পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SAeMAMMAMSAMMAAMMAMAMAAASSSAAASSSAAASSSAAASSSAAASSSAAAAeSJMS MMAMAMAMAAA AAAAAS SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSJSJSS “নারী-সমস্যা” 86 & JJJSJJJSJSJSAASAASAASAASAASAASAAAS প্রকৃতির নিকট হইতেও মানুষ শিক্ষা পায় ; তাহা এখানে মন দেন না, সেই হিন্দুনারীই সামান্য দুইখানা বর্ণ ধরিলাম না । আমাদের দেশের এক দল মানুষ আছেন, আত্মীয়স্বজনের নিকট হইতে কিম্বা যাত্রা কথকতা প্রভৃতি হইতে মৌখিক শিক্ষায় যtহাদের আপত্তি নাই, কিন্তু অক্ষরপরিচয়ে বিষম আপত্তি। দুইটার মধ্যে বাস্তবিক ঐকান্তিক আকাশ-পাতাল প্রভেদ যে কি, তাহা তাহারা নিজেরাও বোঝেন না, পরকেও বুঝাইতে পারেন না। কর্ণেন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে শিক্ষা হয় তাহাতে দোষ নাই, কিন্তু দর্শনেন্দ্রিয়ের বেলাতেই যত গোলমাল । পুস্তক প্রচারের পরিবর্তে ভবিষ্যতে যদি ঘরে ঘরে গ্রামেফোনের রেকর্ড বিলি করা হয়, কিম্বা রেডিওর সাহায্যে লোককে ঘরে বসিয়া বক্তৃত, ব্যাখ্যান, উপদেশ, ও গান শুনাইবার বন্দোবস্ত করা হয়, তাই। হইলে “সনাতনপন্থীরা কি অন্দরমহলে এইরূপ বন্দোবস্ত হইতে দিবেন ? ন, এক সনাতন মানুষ ছাড়া, নব আবিস্কৃত কোনো যন্ত্রের সাহায্য লইতে র্তাহীদের আপত্তি ? বায়োস্কোপের সাহায্যে শিক্ষাও ত চোখের সাহায্যে শিক্ষণ ; কিন্তু অনেক নিরক্ষর মহিলা বায়োস্কোপ দেখিয়া থাকেন। আধুনিক লেখকলেখিকাদের কাহার ও কাহারও ধারণ যে যতদিন পর্য্যন্ত হিন্দুনারীর অক্ষর পরিচয়, বিশেষ করিয়া ইংরেজী অক্ষর পরিচয়, না হয়, তত দিন পর্য্যস্ত র্তাহারা প্রত্যেকে একাধারে সতী, লক্ষ্মী, সীতা, সাবিত্রী, পদ্মিনী, অহল্যাবাঈ, লক্ষ্মীবাঈ হইয়া ঘরে ঘরে বিরাজ করেন ; কিন্তু যে মুহূৰ্ত্তে এবিসিডির সাক্ষাং পান, আমনই সকল গুণ গঙ্গাজলে বিসর্জন দিয়া “সখের মেম সাহেব” হইয়া উঠেন। আশ্চৰ্য্য, যে হিন্দুনারী “কত শত রাবণ দুর্য্যোধনের" প্রলোভন এড়াইয়া কর্তব্য-পথে অবিচলিত হইয়া আছেন, কত ঝঞ্চ-ঝড়েও ‘প্রাতে অঙ্গনে গোবর-ছড়া' দিতে বিরত হন না, যে হিন্দুনারী পুরুষকে অঞ্চল-চাপ না দিয়; “জাগাইয়া চেতন করিয়া দিতেছেন," যে হিন্দুনারী শত শত “শয়তানের শয়তানী পদ্মিনীর মত পুড়াইয়া