পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○Qbア SAAAAAAAS AAAAAMAMA MAAA AAAA SAAAAA AAMM AM MAAA AAAA SAAAA S SAAAS AAAA AAAA MMAMAAA AAAA AAAAA লীগত ও লাগে, দেখে স্থির করতে হবে, মজুরের পক্ষে টাকার কেনবার ক্ষমতা বেড়েছে কি কমেছে। ঘড়ি, ঘোড়া, মোটর-কার, বড় বাড়ীর ভাড়া, বহুমূল্য খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদির দাম বদলালে তার একটা সাধারণভাবে টাকার কেনবার ক্ষমতার দিক থেকে মানে আছে ; কিন্তু বিশেষ করে মজুর বা আর-কোনো দলভুক্ত ব্যক্তিদের উপার্জনের টাকার কেনবার ক্ষমতা বদলেছে কি না জাম্তে হ’লে, ভারণ কি কেনে এবং কি পরিমাণে কেনে তা আগে জানতে হবে। স্বচক-সংখ্যা জানা থাকৃলে সামাজিক আয় মাপ বার সুবিধা হয় বলা হয়েছে। অর্থাৎ মাপকাঠি কিভাবে নিজে বদলাচ্ছে জানা থাকূলে তা দিয়ে মাপা সম্ভব হয়। আজি-কাল নানা জায়গায় যেসকল সূচক-সংখ্যা প্রকাশিত হয়, তাতে সব জায়গাতেই একটা আরম্ভ বৎসর বা সময় ধরে নেওয়া হয় , অর্থাৎ অমুক বৎসর যদি ১০০ ছিল তা হ’লে পরবর্তী অন্ত অন্ত বৎসরে ১ - ০ + ক অথবা ১০০—ক হয়েছে। এইভাবেই টাকার কিনবার ক্ষমতা জ্ঞাপন করা হয়। শতকরা কি হারে টাকার কিনবার ক্ষমতা বদলেছে জানা থাকূলে টাকায় প্রকাশিত সামাজিক আয়ের আসল মূল্য জানা আর শক্ত থাকে না । কেবল একটা গোলমাল আছে, সেটা বিশেষ করে আলোচনা করা দরকার । প্রত্যেক বছরই মৃতন নূতন ভোগ্যের আবিষ্কার হয় এবং পুরাতন ভোগ্যেব নাম না বদলালেও তার স্বভাব অনেকস্থলেই এত বদলে যায় যে মাঝে অনেক বছরের ব্যবধান পড়লে, কোন দুই তালিকাতে নামে একই ভোগ্যসমষ্টি থাকূলে ও কাজে তা বিভিন্ন জিনিস বুঝায়। প্রথম ক্ষেত্রে পুরাতন তালিকার যতই গুণ থাকুক ন৷ কেন, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তা মূল্যহীন ও অকেজো হ’য়ে দাড়ায় , যেমন, যদি খনির কয়লার যুগের আগে কোনো তালিকায় সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব কাঠ-কয়লাকে দেওয়া হ’য়ে থাকে এবং যদি পরে ( কয়লার খনির কয়লা পাওয়ার পরে ) কাঠ-কয়লায় দাম ১০ • গুণ বেড়ে গিয়ে থাকে তা হ’লে তার ফলে স্থচক-সংখ্যায় হয়ত এই দেখা যাবে যে টাকার কেনবার ক্ষমতা খুবই কমে গিয়েছে ; অথচ হয়ত নূতন করে তালিকা করলে তাতে কাঠকয়লা জায়গাই পাবে না প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৬ . ختم می خاتمی ه ۶۳یبی حجمی [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড صمیمیت کمیسیه-م AASAASAASAASAAASMSAMAAA AAAAS AAAAAS এবং খনিজ কয়লা সেই স্থান অধিকার করার ফলে টাকার কেনবার ক্ষমতাও অত কম মনে হবে না। এক্ষেত্রে এরকম তুলনার দামই নেই। এরকম ক্ষেত্রে প্রথমে প্রথম বছরের সূচক-সংখ্যার সঙ্গে কাছাকাছি কোনো বছরের স্বচক-সংখ্যার তুলনা করতে হয়, তার পর এই দ্বিতীয় বছরের একটা সুচক-সংখ্যার সঙ্গে তার একটা কাছাকাছি কোনো বছরের স্বচক-সংখ্যার সম্বন্ধ ঠিক করতে হয়। অতঃপর এইভাবে ক্রমে এগিয়ে চলে যতক্ষণ না শেষ বছরের সঙ্গে প্রথম বছরের সম্বন্ধ নির্ণয় হ’য়ে যায় ততক্ষণ ক্রমশ: এগিয়ে চলতে হয় । যেমন ১৮৮০ খৃষ্টাব্দের তালিকার মোট পরিমাণকে ১০০ ধরে তার সঙ্গে ১৮৮৫ খৃঃ অঃ তুলনা করে যদি দেখা যায় যে ১২৫ হয়, তা হ’লে ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দের একটা তালিকা করে? তার মোট পরিমাণকে ১০০ ধরে আবার তার সঙ্গে ১৮৯০ এর তালিকার তুলনা করতে হয় । যদি দেখা যায় এতে ১১০ হ’ল তা হ'লে ১৮৯০ এর সংখ্যা ১৮৮০র সংখ্যার ১০০ : ১১০

১২৫
ক - ১১ × ১২৫ – ১৩৭৫ । এখন ১৮৯০ এর একটা

3 а в তালিকার মোট পরিমাণকে ১০০ সংখ্যার সঙ্গে তুলনায় যদি তার দাম ৮০ হয়, তা হ’লে ১৮৮০ তুলনায় ১৮৯৫এর সংখ্যার দাম হবে ১০০ : ৮০ : ১৩৭৫ : ক ... ক = ১ + ১৩৭৫ = ১১০ । এইরকম 3 е е ধরে ১৮৯৫এর ভাবে শেষ অবধি হয়ত দেখা যাবে যে ১৮৮০র তুলনায় ১৯২০তে টাকার কিনবার ক্ষমতা দাড়িয়েছে ১০০ : ১৮০ অর্থাৎ শতকরা ৮০ কম । ( ১৮৮০ তে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত ১৯২০তে ত৷ কিন্‌তে ১৮০ টাকা লাগে অর্থাৎ টাকার কেম্বার ক্ষমতা সেই অনুপাতে কমেছে । ) এইরকম ধাপে-ধাপে এগোবার মানে আগে হঠাৎ লাফ দেওয়ার যে-সব দোষ দেখান হয়েছে সেগুলি দূর করার চেষ্টা । ৫ বছর করে” ধাপ না নিয়ে বছর বছর নিলে আরো ভাল । প্রত্যেক বছর নূতন করে তালিকা করাতে ভুলগুলি গোড়াতেই ছেটে দেওয়া সম্ভব হয় ; অনেক বছর ধরে জুমে’ জমে’ তারা মিথ্যায় আকার নিতে আর পারবে না। আমাদের উদাহরণের কাঠকয়লা অস্তে আস্তে প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব হারিয়ে শেষে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে। এইভাবে তুলনা