদলে এমন হতে পারে, সে, টাকা পা ওয়া মাত্র গরচ করাই রীতি হয়ে দাড়াবে ; অথবা মাসাস্তে দাম দেওয়ার নিয়ম উঠে গিয়ে সাপ্তাহিক দাম দেওয়ার নিয়ম সুরু হ’তে পারে । ব্যাঙ্ক, ব। অন্ত ধার দেবার জায়গাগুলি আরও সহজে ও কম সুদে পীর দিতে পারে । পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস বাড়লে ইহা হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে । এ সবের উন্ট রকমও হ’তে পারে । ) এখম ক্রীত বিক্রীত দ্রব্যের পরিমাণ, টাকার সংখ্যা