ছাই করিয়া দিতেছেন," যে হিন্দুনারী অবরোধ প্রথা' “বিধবা বিবাহ” প্রভৃতি বাজে চিন্তার দিকে ঘৃণাভরেও পরিচয় ও ইংরেজী প্রাইমারের ধাক্কায় সকল কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া কুপথের পঙ্কিলতায় গড়াইয়া পড়িতেছেন ! শুধু তাহাই নহে, মাসিক-পত্রের পৃষ্ঠায় যাহারা শত শত রাবণদুৰ্য্যোধন-মর্দিনী, দৈনিক-পত্রের পৃষ্ঠায় দেখা যায় র্তাহাদেরই অনেকে গ্রামে গ্রামে কাপুরুষ ও পাষণ্ডের হাতে অপমানিতা ও লাঞ্ছিতা ; মাসিক-পত্রের পৃষ্ঠায় যে বঙ্গনারী সেবা-পরিচর্য্যায় পুরুষের সকল জাল যন্ত্রণা" জুড়াইয়। দিতেছেন, আদম-সুমারীর রিপোর্টে দেখা যায় তাহারাই প্রতি বৎসর ম্যালেরিয়া, কলেরা, ক্ষয়কাশ, বসন্ত ও প্লেগ প্রভৃতির নিৰ্ম্মম হাতে স্বামীপুত্রকে তুলিয়া দিয়া চক্ষের জলে ভাসিতেছেন। আদর্শমাত বঙ্গরমণীর ক্রোড় হইতে প্রতি বৎসর দুইটি নয় দশটি নয়, ৫০৷৬০ লক্ষ দুগ্ধপোষ্য শিশু যমালয়ে চলিয়া যাইতেছে । ১৯২১ খৃষ্ট।দেই বাংলাদেশে পাচ বৎসরের নিম্নবয়স্ক ৫৯,৭৬,৫২৭টি শিশুর মৃত্যু হইয়াছে।* মাসিকপত্রে দেখিতে পাই, ভীরু পুরুষ নারীর অঞ্চলের শরণ লইলে, হিন্দুনারী তাহ সহ করিতে না পারিয়া তাহাকে জাগাইয়া চেতন করিয়া দিয়াছে । কিন্তু বাস্তব জগতের খোজ লইতে গেলে দেখা যায়, গ্রামে গ্রামে পুরুষ, দারোগ। চৌকিদার জমিদার মহাজন, সকলের পদচিহ্ন বুক পাতিয়া লইতেছেন, ঘরে নারী অঞ্চল দিয়া তাহারই ধূলা ঝাড়িতেছেন। সহরে পুরুষ বড়সাহেবের হুমকি, ছোট-সাহেবের গালাগালি, বড়-বাবুর লাঞ্ছনা, গুণ্ড এবং গাটকাটার ছোরা, পুলিসের রুল, গোরার চাবুক, সকলই মহাবৈষ্ণবের মত মুখ বুজিয়া সহিয়া যাইতেছেন এবং অধিকাংশ নারী স্বামীর আদশে পুত্রকে তৈয়ার করিয়া তুলিবার আশায় সকল-প্রকার পুরুষোচিত ব্যায়াম হইতে তাহাকে সযত্নে সরাইয়া ‘জীবন-যুদ্ধের উপযোগী করিয়া গড়িয়া তুলিতে অভিলাষী! খেলার মাঠে ফিরিঙ্গির হাতে লাঞ্ছিত জাতভাইকে ফেলিয়া সহস্র পুরুষ যখন উৰ্দ্ধশ্বাসে নারীর অঞ্চলের

  • এত অধিক শিশুমৃত্যু অৰষ্ঠ কেবল মাতাদের দোষেই হয় না ; কিন্তু ইহ নিশ্চিত, যে, দেশে যথেষ্ট স্বশিক্ষিতা ধাত্রী থাকিলে এবং মাতা এবং উছার সম্পৰ্কীয় মহিলারা স্থতিকাগার ও শিশুপালন সম্বন্ধে স্বশিক্ষিত হইলে অনেক শিশুর মৃত্যু নিবারিত হইত।