পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موسولان স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য নানাপ্রকার আইন করিয়াছেন । তাহার আনুষঙ্গিক স্বরূপ জাৰ্ম্মানির বিভিন্ন জনপদে হাসপাতাল, আরোগ্যশালা ইত্যাদি গড়িয়া উঠিয়াছে । সরকারী অথবা বে-সরকারী বীমা-সমিতির লোকজনেরা বিনা পয়সায় অথবা কম পয়সায় এই সমুদয় আরোগ্যশালায় অতিথি হইতে পারে। জীমেন্স-শুকোর্ট ইত্যাদি জাৰ্ম্মানির বড় বড় শিল্পকারখানার অধীনেও এই ধরণের আরোগ্যশালা পরিচালিত হয়। কারখানার মজুরদিগকে স্বাস্থ্যের জন্য ঐ স্থানে পাঠানো হইয়া থাকে। অধিকন্তু একমাত্র ব্যবসায়ের জন্যও বহু আরোগ্যশালা জাৰ্ম্মানির সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এইগুলা হোটেল বিশেষ । তবে চিকিৎসকের অধীনে পরিচালিত হয় বলিয়া রোগীরাও এইখানে বসবাস করিলে নিজ নিজ চিকিৎসার ব্যবস্থা করিতে পারে। অধিকন্তু হাসপাতালের আসবাব যন্ত্রপাতি সবই এই-সকল ছোটেলে যথারীতি রক্ষিত হয় । কাজেই বিনা উদ্বেগে রোগীর কয়েক মাস কাটাইতে পfরে। ( ७ ) fট্যুরিঙ্গেন এবং স্যাক্সনি প্রদেশদ্বয়ের পাহাড়ী প্রবাস-পৌষ, ১৩৩১ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড حجتیه تخمیر چخم معینی حمایی تحصمیمیر جیمتخصصیبیسیحییم. جمعیتی বন জাৰ্ম্মাণ সমাজে স্বপ্রসিদ্ধ । এই-সকল অঞ্চলে আরোগ্যশালা কাজেই অনেক । অধিকন্তু জাৰ্ম্মানির নানা অঞ্চলের জল নানা প্রকার রোগের ঔষধ বলিয়া পরিগণিত। এই জলমাহীষ্ম্যে বহুসংখ্যক পল্লী স্বাস্থ্যনিকেতনে পরিণত হইয়াছে । এই ধরণের জনপদকে “বাড" বা স্নানাগার বলে। দূর বিদেশের লোকও— কেহ পেটের অমুখের জন্য, কেহ পায়ের গিঠের ব্যথার জন্ত—এই “বাডে' স্বান করিতে আসে । মেকলেনবুর্গ, প্রদেশের হ্রদ ও কাননগুলা সাহিত্যে স্বপ্রসিদ্ধ। ফণ্টানে নামক জাৰ্ম্মানির একজন আধুনিক গদ্যলেখকের রচনায় এই জনপদের প্রকৃতিসম্পদ চিরস্থায়ী হইয়া রহিয়াছে । বিলাতের “লেক্‌ ডিষ্ট্রিক্ট" যেরূপ, মেকৃলেনবুর্গের ফিাষ্টেনব্যর্গ অঞ্চলও সেইরূপ । এই অঞ্চলে কয়েকটা সরকারী বেসরকারী আরোগ্যশালা আছে । অধিকন্তু ব্যবসায়ী-চিকিৎসকের অধীনেও “সানাটোরিয়াম’ কায়েম করা হইয়াছে। পূৰ্ব্বে যে বাড়ীটা “শ্লস’ বা রাজপ্রাসাদ ছিল সেইখানে এই আরোগ্যশালা চলিতেছে। এখানে বসবাস করিয়া বনে হরিণ শিকার করা চলে, হ্রদে মাছধরাও সম্ভব । তাহা ছাড়া, পাইনের হাওয়া ত সৰ্ব্বদাই বহিতেছে। শ্ৰী বিনয়কুমার সরকার বেনে-জল আঠারো মরুভূমির বুকের উপরে পরীর স্বপনের মতন অপূৰ্ব্ব এক তপোবন—ফলে-ফুলে শুদামতলায় মনোরম ৷ কণারকের কালো দেউলের ভাঙা ললাটের উপরে সুয্যের প্রথম হাসির আলপনা ফুটে উঠেছে । মানুষ এই স্বৰ্য্য-মন্দিরকে আজ ত্যাগ ক’রে গেছে বটে, দেবতা কিন্তু এখনো তার প্রাচীন আশ্রমকে ভুলতে পারেন-নি, তাই এখনো প্রতিদিন তিনি সারাবেল। এই মন্দিরের দিকে স্থির ও নিম্পলক নেত্রে তাকিয়ে থাকেন এবং যে বিগ্রহশূন্ত শিল্প বিচিত্র রত্ববেদীর তলায় আর একটি ভক্তের মাথাও নত হয় না এবং একটি পুজার ফুলও নিবেদিত হয় না, আজও তার উপরে প্রত্যহ তিনি নিজের আলোক-হস্তের পবিত্র স্পর্শ সস্নেহে বুলিয়ে দিয়ে যান ! মানুষ ভুলেছে, কিন্তু বনের পার্থী ভোলে-নি ! কণারকের বিজন স্যামলতা তাদের স্তবগানে স্বমধুর হয়ে উঠেছে।......ডাক-বাংলোর আঙিনায় আনন্দ-বাবু একখানা ইজি-চেয়ারের উপরে চুপ ক'রে বসে আছেন এবং তার সামনে মরুভূমির বিশুষ্ক তৃষা সাগরের অনন্ত নীলিমার দিকে নিঃশেষে আত্মসমর্পণ করেছে।