পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

goes' _oSS இ 峰。缚※ `ವತ್ತತ್ತ್ವಜ್ಞ”ಜಿ * - : - تم سحب متر পথের সাথী—ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী । শিশিব পাবলিশিং হাউস, কলেজ ষ্ট্রট্‌ মার্কেট, কলিকাতা । ২৬৮ পৃষ্ঠ। রেশমী কাপড়ে বঁ,ধ । দুই টাকা । যতীন্দ্রমোহন বিখ্যাত কবি । এবার তিনি প্রবৃত্ত হইয়াছেন । উপাখ্যানটি সংক্ষেপে এই— ললিত সপরিবাবে ষ্টিমারের যাত্রী । ষ্টিমার চড়ায় অtটুকাইয়। অচল । ললিত অসহায়-প্রকৃতির লোক, তার স্ত্রী উমাতারা ততোধিক । ললিত শিশুপুত্রের দুধের জন্য ব্যস্ত হইয়৷ ষ্টিমারে ঘুরিতে ঘুরিতে দেখিল একটি ছেলে চ{-সত্ৰ খুলিয়া চ। খয়রাত করিতেছে । উভয়ে আলাপ এবং অভয়ের অভয় দান । ললিতের সঙ্গে তাহাব ভাগিনেয়ী মল্লিকা ছিল ; মল্লিকা ও অভয়ে মিলিয়া” রন্ধন উপলক্ষ্যে চিত্তবন্ধন। অভয় কৰ্ম্মী ছেলে ; সে বেশ সপ্রতিম্ভ চটপটে । কলিকাতায় ফিরিয়াই অভয় দুর্ভিক্ষ-সাহায্যের ব্যবস্থা করিতে মফঃস্বলে গেল । সেখানে অভয়ের সঙ্গী অতুল একটি নিরাশ্রয় মেয়েকে কুড়াইয়া আনিল, তাহার নাম রাধীরাণী । তাহারা তিনজনে দুর্ভিক্ষসাহায্য করিয়া বেড়াইতে লাগিল । এইরূপ একত্র বাসের ঘনিষ্ঠতার ফল হইল— রাধীরাণী ভালোবাসিল অভয়কে এবং অতুল ভালোবাসিল রাধীরাণীকে—চিরন্তন ত্রিভুজের জটিলতা । অভয় একটু কাজপাগল উদাসীন প্রকৃতির লোক, এবং একটু আত্মস্থরিও বটে। মল্লিক। যে তাহীকে ভালোবাসে তাহ! জানিয়াও ত{হার উহাকে পাইবাব জষ্ঠ ব্যস্ততা ব্যগ্রত নাই । এদিকে জগদীশ নামে একটি যুবক মল্লিককে পাইবার জন্ত সাধু অসাধু কোনো চেষ্টাই বাদ দিতেছে ন । অভয় নিরাশ্রয় রাধীরাণীকে মল্লিকাদেব বাড়ীতে আনিয়াই রাখিয়াছিল ; তাহার প্রতি হিংসার দুৰ্ব্বলতার এক মুহূৰ্ত্তে মল্লিকা জগদীশকে বিবাহ করিতে স্বীকার করিল । কিন্তু যখন জগদীশের সঙ্গে তাহার বিবাহ স্থির হইয় গেল তখন মল্লিকা নিজের ভুল বুঝিয় নিজে উপযাচিক হইয়া অভয়কে পত্র লিখিয়া তাহকে রক্ষা করিতে অনুরোধ জনাইল । অভয় তখন বাড়ীতে ; পত্র পাইয়াও তার ব্যস্ততা নাই ; সে দুর্ভিক্ষসাহায্যের কাজে ব্যস্ত । তার পর অভয়ের মাতুবিয়োগ হইল। যখন সে কলিকাতায় ফিরিল তখন মল্লিকা মনোভঙ্গে মৃত্যুশয্যায় ; অভয়ের অবহেলা হইতে যম তাহাকে রক্ষা করিতে অtসিয়ছেন। অভয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পব মল্লিকার মৃত্যু হইল। তখন শোকান্ত অভয় মনে করিল—যে ভুল সে একবার করিয়াছে, তেমন ভুল আর দে করিবে না-হুকুম করিয়া রাধীরাণীর সহিত অতুলের বিবাহ দিয়া দিল । অভয়ের হুকুম বলিয। রাধীরাণী অতুলকে বিবাহ করিতে আপত্তি করিল না ; এবং অতুল ত রধারাণীকে চায় বলিয়াই রাধীরাণী যে অভয়কে ভালোবাসে তাহ। জানিয়াও জানাইল না। ইহাদের বিবাহের পর যখন অভয় অতুলের মুখ হইতেই জানিল যে রাধারণী তাহাকেই ভালোবাসে, তখন তার অনুতাপের অস্ত রহিল না । এই ব্যাপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ন৷ হইলেও পুস্তকের মধ্যেকার একটি প্রধান চরিত্র বিধু-সেও ললিতের विश्वसृी ভাগিনেয়ী. বড় wతగి :יכולים בהזב השפל שה উপগুiস রচনায - جرa يسمعه مسيس مجمود 房「※ ്ക്*** مع مع - & ...' & s -- で శాశ్వన్స్ట్ర ر۔ sx&م ** *** *Issor so I অভয় যখন সৰ্ব্বহার হইয়া পথে বাহির হইল, তখন তাঁর পথের সাণী হইল এই দিদি বিধু । বইপানি প্রথম-রচনা হিসাবে মন হয় নাই। প্লট ভালো, চরিত্রগুলির পরিস্ফুটনের সস্তাবনীয়ত ছিল ; কিন্তু চরিত্রগুলি পরিপূর্ণভাবে ফুটিয় উঠে নাই। বর্ণনায় বৈচিত্র্যের অভাবে রচনা একঘেয়ে লাগে, পডিবীর আগ্রহ উদ্রিস্ত হয় না, গল্পের নিজের টানে পড়িয়t যাওয়া হয় না, জোর করিয়া পড়িতে হয় । কবির উপস্কাসে প্রকৃতি ও হাসি একরকম বাদ পড়িয়া গিয়াছে —এইটাই বেশী আশ্চৰ্য্য ও অশোভন ঠেকে । জগতে শুধু বয়স্ক মানুষই নাই—শিশু আছে, পশুপক্ষী আছে, প্রকৃতির সৌন্দর্য্যলীলা আছে । ললিতের খোকা অtrছ, কিন্তু সে রঙ্গক্ষেত্রের একজন অভিনেতা নয়। জগৎট নিরবচ্ছিন্ন গম্ভীরমুখ লোকদের হিতসাধনমণ্ডলী যে নয়, কবি-ঔপন্যাসিক সে পরিচয় দিতে পারেন নাই । মাধবী-স্ত্রী যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত। ঐযুক্ত গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এও সন্স , কর্ণওয়ালিস টুটু, কলিকাতা । ২২৫ পৃষ্ঠা। সাধারণ সংস্করণ দেড় টাকা, রাজসংস্করণ দুই টাকা । এথানি ঐতিহাসিকের লেখা সামাজিক উপস্কাস-সোনার পাথরবাটি। মাধবী ও প্রবেtধ উপন্যাসের নায়ক নায়িক । মাধবী স্ত্রীস্বাধীনতার চরম আদর্শ পালনে বদ্ধপরিকর-—যাহাঁকে সে ভালোবাসে ও যে তাহীকে ভালোবাসে এই দুজনে স্বাধীন সৰ্ব্বনিরপেক্ষতাৰে মিলিত হইবে, স্ত্রী বলিয়াই সে সমাজ বা প্রিয়জনের অধীনতা স্বীকার কোনো রকমেই করিবে না ; তাহার দয়িত বল্লভ যে লোক, তাহার সহিত সে কেবলমাত্র প্রেম ও প্রণয়ের যোগেই মিলিত হইবে ও থাকিবে, কৃত্রিম সামাজিক বিধি বিবাহ-অনুষ্ঠানের দ্বারা নয় ; দরিতকে সে স্বামী বলিয়া স্বীকার করিবে না ; সে তার পিতৃকুলের পদবী বদলাইয়। স্বামীর পদবী গ্রহণ করিবে না ; তাহার ঘর করিতে যাইবে না ; সে নিজে স্বতন্ত্র বাড়ীতে থাকিয়া নিজে উপাৰ্জ্জন করিয়া নিজের খরচ চলাইবে ; সস্তান হইলে তাহীদের পালনের ব্যয় ও দায়িত্ব উভয়ে সমান ভাগ করিয়া লইবে । এই অসামাজিক আদর্শ অনুসারে মিলিত হইল মাধবী ও প্রবোধ । তার ফলে প্রবেধ ধনী পিতার ত্যাজ্যপুত্র ও সমাজে নিন্দিত হইল । মাধবীর সস্তান-সম্ভাবন হইলে সে সমাজে ধিক্‌কৃত হইতে লাগিল। তখন তাহারা দুজনে বিদেশে গেল। সেখামে হঠাৎ প্রবেtধ মারা গেল এবং মাধবীর জীবনসংগ্রাম আরম্ভ হইল । সে কোথাও চাকরী পায় না, সম্মান পায় না, সে খবরের কাগজে লিখিয় কিঞ্চিৎ উপার্জন করে । এই সংগ্রামে তার রূপ যৌবন স্বাস্থ্য সব গেল। যে ডাক্তার বিদেশে প্রবোধের চিকিৎসা করিয়াছিল সে মাধবীকে বিবাহ করিতে উৎসক হইল, কিন্তু মাধবী তাহীকে প্রত্যাখ্যান করিল। যে মেয়ে এখন মাধবীর একমাত্র অবলম্বন, সেও সমাজে অপমানিত হওয়াতে মাতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইরা বৃদ্ধ দাদামশায়ের কাছে চলিয় গেল । এইরূপে সৰ্ব্বশূন্ত মাধবীর জীবনের অবসান হইল, তথাপি সে স্বীকার করিল না ষে সে কিছু অন্যায় করিয়াছে। সে নিজের অাদর্শের কাছে