পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి R মি: চ্যাটে গম্ভীর মুখে বললেন, “দেখুন মিঃ সেন, অন্ধবিশ্বাস কোথাও ভালো নয়। আগে সব কথা শুকুন, তার পর অবিশ্বাস করতে হয় করবেন!” বিনয়-বাৰু সহাস্য মুখেই বললেন, “আচ্ছা, আমি শুনছি। দেখা যাক, এই দারুণ কৌতুকটা আপনার কতটা চরমে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। নিবারণ-বাবু, রতন যে ডাকাত, এটা আপনি কি ক’রে আবিষ্কার করলেন ?” নিবারণ বললে, “আপনি ঠাট্ট করছেন? করুন, আমি কিন্তু সত্য কথাই বলছি—খালি তাই নয়, আমার কথা যে সত্য, প্রকাশু আদালতে তা প্রমাণ হয়ে গেছে।” বিনয়-বাৰু সচমকে বললেন, “প্রকাশ্ব আদালতে ? আপনার কথার অর্থ কি ?” —“কলকাতায় রতনকে ডাকাতী মামলার আসামী রূপে আদালতে গিয়ে দাড়াতে হয়েছিল ।” বিনয়-বাৰু বিস্ময়ে প্রায় হতজ্ঞান হয়ে নিবারণের মুখের পানে নিৰ্ব্বাক ভাবে তাকিয়ে রইলেন । নিবারণ র্তার ভাবগতিক দেখে তৃতীয়বার দস্তবিকাশ করে বললে, “সে আজ প্রায় দু-বছরের আগেকার কথা । কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ডাকাতী করে আরো কতকগুলো ছোকৃরার সঙ্গে রতন ধরা পড়ে। আজকাল রাজনৈতিক ডাকাতির ফ্যাসান উঠেছে জানেন তো, এও তাই।”— : বিনয়-বাৰুর মনের উপরে নিবারণের কথাগুলো কিরকম কাজ করেছে তা আন্দাজ করবার জন্যে মি: চ্যাটে। মনোযোগের সঙ্গে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ স্তব্ধ থেকে বিনয়-বাবু বললেন, “বিচারে রুতনের কি হ’ল ?” —“অবশ্য, বিচারের ফলে রতন সে-যাত্র। কোন গতিকে বেঁচে যায়।" বিনয়-বাৰু উচ্ছসিত আনন্দের স্বরে বললেন, “হ্যা, সে তো ছাড়া পাবেই, রতন কি কখনো ডাকাত হতে পারে?” নিবারণ বললে, “না, মিঃ সেন, খালাস পেলেও রুতনের নির্দোষিতা-প্রমাণিত হয়-নি।” -“নিশ্চয় সে নির্দোষ ব'লেই খালাস পেয়েছে।” প্রবাসী— পৌষ, ১৩3• SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ['२७१ फ़्रांश्, २झ क्ष७ SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS —“রতন খালাস পেয়েছে কেবল প্রমাণ-অভাবে। হাকিম তাকে নির্দোষ বলে স্বীকার করেন-নি। তার মত তার আর-এক সঙ্গীও সে-যাত্রা খালাস পেয়েছিল, কিন্তু পরে আর-এক মামলায় ধরা পড়ে এখন জেল খাটুছে । রতনের উপর থেকে এখনো আমাদের সন্দেহ যায়-নি, আমরা তার সমস্ত গতিবিধির সন্ধান রাখি। তার পিছনে সৰ্ব্বদাই আমাদের চর ঘুরছে। সে যে এখানে এসেছে, কলকাতা থেকে এখানকার পুলিস-বিভাগকে যথাসময়ে সে খবর জানানো হয়েছে। এখানকার সাহেবরাও তার বিরুদ্ধে অনেক কথা ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানিয়েছে । রতন সাংঘাতিক লোক । হয় শীঘ্রই তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হবে, নয় তাকে এদেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।” মি: চ্যাটো বললেন, “এসব ব্যাপার আপনার জানা উচিত মনে ক’রেই নিবারণ-বাবুকে আমি সঙ্গে ক’রে নিয়ে এসেছি।” বিনয়-বাবু দুঃখিতভাবে চুপ ক’রে রইলেন । নিবারণ বললে, “মিঃ সেন, আপনাকে আমি আগে থাকৃতে সাবধান ক’রে দিচ্ছি, রতন এখানে থাকূলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন।” চমকিত স্বরে বিনয়-বাৰু বললেন, “কেন, আমি বিপদে পড়ব কেন ?” —“প্রথমতঃ আপনার বাড়ীতে খানাতল্লাসী হ’তে পারে। দ্বিতীয়তঃ, রতন কোন কারণে ধরা পড়লে আপনাকে ও পুলিস-হাঙ্গামে জড়িয়ে পড়তে হবে।” মি: চ্যাটো বললেন, “সেটা আপনার নামের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর হবে, বুঝতে পারছেন কি ?” নিবারণ বিদায় নিয়ে চ’লে গেল । বিনয়-বাবু চিন্তিত ভাবে বললেন, “আনন্দ এখানে নেই, কার সঙ্গে পরামর্শ করি ? মিঃ চ্যাটো, আপনি আমাকে কি কবৃতে বলেন ?” —“আপনার কৰ্ত্তব্য তো খুবই সোজা।” -“সোজা ?” —“হঁ্যা। রতনকে বিদায় ক’রে দিন ।” বিনয়-বাবু নিরুত্তর হয়ে ভাবতে লাগলেন। মনে মনে হেসে মি: চ্যাটাে বললেন, “কোথাকার